বিস্ময়কর সাফল্য এই নারী উদ্যোক্তার by তৌহিদুল ইসলাম
আজকাল
অনেক বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত
ব্যবস্থা দেখা যায়। অনেকে হয়তো খেয়াল করেছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী
যন্ত্রটির গায়ে ইংরেজি বর্ণে লেখা ‘GREE’ (গ্রি), যা কিনা চীনের বিশ্বখ্যাত
প্রতিষ্ঠান গ্রি ইলেকট্রিকের পণ্যের ব্র্যান্ড। এই গ্রি ব্র্যান্ডের
পণ্যের সাফল্যের নেপথ্যে যে কত চড়াই-উতরাই আর শ্রম-ঘামের সংগ্রামী গল্প
লুকিয়ে আছে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। সেই গল্পই এই নিবন্ধের বিষয়বস্তু:
চীনে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় নাম দং মিংঝু। ৬৪ বছর বয়সী এই নারী বিশ্বের বৃহত্তম শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্রি (GREE)-এর প্রধান। কঠোর পরিশ্রম আর সৃজনশীল কর্মকৌশল প্রয়োগ করে তিনি আজ এই পর্যায়ে। তাঁর এই বিস্ময়কর সাফল্য গোটা চীনকে রীতিমতো ঝাঁকুনি দিয়েছে। তাক লাগিয়ে দিয়েছে অনেককেই। কেউবা হয়েছেন ঈর্ষান্বিত। সফল নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে দং মিংঝু বিশ্বের অনেকের কাছে এখন রোল মডেল। সেই সঙ্গে অসংখ্য নারীর অনুপ্রেরণার উৎস তিনি।
দং মিংঝু ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি চীনের নানজিং শহরে স্থানীয় সরকারের রসায়ন বিজ্ঞানাগারে প্রশাসনিক পদে চাকরিতে যোগ দেন। ১৫ বছর তিনি সেই চাকরি করেন। বেসরকারি খাতে অপার সম্ভাবনা দেখে তিনি ক্যারিয়ারে বাঁক পরিবর্তন করেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে বিক্রয়কর্মী হিসেবে গ্রিতে যোগ দেন দং মিংঝু। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি গ্রি ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারীযন্ত্র) বিক্রি শুরু করেন। ৮ বছর বয়সী পুত্রসন্তানকে নিয়ে জীবনসংগ্রাম চলে এই নারীর। এরই মধ্যে তাঁর স্বামী মারা যান।
দং মিংঝু কাজে যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যে বিক্রি বেড়ে যায়। তাঁর ক্যারিয়ার তর তর করে এগিয়ে যেতে থাকে। মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৯৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় বিভাগের প্রধান হিসেবে পদোন্নতি পান। এ সময় তিনি বিক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও নতুন নতুন কৌশল যুক্ত করেন। ফলে গ্রি ব্র্যান্ডের পণ্যের কদর আরও বেড়ে যায়। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে একদিকে প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারিত হয়, অন্যদিকে নিজের ক্যারিয়ার হয় আরও সমৃদ্ধ।
১৯৯৬ সালে দং মিংঝু গ্রি ইলেকট্রিকের ডেপুটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। পরে ২০০১ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। ২০১২ সালে তিনি গ্রি ইলেকট্রিকের মূল প্রতিষ্ঠান গ্রি গ্রুপের চেয়ার-উইম্যানের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি গ্রি ইলেকট্রিকের চেয়ার-ওম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। সফল এই নারীর ভাষ্য, অল্পসংখ্যক পুরুষ অথবা নারী বড় চ্যালেঞ্জে জয়ী হন। তিনি তাঁদেরই একজন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গ্রি ইলেকট্রিক এয়ার কন্ডিশনার, ইলেকট্রিক ফ্যান এবং গৃহস্থালির অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজার মূলধন ৪০ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। এর সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্রি গ্রুপ। এর আছে ১৮ শতাংশ শেয়ার।
দং মিংঝুকে চীনের অদম্য এক ব্যবসায়ী হিসেবে অভিহিত করে বিশেষ প্রতিবেদন করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। সেরা ধনীদের তালিকা প্রস্তুতকারী চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হুরুন রিচ লিস্ট। এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ প্রচেষ্টায় ৮৯ জন নারীর মধ্যে ৫১ জন এই বছর বিলিয়নিয়ার (কোটিপতি বা ধনকুবের) হয়েছেন। তাঁরা সবাই চীনের নাগরিক। এদের মধ্যে একজন অতিসম্পদশালী। বর্তমান বিশ্বে নারীদের মোট শেয়ারের ২০ শতাংশই হচ্ছে চীনা নারীদের। চীনে সব ক্ষেত্রেই উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এটি সম্ভব হয়েছে নারীদের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণের ফলে। অবশ্য অতীতেও শ্রমবাজারে চীনা নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক বেশি ছিল।
চীনের সাবেক বিখ্যাত নেতা মাও জেদং (মাও সেতুং) ‘হাফ দি স্কাই’ কর্মসূচির আওতায় ১৯৬৮ সালে নারীদের শ্রমবাজারে সম্পৃক্ত করেন। এরপর থেকে কর্মক্ষেত্রে ক্রমেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। আশির দশকে তা প্রায় ৮০ শতাংশে পৌঁছে। ওই সময় কর্মক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ৬০ শতাংশ। আমেরিকানদের ছিল আরও কম। মার্কিনরা এখনো চীন ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে পিছিয়ে আছে।
গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ মনিটরের জরিপে দেখা গেছে, স্টার্টআপ (নতুন উদ্যোগ) কার্যক্রমের সূচক অনুযায়ী চীনে যেখানে ১০ জন পুরুষ ব্যবসা শুরু করছেন, সেখানে ৮ জন নারী সেই একই কাজ করছেন।
কারখানার ফ্লোর থেকে উঠে এসে অনেক চীনা নারী এখন সফল ব্যবসায়ী। এক সময় অভিবাসী কর্মী ছিলেন ঝোউ কুনফি নামে এক নারী। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন লেনস টেকনোলজি নামে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রযুক্তি পণ্যের স্ক্রিন তৈরি করে। নিজ প্রচেষ্টায় বিশ্বের সেরা নারী ধনীদের তালিকায় কুনফির নাম রয়েছে।
মিংঝু, কুনফির মতো চীনের অনেক নারী বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়ে দেশটির বেসরকারি অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দং মিংঝুর শৈশবে স্বপ্ন ছিল সামরিক সেনা হওয়ার। জীবনের নানা জটিল সমীকরণে সেই স্বপ্ন তাঁর পূরণ হয়নি। এখন তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৩ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এক নজরে দং মিংঝু
চীনে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও জনপ্রিয় নাম দং মিংঝু। ৬৪ বছর বয়সী এই নারী বিশ্বের বৃহত্তম শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্রি (GREE)-এর প্রধান। কঠোর পরিশ্রম আর সৃজনশীল কর্মকৌশল প্রয়োগ করে তিনি আজ এই পর্যায়ে। তাঁর এই বিস্ময়কর সাফল্য গোটা চীনকে রীতিমতো ঝাঁকুনি দিয়েছে। তাক লাগিয়ে দিয়েছে অনেককেই। কেউবা হয়েছেন ঈর্ষান্বিত। সফল নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে দং মিংঝু বিশ্বের অনেকের কাছে এখন রোল মডেল। সেই সঙ্গে অসংখ্য নারীর অনুপ্রেরণার উৎস তিনি।
দং মিংঝু ১৯৭৫ সালে পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি চীনের নানজিং শহরে স্থানীয় সরকারের রসায়ন বিজ্ঞানাগারে প্রশাসনিক পদে চাকরিতে যোগ দেন। ১৫ বছর তিনি সেই চাকরি করেন। বেসরকারি খাতে অপার সম্ভাবনা দেখে তিনি ক্যারিয়ারে বাঁক পরিবর্তন করেন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে বিক্রয়কর্মী হিসেবে গ্রিতে যোগ দেন দং মিংঝু। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি গ্রি ব্র্যান্ডের এয়ার কন্ডিশনার (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারীযন্ত্র) বিক্রি শুরু করেন। ৮ বছর বয়সী পুত্রসন্তানকে নিয়ে জীবনসংগ্রাম চলে এই নারীর। এরই মধ্যে তাঁর স্বামী মারা যান।
দং মিংঝু কাজে যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যে বিক্রি বেড়ে যায়। তাঁর ক্যারিয়ার তর তর করে এগিয়ে যেতে থাকে। মাত্র চার বছরের মাথায় ১৯৯৪ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় বিভাগের প্রধান হিসেবে পদোন্নতি পান। এ সময় তিনি বিক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও নতুন নতুন কৌশল যুক্ত করেন। ফলে গ্রি ব্র্যান্ডের পণ্যের কদর আরও বেড়ে যায়। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে একদিকে প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারিত হয়, অন্যদিকে নিজের ক্যারিয়ার হয় আরও সমৃদ্ধ।
১৯৯৬ সালে দং মিংঝু গ্রি ইলেকট্রিকের ডেপুটি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান। পরে ২০০১ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। ২০১২ সালে তিনি গ্রি ইলেকট্রিকের মূল প্রতিষ্ঠান গ্রি গ্রুপের চেয়ার-উইম্যানের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি গ্রি ইলেকট্রিকের চেয়ার-ওম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। সফল এই নারীর ভাষ্য, অল্পসংখ্যক পুরুষ অথবা নারী বড় চ্যালেঞ্জে জয়ী হন। তিনি তাঁদেরই একজন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গ্রি ইলেকট্রিক এয়ার কন্ডিশনার, ইলেকট্রিক ফ্যান এবং গৃহস্থালির অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজার মূলধন ৪০ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। এর সবচেয়ে বড় শেয়ার হোল্ডার হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্রি গ্রুপ। এর আছে ১৮ শতাংশ শেয়ার।
দং মিংঝুকে চীনের অদম্য এক ব্যবসায়ী হিসেবে অভিহিত করে বিশেষ প্রতিবেদন করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। সেরা ধনীদের তালিকা প্রস্তুতকারী চীনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হুরুন রিচ লিস্ট। এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ প্রচেষ্টায় ৮৯ জন নারীর মধ্যে ৫১ জন এই বছর বিলিয়নিয়ার (কোটিপতি বা ধনকুবের) হয়েছেন। তাঁরা সবাই চীনের নাগরিক। এদের মধ্যে একজন অতিসম্পদশালী। বর্তমান বিশ্বে নারীদের মোট শেয়ারের ২০ শতাংশই হচ্ছে চীনা নারীদের। চীনে সব ক্ষেত্রেই উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়ছে। এটি সম্ভব হয়েছে নারীদের অভূতপূর্ব অংশগ্রহণের ফলে। অবশ্য অতীতেও শ্রমবাজারে চীনা নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক বেশি ছিল।
চীনের সাবেক বিখ্যাত নেতা মাও জেদং (মাও সেতুং) ‘হাফ দি স্কাই’ কর্মসূচির আওতায় ১৯৬৮ সালে নারীদের শ্রমবাজারে সম্পৃক্ত করেন। এরপর থেকে কর্মক্ষেত্রে ক্রমেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে। আশির দশকে তা প্রায় ৮০ শতাংশে পৌঁছে। ওই সময় কর্মক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ৬০ শতাংশ। আমেরিকানদের ছিল আরও কম। মার্কিনরা এখনো চীন ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে পিছিয়ে আছে।
গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ মনিটরের জরিপে দেখা গেছে, স্টার্টআপ (নতুন উদ্যোগ) কার্যক্রমের সূচক অনুযায়ী চীনে যেখানে ১০ জন পুরুষ ব্যবসা শুরু করছেন, সেখানে ৮ জন নারী সেই একই কাজ করছেন।
কারখানার ফ্লোর থেকে উঠে এসে অনেক চীনা নারী এখন সফল ব্যবসায়ী। এক সময় অভিবাসী কর্মী ছিলেন ঝোউ কুনফি নামে এক নারী। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন লেনস টেকনোলজি নামে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের প্রযুক্তি পণ্যের স্ক্রিন তৈরি করে। নিজ প্রচেষ্টায় বিশ্বের সেরা নারী ধনীদের তালিকায় কুনফির নাম রয়েছে।
মিংঝু, কুনফির মতো চীনের অনেক নারী বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়ে দেশটির বেসরকারি অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দং মিংঝুর শৈশবে স্বপ্ন ছিল সামরিক সেনা হওয়ার। জীবনের নানা জটিল সমীকরণে সেই স্বপ্ন তাঁর পূরণ হয়নি। এখন তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ৩ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এক নজরে দং মিংঝু
- *জন্ম: ১৯৫৪ সালে চীনের জুহই শহরে।
- *শ্রমজীবী পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।
- *১৯৫৭ সালে বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক পাস করেন।
- *তাঁর সম্পদের মোট মূল্য ৩ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- *আত্মজীবনীসহ লিখেছেন দুটি বই।
- *পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক পাস করেন ১৯৭৫ সালে।
- *১৫ বছর সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
- *৩৬ বছর বয়সে গ্রি ইলেকট্রিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন।
- *বর্তমানে গ্রি ইলেকট্রিকের চেয়ার-উইম্যান।
No comments