শিক্ষার্থীদের জঙ্গি বলিনি
সমালোচনার
মুখে নিজের দেয়া বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। তার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে দাবি করে
বলেছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের জঙ্গি বলেননি। গতকাল নিজের আগের বক্তব্যের
বিষয়ে সাংবাদিকদের ঢাবি ভিসি বলেন, আমি বলেছি, আন্দোলনকারীদের সাম্প্রতিক
কর্মকাণ্ড উগ্রপন্থি জঙ্গিদের সঙ্গে মিলে যায়।
এদিকে আগের দিন বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরের দিন গতকাল ভিসি আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হবে। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নিরাপত্তা চৌকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করবে।’ তার মতে কোটা আন্দোলনের মতো স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন কিছু অশুভ শক্তির অনুপ্রবেশের ফলে নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বহিরাগত ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা শিগগিরই কিছু নিরাপত্তা চৌকি বসাবো। যাতে ভ্রাম্যমাণ মানুষ অন্য কোনো গোষ্ঠী এখানে এসে হঠাৎ করে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে। কেউ এসে হঠাৎ করে মাইক দিয়ে আওয়াজ তুলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে-এটি আমরা বরদাশত করবো না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বাজারঘাটের জায়গা নয়। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জায়গা। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপাদানের এখানে সম্মিলন ঘটে।’ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় স্বাগত জানায়। যেহেতু এটি গণতন্ত্রের সূতিকাগার এখানে সকল প্রকার কর্মসূচি পালিত হবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিতর্ক, কবিতা, গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। এসব কাজে এখানে সবাই আসবে। তবে স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটায় ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নষ্ট করে-এমন বহিরাগতদের এখানে অবস্থান আমাদের কাম্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাড়ি প্রবেশ করে। এটা বন্ধ করা হবে। আমরা সড়ক ব্যবস্থাপনা করবো। যেমন ফুলার রোডে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানো রোধে সড়ক গতিরোধক বসিয়েছি।’ ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস তারা যেন নিরাপদ থাকে আমরা সেই চেষ্টা করবো। নিরাপত্তা চৌকি মানে ক্যান্টনমেন্ট না, পুলিশ পোস্ট না, এখানে আমাদের সিকিউরিটি গার্ড থাকবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকটি যাতে বসতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।’
হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকালও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বিভাগের উদ্যোগে। এসময় বাংলা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাসুদ রানার ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সমালোচনা করা হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে জঙ্গিবাদের কার্যক্রমের বহিঃপ্রকাশ বলে ভিসির দেয়া বক্তব্যেরও।
এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ২রা জুলাই শহীদ মিনার এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ওই ঘটনার সময় মাসুদ রানার ওপর অমানবিক হামলা চালানো হয়। কিন্তু হামলার পরও প্রক্টর বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ ছিলেন। প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেছেন হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’ বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা দুঃখজনক। শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং দ্রুত এর সমাধান দাবি করছি।’ ফারজানা খেয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শহীদ মিনারের মতো জায়গায় একজন শিক্ষার্থীকে কুকুরের মতো মারা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা মেনে নেয়া যায় না।
এদিকে আগের দিন বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরের দিন গতকাল ভিসি আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হবে। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নিরাপত্তা চৌকিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করবে।’ তার মতে কোটা আন্দোলনের মতো স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন কিছু অশুভ শক্তির অনুপ্রবেশের ফলে নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বহিরাগত ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা শিগগিরই কিছু নিরাপত্তা চৌকি বসাবো। যাতে ভ্রাম্যমাণ মানুষ অন্য কোনো গোষ্ঠী এখানে এসে হঠাৎ করে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে। কেউ এসে হঠাৎ করে মাইক দিয়ে আওয়াজ তুলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে-এটি আমরা বরদাশত করবো না।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বাজারঘাটের জায়গা নয়। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জায়গা। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপাদানের এখানে সম্মিলন ঘটে।’ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় স্বাগত জানায়। যেহেতু এটি গণতন্ত্রের সূতিকাগার এখানে সকল প্রকার কর্মসূচি পালিত হবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিতর্ক, কবিতা, গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। এসব কাজে এখানে সবাই আসবে। তবে স্বাভাবিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটায় ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নষ্ট করে-এমন বহিরাগতদের এখানে অবস্থান আমাদের কাম্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাড়ি প্রবেশ করে। এটা বন্ধ করা হবে। আমরা সড়ক ব্যবস্থাপনা করবো। যেমন ফুলার রোডে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানো রোধে সড়ক গতিরোধক বসিয়েছি।’ ভিসি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস তারা যেন নিরাপদ থাকে আমরা সেই চেষ্টা করবো। নিরাপত্তা চৌকি মানে ক্যান্টনমেন্ট না, পুলিশ পোস্ট না, এখানে আমাদের সিকিউরিটি গার্ড থাকবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকটি যাতে বসতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।’
হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকালও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বিভাগের উদ্যোগে। এসময় বাংলা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাসুদ রানার ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সমালোচনা করা হয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে জঙ্গিবাদের কার্যক্রমের বহিঃপ্রকাশ বলে ভিসির দেয়া বক্তব্যেরও।
এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করে। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ২রা জুলাই শহীদ মিনার এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ওই ঘটনার সময় মাসুদ রানার ওপর অমানবিক হামলা চালানো হয়। কিন্তু হামলার পরও প্রক্টর বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ ছিলেন। প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেছেন হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’ বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা দুঃখজনক। শিক্ষার্থীরা একটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং দ্রুত এর সমাধান দাবি করছি।’ ফারজানা খেয়া নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শহীদ মিনারের মতো জায়গায় একজন শিক্ষার্থীকে কুকুরের মতো মারা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা মেনে নেয়া যায় না।
No comments