বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এমন পরিস্থিতি কাম্য নয় by মনির হোসাইন
কোটা
সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও পরবর্তী দমনপীড়নের পরিবেশ নিয়ে শিক্ষাবিদরা
বলেছেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরিবেশ কারো কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের
অধিকার রক্ষা ও তাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে দায়িত্ব পালন না করে উল্টো শিক্ষার্থীদের
বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
দেয়াটাও বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সঙ্গে বেমানান। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সহিংসতা মুক্ত করা। কিন্তু তিনি সেটি করেননি বা তার প্রশাসনও পারেনি। যারা হামলা করেছে তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। অর্থাৎ হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে, এটা কেমন ধরনের শাসন হলো তা আমার কাছে বোধোগম্য না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকে দেখা গেছে ভিসি কিছু ছাত্রকে দোষারোপ করছেন। যদি কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার বিরোধীদের সম্পৃক্ততা থাকে সে বিষয়টি দেখবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদি ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়া হয় এবং তাদের পক্ষ হয়ে ভিসি কথা বলবেন- সেটা তো আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত।’ তার মতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় আছে। প্রবীণ এ শিক্ষক বলেন, ‘আজ দেখা যাচ্ছে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যেমন হওয়া উচিত ঠিক তেমন নেই। অত্যন্ত অমানবিক দৃষ্টান্ত যে আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অমানবিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র যদি গ্রেপ্তার হয়। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ভূমিকা থাকা উচিত। যে সে ছেলেটি দোষী না নির্দোষ। বা তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো। সে ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেয়নি।’ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ঘোরাফেরা ও কার্যক্রম বন্ধে নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে এ শিক্ষাবিদ বলেন, ‘সিদ্ধান্তটির উদ্দেশ্য মহৎ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত রাখা। এটা আমরাও চাই। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তটা অবাস্তব। প্রশাসনের অনভিজ্ঞতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ খোলামেলা, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয় না, এটি বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে। সুতরাং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ সবার আছে। যে কেউ আসতে পারে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে আসে, তখন তাকে কোনো আইনের আওতায় আনার মতো সক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বর্তমানে আছে বলে আমার মনে হয় না।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ‘এখানে অনবরত গাড়ি চলাচল করছে। এসব কে বন্ধ করবে। আর কে বহিরাগত আর কে বহিরাগত নয় সেটি নির্ধারণ করা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব, এখানে কীভাবে সম্ভব। এটা আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিণত করতে হবে। রাজনীতি একটু কম করে পড়াশোনা এবং শিক্ষকতায় মনোযোগ দেয়া দরকার। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ভালো হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, কোনো উৎকণ্ঠাই ভালো নয়। ছাত্র-শিক্ষকদের উৎকণ্ঠা তো আরো খারাপ। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুতরাং আমি আশা করবো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ সমস্যার সমাধান হবে। ছাত্রছাত্রীরা উৎকণ্ঠা কাটিয়ে পড়ালেখায় আত্মনিবেশ করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার দ্রুততার সঙ্গে কোটা নিয়ে গঠিত কমিটির রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন জারি করলে সব ধরনের শঙ্কা কেটে যাবে। এটা যত দীর্ঘায়িত হবে তত সমস্যা দেখা দেবে।’ বহিরাগতদের ঘোরাফেরা ও কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভিসি ভবন ও তার পরিবার যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, সে থেকে তিনি যদি শঙ্কিত থাকেন বা আস্থাহীনতার সংকটে থাকেন তবে তিনি এমন ধরনের ঘোষণা দিতে পারেন। প্রভোস্ট কমিটিও ভয়ে থেকে দিতে পারেন। তবে আমি মনে করি এটা চিরস্থায়ী সমাধান (পার্মানেন্ট সলিউশন) না। এটা যত দ্রুততার সঙ্গে তুলে নেয়া যায় ততই ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের ডেফিনেশন (সংজ্ঞা) দেয়াটা কঠিন। এটা প্রমাণ করবো কীভাবে যে, আমি বহিরাগত না। সুতরাং আমি মনে করি এটা দ্রুততার সঙ্গে অবসান হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ভিসি ড. আখতারুজ্জামানের বক্তব্যের বিষয়ে বলেন, আমি মনে করি এটা একটি গুরুতর অভিযোগ। কারো কাছে যদি এমন তথ্য থাকে, তাহলে সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। আর যদি তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি তাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে গিয়েছে। যদি কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন তথ্য তাদের কাছে থাকে তাহলে তথ্য উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘তখন তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন এখন তো এভাবে বলা যায় না। যদি তার কাছে তথ্য প্রমাণ থাকে। আমি মনে করি নিশ্চয় তার কাছে আছে। তাই তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে বিষয়টা খতিয়ে দেখা উচিত।’
শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের আক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ওপর যারা আক্রমণ করেছে তারাও ছাত্র। সুতরাং ছাত্ররা ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করলে এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া তাদেরই দায়িত্ব।’ অধ্যাপক আরেফিন বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে আশা করবো ইতিমধ্যে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার নিরিখে বাস্তবায়ন যোগ্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবেন।’ বহিরাগত মুক্ত করতে বর্তমান প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে সাবেক এ ভিসি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রতি মুহূর্তে এখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আসা-যাওয়া। এখন কীভাবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন সেটি তারা ভালো জানেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সহিংসতা মুক্ত করা। কিন্তু তিনি সেটি করেননি বা তার প্রশাসনও পারেনি। যারা হামলা করেছে তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। অর্থাৎ হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে, এটা কেমন ধরনের শাসন হলো তা আমার কাছে বোধোগম্য না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজকে দেখা গেছে ভিসি কিছু ছাত্রকে দোষারোপ করছেন। যদি কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার বিরোধীদের সম্পৃক্ততা থাকে সে বিষয়টি দেখবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদি ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়া হয় এবং তাদের পক্ষ হয়ে ভিসি কথা বলবেন- সেটা তো আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত।’ তার মতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় আছে। প্রবীণ এ শিক্ষক বলেন, ‘আজ দেখা যাচ্ছে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যেমন হওয়া উচিত ঠিক তেমন নেই। অত্যন্ত অমানবিক দৃষ্টান্ত যে আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অমানবিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র যদি গ্রেপ্তার হয়। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ভূমিকা থাকা উচিত। যে সে ছেলেটি দোষী না নির্দোষ। বা তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো। সে ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেয়নি।’ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ঘোরাফেরা ও কার্যক্রম বন্ধে নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে এ শিক্ষাবিদ বলেন, ‘সিদ্ধান্তটির উদ্দেশ্য মহৎ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত রাখা। এটা আমরাও চাই। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তটা অবাস্তব। প্রশাসনের অনভিজ্ঞতার কারণে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ খোলামেলা, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয় না, এটি বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে। সুতরাং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ সবার আছে। যে কেউ আসতে পারে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে আসে, তখন তাকে কোনো আইনের আওতায় আনার মতো সক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বর্তমানে আছে বলে আমার মনে হয় না।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, ‘এখানে অনবরত গাড়ি চলাচল করছে। এসব কে বন্ধ করবে। আর কে বহিরাগত আর কে বহিরাগত নয় সেটি নির্ধারণ করা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব, এখানে কীভাবে সম্ভব। এটা আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরিণত করতে হবে। রাজনীতি একটু কম করে পড়াশোনা এবং শিক্ষকতায় মনোযোগ দেয়া দরকার। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ভালো হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, কোনো উৎকণ্ঠাই ভালো নয়। ছাত্র-শিক্ষকদের উৎকণ্ঠা তো আরো খারাপ। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুতরাং আমি আশা করবো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ সমস্যার সমাধান হবে। ছাত্রছাত্রীরা উৎকণ্ঠা কাটিয়ে পড়ালেখায় আত্মনিবেশ করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার দ্রুততার সঙ্গে কোটা নিয়ে গঠিত কমিটির রেজাল্টের ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন জারি করলে সব ধরনের শঙ্কা কেটে যাবে। এটা যত দীর্ঘায়িত হবে তত সমস্যা দেখা দেবে।’ বহিরাগতদের ঘোরাফেরা ও কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভিসি ভবন ও তার পরিবার যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, সে থেকে তিনি যদি শঙ্কিত থাকেন বা আস্থাহীনতার সংকটে থাকেন তবে তিনি এমন ধরনের ঘোষণা দিতে পারেন। প্রভোস্ট কমিটিও ভয়ে থেকে দিতে পারেন। তবে আমি মনে করি এটা চিরস্থায়ী সমাধান (পার্মানেন্ট সলিউশন) না। এটা যত দ্রুততার সঙ্গে তুলে নেয়া যায় ততই ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের ডেফিনেশন (সংজ্ঞা) দেয়াটা কঠিন। এটা প্রমাণ করবো কীভাবে যে, আমি বহিরাগত না। সুতরাং আমি মনে করি এটা দ্রুততার সঙ্গে অবসান হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ভিসি ড. আখতারুজ্জামানের বক্তব্যের বিষয়ে বলেন, আমি মনে করি এটা একটি গুরুতর অভিযোগ। কারো কাছে যদি এমন তথ্য থাকে, তাহলে সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা উচিত। আর যদি তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে কেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি তাদের সঙ্গে সংহতি জানাতে গিয়েছে। যদি কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন তথ্য তাদের কাছে থাকে তাহলে তথ্য উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘তখন তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন এখন তো এভাবে বলা যায় না। যদি তার কাছে তথ্য প্রমাণ থাকে। আমি মনে করি নিশ্চয় তার কাছে আছে। তাই তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে বিষয়টা খতিয়ে দেখা উচিত।’
শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের আক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের ওপর যারা আক্রমণ করেছে তারাও ছাত্র। সুতরাং ছাত্ররা ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করলে এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া তাদেরই দায়িত্ব।’ অধ্যাপক আরেফিন বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে আশা করবো ইতিমধ্যে গঠিত সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার নিরিখে বাস্তবায়ন যোগ্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবেন।’ বহিরাগত মুক্ত করতে বর্তমান প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে সাবেক এ ভিসি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রতি মুহূর্তে এখানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আসা-যাওয়া। এখন কীভাবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন সেটি তারা ভালো জানেন।’
No comments