সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে আবারো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান by অনিম আরাফাত
আবারো
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
তবে এবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন পূর্বের চেয়ে আরো ক্ষমতাধর হয়ে।
এখন থেকে দেশের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া, জরুরি অবস্থা জারিসহ গুরুত্বপূর্ণ
যেকোনো সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারবেন তিনি। সোমবার আঙ্কারার পার্লামেন্ট
ভবনে দেশের প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তিনি। এর
মধ্য দিয়ে পর পর দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন এ দেশনায়ক।
শপথ নেয়ার পর দেয়া এক ভাষণে এরদোগান আধুনিক তুরস্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, জনগণের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত
করতে কাজ করে যাবে তার নতুন সরকার।
মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে এরদোগানকে শপথ পড়ান পার্লামেন্টের স্পিকার। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ প্রায় ২২টি দেশের রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুরস্ক নতুন সংসদীয় ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করলো।
গত বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এক গণভোটের মাধ্যমে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ব্যাপক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। নতুন সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের ওপর দেশ পরিচালনার সর্বময় কর্তৃত্ব অর্পণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট সংসদের অনুমতি ছাড়াই মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রধান বিচারপতিসহ নতুন সংযুক্ত হওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে যে কাউকে নিয়োগ এবং বরখাস্ত করতে পারবেন। এ ছাড়াও, তিনি যেকোনো মুহূর্তে আইন সভা ভেঙে দেয়া, নির্বাহী আদেশ জারি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। নতুন এই পদ্ধতিতে দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী পদ বিলুপ্ত করা হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৬৪ বছর বয়স্ক এরদোগান দেশ পরিচালনার সর্বময় কর্তৃত্ব ভোগ করবেন। সোমবার তিনি একইসঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছেন। পূর্বের সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মেহমেক সিমসেক নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল হুলসি আকার। নিজের জামাতা বেরাত আলবায়রাককে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন এরদোগান। এছাড়া, মেভলুত সাভুসলগুকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে। নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সুলেমান সয়লু। আর সাবেক উপদেষ্টা ফুয়াত ওক্টায়কে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এর আগে এরদোগান বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় তার দল একে পার্টি থেকে কেউ থাকছে না। সাবেক রাজনীতিবিদ ও আমলাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের ইঙ্গিত দেন তিনি। ২৪শে জুন অনুষ্ঠিত হওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫২.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে আরো ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা সংহত করেন এরদোগান। নির্বাচনে একে পার্টি ৪২.৫ শতাংশ ভোট পায়। কিন্তু তা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরবর্তীতে ১১.১ শতাংশ ভোট পাওয়া ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টির সঙ্গে জোট গঠনের মাধ্যমে তারা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে।
একটানা ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে তুরস্কের ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোগান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট শাসিত নতুন সরকারব্যবস্থার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সোমবার এরদোগান বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি তুরস্কের শক্তিশালী ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে। তিনি আরো বলেন, ‘নতুন শুরু হতে যাওয়া এ যুগে তুরস্ক গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, অর্থনীতি ও বড় বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নত হবে’। তবে তুরস্কের পশ্চিমা মিত্ররাষ্ট্র, বিরোধী দল ও সমালোচকরা বলছেন, নতুন এ পদ্ধতি দেশটির গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলবে। তারা এই পদ্ধতিকে ‘এক ব্যক্তির শাসন’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, তুরস্কে সম্প্রতি ব্যাংক সুদহার ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমে গেছে লিরার মান। ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে তাই নতুন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেন এরদোগান। অর্থনীতিবিদ ও কলাম লেখক টানের বারকসয় বলেন, নতুন সরকারকে অবশ্যই সুদের হার কমানোর দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে সুদের হার চলছে তা দেশের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের জন্য যথেষ্ট নয়। কীভাবে নতুন মন্ত্রিসভা এ সমস্যার সমাধান করে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করে আছি’। যদিও রাষ্ট্রপতির অভিষেক পরবর্তী সময়ে তুরস্কের অর্থনীতি ধীরে ধীরে জেগে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তা নির্ভর করছে নতুন সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় কতখানি পরিবর্তন আনতে পারবে তার উপরে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় এরদোগান দাবি করেছিলেন, যদি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন তাহলে তুরস্কের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবেন। নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন নিজের জামাতা বেরাত আলবায়রাককে। এর আগে তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এরদোগানের নির্বাচনী প্রচারণার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তুরস্কে চলমান জরুরি অবস্থার অবসান ঘটানো। ২০১৬ সালের জুলাইতে সেনাবাহিনীর সরকারবিরোধী ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে তুরস্কে জরুরি অবস্থা চলছে। ঐ ঘটনার পর সরকার এখন পর্যন্ত লাখো মানুষকে গ্রেপ্তার ও সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এরমধ্যে, গত রোববার পুলিশ, সেনাবাহিনী, শিক্ষাবিদসহ একসঙ্গে প্রায় ১৮৫০০ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আঙ্কারা জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে সমর্থন করার দায়ে তাদেরকে চাকরিচ্যুত এবং যেকোনো সরকারি চাকরির জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই অভ্যুত্থানে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছিল। যদিও স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা গুলেন এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছেন। পাশাপাশি, চাকরিচ্যুত ও গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে আঙ্কারা যে দাবি করছে তাকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ভিন্নমতাবলন্বী নিপীড়নের অজুহাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
মঙ্গলবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে এরদোগানকে শপথ পড়ান পার্লামেন্টের স্পিকার। তার অভিষেক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ প্রায় ২২টি দেশের রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুরস্ক নতুন সংসদীয় ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করলো।
গত বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত এক গণভোটের মাধ্যমে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ব্যাপক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। নতুন সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টের ওপর দেশ পরিচালনার সর্বময় কর্তৃত্ব অর্পণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট সংসদের অনুমতি ছাড়াই মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রধান বিচারপতিসহ নতুন সংযুক্ত হওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে যে কাউকে নিয়োগ এবং বরখাস্ত করতে পারবেন। এ ছাড়াও, তিনি যেকোনো মুহূর্তে আইন সভা ভেঙে দেয়া, নির্বাহী আদেশ জারি ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন। নতুন এই পদ্ধতিতে দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী পদ বিলুপ্ত করা হয়।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৬৪ বছর বয়স্ক এরদোগান দেশ পরিচালনার সর্বময় কর্তৃত্ব ভোগ করবেন। সোমবার তিনি একইসঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও ঘোষণা করেছেন। পূর্বের সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী মেহমেক সিমসেক নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল হুলসি আকার। নিজের জামাতা বেরাত আলবায়রাককে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন এরদোগান। এছাড়া, মেভলুত সাভুসলগুকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে বহাল রাখা হয়েছে। নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন সুলেমান সয়লু। আর সাবেক উপদেষ্টা ফুয়াত ওক্টায়কে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এর আগে এরদোগান বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় তার দল একে পার্টি থেকে কেউ থাকছে না। সাবেক রাজনীতিবিদ ও আমলাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠনের ইঙ্গিত দেন তিনি। ২৪শে জুন অনুষ্ঠিত হওয়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫২.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে আরো ৫ বছরের জন্য ক্ষমতা সংহত করেন এরদোগান। নির্বাচনে একে পার্টি ৪২.৫ শতাংশ ভোট পায়। কিন্তু তা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরবর্তীতে ১১.১ শতাংশ ভোট পাওয়া ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টির সঙ্গে জোট গঠনের মাধ্যমে তারা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে।
একটানা ১৫ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে তুরস্কের ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোগান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট শাসিত নতুন সরকারব্যবস্থার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে সোমবার এরদোগান বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি তুরস্কের শক্তিশালী ভবিষ্যতের জন্য সহায়ক হবে। তিনি আরো বলেন, ‘নতুন শুরু হতে যাওয়া এ যুগে তুরস্ক গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, অর্থনীতি ও বড় বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নত হবে’। তবে তুরস্কের পশ্চিমা মিত্ররাষ্ট্র, বিরোধী দল ও সমালোচকরা বলছেন, নতুন এ পদ্ধতি দেশটির গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলবে। তারা এই পদ্ধতিকে ‘এক ব্যক্তির শাসন’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, তুরস্কে সম্প্রতি ব্যাংক সুদহার ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে কমে গেছে লিরার মান। ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে তাই নতুন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেন এরদোগান। অর্থনীতিবিদ ও কলাম লেখক টানের বারকসয় বলেন, নতুন সরকারকে অবশ্যই সুদের হার কমানোর দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে সুদের হার চলছে তা দেশের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের জন্য যথেষ্ট নয়। কীভাবে নতুন মন্ত্রিসভা এ সমস্যার সমাধান করে তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষা করে আছি’। যদিও রাষ্ট্রপতির অভিষেক পরবর্তী সময়ে তুরস্কের অর্থনীতি ধীরে ধীরে জেগে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু তা নির্ভর করছে নতুন সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় কতখানি পরিবর্তন আনতে পারবে তার উপরে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় এরদোগান দাবি করেছিলেন, যদি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন তাহলে তুরস্কের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবেন। নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন নিজের জামাতা বেরাত আলবায়রাককে। এর আগে তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
এরদোগানের নির্বাচনী প্রচারণার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তুরস্কে চলমান জরুরি অবস্থার অবসান ঘটানো। ২০১৬ সালের জুলাইতে সেনাবাহিনীর সরকারবিরোধী ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর থেকে তুরস্কে জরুরি অবস্থা চলছে। ঐ ঘটনার পর সরকার এখন পর্যন্ত লাখো মানুষকে গ্রেপ্তার ও সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এরমধ্যে, গত রোববার পুলিশ, সেনাবাহিনী, শিক্ষাবিদসহ একসঙ্গে প্রায় ১৮৫০০ জন চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আঙ্কারা জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে সমর্থন করার দায়ে তাদেরকে চাকরিচ্যুত এবং যেকোনো সরকারি চাকরির জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই অভ্যুত্থানে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছিল। যদিও স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা গুলেন এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে আসছেন। পাশাপাশি, চাকরিচ্যুত ও গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে আঙ্কারা যে দাবি করছে তাকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ভিন্নমতাবলন্বী নিপীড়নের অজুহাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
No comments