তারুণ্যের ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ by শুভ্র দেব
গণতন্ত্র
ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন
ভয়ের পরিবেশ বিরাজ করছে। নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে
হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একটি নিয়মতান্ত্রিক
আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এখন স্বাভাবিক চলাফেরায়ও ভয়
পাচ্ছেন। এই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক সময় সংহতি প্রকাশ করা প্রশাসন এখন
উল্টো তাদের প্রতি বৈরী হয়ে উঠেছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে
বহিরাগতদের অবস্থান ও কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসন যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে তাও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়ের কারণ বলে
মনে করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, নতুন এই সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে কোটা
সংস্কার আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে। বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাগত মুক্ত রাখা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লক্ষ্য নয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় নিয়ে দমিয়ে রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত কখনই কাম্য নয়। শতকরা ৯৫ভাগ শিক্ষার্থীর দাবির আন্দোলনকে ঢাবি কর্র্র্র্তৃপক্ষ সমর্থন না দিয়ে বরং এটি বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে করা হয়েছে বলে বিবেচনা করছে। রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত নয় এমন শিক্ষার্থীরা মনে করছে একটি যৌক্তিক আন্দোলন করতে গিয়ে এখন তাদের জঙ্গি বলা হচ্ছে। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রেজওয়ান বলেন, বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো তল্লাশি চৌকি নাই। শত শত বহিরাগত প্রবেশ করছে। যদি কোনো তল্লাশি চৌকি নাই থাকে- তবে কেন এই নিষেধাজ্ঞা। তবে, কী অন্য কোনো কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যদি তাই হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এটা কখনই কাম্য নয়। আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে।
এখানে কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই। আর যদি থেকে থাকে তবে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কী নিরাপত্তা দিচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আরেক শিক্ষার্থী মামুন বলেন, দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে যখন আসি বাসা থেকে একটু পরপর খবর নেয়া হয় কেমন আছি। কতটুকু নিরাপত্তাহীনতায় আমরা ভুগি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে এসে শিক্ষার্থীদের হামলা করে। কোনোকালেই এটা হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি আজ এমন হয়েছে সব কিছু মেনে নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা আসবেই। অরক্ষিতভাবে এটা কখনই বন্ধ করা যাবে না। আর শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন করবে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেই আর আন্দোলন হবে না। ব্যবসা অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী নাফিস বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক। সবাই বুঝে কেন এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে আমরাও।
কিন্তু এরকম একটা পরিস্থিতিতে কেন এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে অন্য দিকে মোড় নিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন ক্যাম্পাসে এটা কেউ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের নিয়ে ভিসি যে মন্তব্য করেছেন এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। কারণ কোটা সংস্কারের পক্ষে বিপক্ষে যারাই আছে সবাই ভিসি স্যারের শিক্ষার্থী। আলাদা করে দেখার কোনো প্রয়োজন নাই। আর স্যারের এ ধরনের মন্তব্যে তিনি নিজেই সমালোচিত হচ্ছেন। যদি ডাকসু থাকতো তবে এই ভিসির প্রত্যাহার চাওয়া হতো। এদিকে, বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতকাল ঢাবি এলাকায় সব ধরনের যানবাহন ও বহিরাগতদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নানা শ্রেণি পেশার মানুষ টিএসসিতে ঘোরাফেরা করেছেন নানা কাজে। অন্যান্য দিনের মতো গতকালও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। তবে, শাহবাগ থানা এলাকায় পুলিশের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। জলকামান, সাজোয়াঁ যান, একাধিক পুলিশ ভ্যান সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। এমনকি টিএসসি এলাকায়ও পুলিশের দুটি ভ্যান দেখা যায়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় নিয়ে দমিয়ে রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একটি যৌক্তিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত কখনই কাম্য নয়। শতকরা ৯৫ভাগ শিক্ষার্থীর দাবির আন্দোলনকে ঢাবি কর্র্র্র্তৃপক্ষ সমর্থন না দিয়ে বরং এটি বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে করা হয়েছে বলে বিবেচনা করছে। রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত নয় এমন শিক্ষার্থীরা মনে করছে একটি যৌক্তিক আন্দোলন করতে গিয়ে এখন তাদের জঙ্গি বলা হচ্ছে। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রেজওয়ান বলেন, বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো তল্লাশি চৌকি নাই। শত শত বহিরাগত প্রবেশ করছে। যদি কোনো তল্লাশি চৌকি নাই থাকে- তবে কেন এই নিষেধাজ্ঞা। তবে, কী অন্য কোনো কারণে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যদি তাই হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এটা কখনই কাম্য নয়। আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে।
এখানে কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই। আর যদি থেকে থাকে তবে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কী নিরাপত্তা দিচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আরেক শিক্ষার্থী মামুন বলেন, দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপীঠে যখন আসি বাসা থেকে একটু পরপর খবর নেয়া হয় কেমন আছি। কতটুকু নিরাপত্তাহীনতায় আমরা ভুগি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ক্যাম্পাসের ভেতরে এসে শিক্ষার্থীদের হামলা করে। কোনোকালেই এটা হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি আজ এমন হয়েছে সব কিছু মেনে নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা আসবেই। অরক্ষিতভাবে এটা কখনই বন্ধ করা যাবে না। আর শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন করবে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিলেই আর আন্দোলন হবে না। ব্যবসা অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী নাফিস বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক। সবাই বুঝে কেন এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে আমরাও।
কিন্তু এরকম একটা পরিস্থিতিতে কেন এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে অন্য দিকে মোড় নিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এমন ক্যাম্পাসে এটা কেউ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের নিয়ে ভিসি যে মন্তব্য করেছেন এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। কারণ কোটা সংস্কারের পক্ষে বিপক্ষে যারাই আছে সবাই ভিসি স্যারের শিক্ষার্থী। আলাদা করে দেখার কোনো প্রয়োজন নাই। আর স্যারের এ ধরনের মন্তব্যে তিনি নিজেই সমালোচিত হচ্ছেন। যদি ডাকসু থাকতো তবে এই ভিসির প্রত্যাহার চাওয়া হতো। এদিকে, বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতকাল ঢাবি এলাকায় সব ধরনের যানবাহন ও বহিরাগতদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নানা শ্রেণি পেশার মানুষ টিএসসিতে ঘোরাফেরা করেছেন নানা কাজে। অন্যান্য দিনের মতো গতকালও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। তবে, শাহবাগ থানা এলাকায় পুলিশের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। জলকামান, সাজোয়াঁ যান, একাধিক পুলিশ ভ্যান সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। এমনকি টিএসসি এলাকায়ও পুলিশের দুটি ভ্যান দেখা যায়।
No comments