উঠতি বয়সীদের নিয়ন্ত্রণে ঢাকার অপরাধ জগৎ by আল-আমিন
তরুণদের
নিয়ন্ত্রণে এখন অপরাধ জগৎ। চুক্তিতে কিলিং মিশন বাস্তবায়ন, চাঁদাবাজি,
অপহরণ, ছিনতাই সবই নিয়ন্ত্রণ করছে উঠতি বয়সী তরুণরা। রাজধানীতে
এলাকাভিত্তিক গড়ে উঠেছে তরুণদের নিয়ে গ্রুপ। আর এসব গ্রুপ এখন পাড়া-মহল্লার
আতঙ্ক। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্র মতে,
এলাকাভিত্তিক ৫ থেকে ৭ জন মিলে একটি করে গ্রুপ রয়েছে। এই গ্রুপের আবার একজন
বড় ভাই আছে। যে ওই ৫ থেকে ৭ জনকে নিয়ন্ত্রণ করে। একেক গ্রুপ একেক নামে
পরিচিত।
তারা এক এলাকা ছাড়া অন্য এলাকায় যেতে পারে না। মিরপুর পাইকপাড়ায় কানা সুমন, পল্লবী এলাকায় রতন, শাহআলী এলাকায় নীরব, রূপনগর এলাকায় বাইট্টা আজিজুল, রমনা এলাকায় ছোট শহিদুল, কলাবাগানে ছোট হাজী রহমত, ধানমন্ডি এলাকায় ল্যাংড়া রুবেল, ঝিগাতলা এলাকায় ডিসকো বাবু, আজিমপুর এলাকায় খুতি সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি এলাকায় রাজা খবির, বংশাল এলাকায় লাল মোহাম্মদ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাইক সেলিম, কদমতলী এলাকায় পিচ্চি রহিম, মতিঝিলে বড় আরিফ, খিলগাঁও এলাকায় বালি রফিক, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় কবীর ওরফে শাহেন শাহ, গুলশান এলাকায় ছোট মুক্তাকিন, উত্তরখান এলাকায় মালা শফিক গ্রুপ সক্রিয়।
এই গ্রুপের সদস্যদের চিহ্নিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ এলাকাভিত্তিক তালিকা সংগ্রহ করছে। এমনই একজন সবুজ। বয়স ১৮ বছর। মহাখালী এলাকায় একাধিক নাম রয়েছে তার। সংসারে অভাবের তাড়নায় বাসে হেলপারির মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার জীবন। এরই মধ্যে অন্ধকার জগতের এক মধ্য বয়সী লোকের সঙ্গে পরিচয়। এরপর থেকেই সবুজ অন্ধকার জগতের বাসিন্দা। এদের কেউবা শীর্ষ সন্ত্রাসীর ছোট ভাই নাম ভাঙিয়ে নানা অপরাধ করছে। পুলিশের খাতায় তারা উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী। এই চক্রটি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক, মার্কেটের দোকানিকে চিঠি পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করে। তাদের হুমকির ভাষা হলো- চাঁদা দে, নইলে জীবন দে? অনেকেই ঝামেলা এড়ানোর জন্য পুলিশকেও বিষয়টি জানাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন মানবজমিনকে জানান, ‘পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কেউ জেলে আছে কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাভিত্তিক কিছু কিশোর-তরুণ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়াচ্ছে। এই চক্রটিকে দমন করার জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের ডিসি মো. মোখলেসুর রহমান জানান, কিছু বখে যাওয়া তরুণ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরানুল হাসান মানবজমিনকে বলেন, কিছুদিন আগে মিরপুর এলাকা থেকে র্যাব ৪ তরুণকে আটক করে। তারা উঠতি সন্ত্রাসী। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কম বয়সী এই উঠতি সন্ত্রাসীদের পুরো নাম-ঠিকানা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ। কমবয়সী এইসব উঠতি সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে নামে-বেনামে নানা অপরাধ করছে। বিশেষ করে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তারা টার্গেট করে এগিয়ে চলে। চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। জায়গা-জমি কিনতে গেলেও নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা দিতে হচ্ছে তাদের। কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। অনেকেই এসব ঘটনায় থানায় জিডি বা মামলা দায়ের করছে। আবার কেউ ভয়ে মামলা করছে না।
সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে মিরপুর এলাকায় ৪ জন তরুণকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। তারা এক ব্যবসায়ীর কাছে শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চেয়েছিল। এছাড়াও একজন শিশুকে অপহরণ করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সুমন র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে অর্থের লোভে এ জগতে পা বাড়িয়েছে সে। ৫ বছর আগে মিরপুর এলাকায় রতন ডন নামে এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর থেকে সে নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই চক্রের সদস্যরা বেশি সক্রিয় রয়েছে মিরপুর অঞ্চলে। তারা দিনের বেলায় বাসা থেকে তেমন একটা বের হয় না। রাতের অন্ধকার নেমে আসলেই তারা সক্রিয় হয়ে উঠে। নির্দিষ্ট আড্ডাস্থলে যায়। নানা পরিকল্পনা করে। পরে শুরু হয় আসল কাজ।
তারা এক এলাকা ছাড়া অন্য এলাকায় যেতে পারে না। মিরপুর পাইকপাড়ায় কানা সুমন, পল্লবী এলাকায় রতন, শাহআলী এলাকায় নীরব, রূপনগর এলাকায় বাইট্টা আজিজুল, রমনা এলাকায় ছোট শহিদুল, কলাবাগানে ছোট হাজী রহমত, ধানমন্ডি এলাকায় ল্যাংড়া রুবেল, ঝিগাতলা এলাকায় ডিসকো বাবু, আজিমপুর এলাকায় খুতি সালাউদ্দিন, কোতোয়ালি এলাকায় রাজা খবির, বংশাল এলাকায় লাল মোহাম্মদ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাইক সেলিম, কদমতলী এলাকায় পিচ্চি রহিম, মতিঝিলে বড় আরিফ, খিলগাঁও এলাকায় বালি রফিক, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় কবীর ওরফে শাহেন শাহ, গুলশান এলাকায় ছোট মুক্তাকিন, উত্তরখান এলাকায় মালা শফিক গ্রুপ সক্রিয়।
এই গ্রুপের সদস্যদের চিহ্নিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ এলাকাভিত্তিক তালিকা সংগ্রহ করছে। এমনই একজন সবুজ। বয়স ১৮ বছর। মহাখালী এলাকায় একাধিক নাম রয়েছে তার। সংসারে অভাবের তাড়নায় বাসে হেলপারির মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার জীবন। এরই মধ্যে অন্ধকার জগতের এক মধ্য বয়সী লোকের সঙ্গে পরিচয়। এরপর থেকেই সবুজ অন্ধকার জগতের বাসিন্দা। এদের কেউবা শীর্ষ সন্ত্রাসীর ছোট ভাই নাম ভাঙিয়ে নানা অপরাধ করছে। পুলিশের খাতায় তারা উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী। এই চক্রটি দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক, মার্কেটের দোকানিকে চিঠি পাঠিয়ে চাঁদা দাবি করে। তাদের হুমকির ভাষা হলো- চাঁদা দে, নইলে জীবন দে? অনেকেই ঝামেলা এড়ানোর জন্য পুলিশকেও বিষয়টি জানাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন মানবজমিনকে জানান, ‘পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কেউ জেলে আছে কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাভিত্তিক কিছু কিশোর-তরুণ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়াচ্ছে। এই চক্রটিকে দমন করার জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগের ডিসি মো. মোখলেসুর রহমান জানান, কিছু বখে যাওয়া তরুণ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরানুল হাসান মানবজমিনকে বলেন, কিছুদিন আগে মিরপুর এলাকা থেকে র্যাব ৪ তরুণকে আটক করে। তারা উঠতি সন্ত্রাসী। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কম বয়সী এই উঠতি সন্ত্রাসীদের পুরো নাম-ঠিকানা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ। কমবয়সী এইসব উঠতি সন্ত্রাসীরা আত্মগোপনে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে নামে-বেনামে নানা অপরাধ করছে। বিশেষ করে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তারা টার্গেট করে এগিয়ে চলে। চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। জায়গা-জমি কিনতে গেলেও নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা দিতে হচ্ছে তাদের। কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। অনেকেই এসব ঘটনায় থানায় জিডি বা মামলা দায়ের করছে। আবার কেউ ভয়ে মামলা করছে না।
সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে মিরপুর এলাকায় ৪ জন তরুণকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩। তারা এক ব্যবসায়ীর কাছে শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চেয়েছিল। এছাড়াও একজন শিশুকে অপহরণ করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সুমন র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে অর্থের লোভে এ জগতে পা বাড়িয়েছে সে। ৫ বছর আগে মিরপুর এলাকায় রতন ডন নামে এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর থেকে সে নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই চক্রের সদস্যরা বেশি সক্রিয় রয়েছে মিরপুর অঞ্চলে। তারা দিনের বেলায় বাসা থেকে তেমন একটা বের হয় না। রাতের অন্ধকার নেমে আসলেই তারা সক্রিয় হয়ে উঠে। নির্দিষ্ট আড্ডাস্থলে যায়। নানা পরিকল্পনা করে। পরে শুরু হয় আসল কাজ।
No comments