এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মিলেছে, সুবিধা পেয়েছে ৪-৫ হাজার শিক্ষার্থী: আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন by নূর মোহাম্মদ
চলতি
বছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তদন্ত
কমিটি। শুধু নৈর্ব্যক্তিক ‘খ’ সেটের প্রশ্নফাঁস হওয়ায় এর সুবিধাভোগী
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। মাত্র দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪ থেকে ৫
হাজার সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর জন্য ২০ লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল
না করার পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পাবলিক
পরীক্ষা থেকে নৈর্ব্যক্তিক অংশ ধীরে ধীরে বাতিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,
মেডিকেল ও বুয়েটের পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারসহ ৮ দফা সুপারিশ করেছে তদন্ত
কমিটি।
সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ায়িতে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিটি পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসে ব্যাপক অভিযোগ উঠে। পরীক্ষার পর ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে যায়। এমন প্রেক্ষিতে গত ৬ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরকে আহ্বায়ক করে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একাধিক বৈঠক করে গত ১১ই মার্চ তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। কমিটির সদস্য ছিলেন জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিটিআরসি, আন্তঃশিক্ষাবোর্ড, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ডিএমপি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। প্রশ্নফাঁস রাধে বেশকিছু সুপারিশ করে কমিটি। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েট ও কলেজে ভর্তির হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনস্তাত্ত্বিক চাপে থাকেন, বর্তমান গ্রের্ডিং পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ বা গোল্ডেন ৫ পাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন, তাই এ পদ্ধতি সংস্কার প্রয়োজন। এমসিকিউ ধীরে ধীরে বাতিল করা, ব্যবহারিক পরীক্ষা বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় অনৈতিক কাজে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জড়িয়ে পড়ছেন, এটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা, সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে অধিক শিক্ষককে আরো প্রশিক্ষণ, শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন, পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধসমূহ) আইন ১৯৮০ যুগোপযোগী করা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পদ্ধতি সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে লেনদেনকারীদের সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরগুলো চিহ্নিত করে তাদের পেশা যাচাই করা এবং তাদের আইনের আওতায় আনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন উন্মত্তভাবে ফাঁস হয়নি। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু ক্লোজ গ্রুপে প্রশ্ন শেয়ারের ঘটনা ঘটেছে। যদিও হাতেগোনা কয়েকটি গ্রুপের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মূল প্রশ্নের সঙ্গে মিলেছে, তবে বেশিরভাগ গ্রুপের প্রশ্ন সঠিক ছিল না। এ ধরনের ক্লোজ গ্রুপের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০টি। আর সদস্য হবে সর্বসাকল্যে ১০ থেকে ১০০ জন। প্রশ্নফাঁসকারী বেশিরভাগ চক্র ফেসবুকে আগেই ছবি পোস্ট করে ওয়ানলি মি (শুধু নিজে দেখতে পারবে) করে রাখতো। পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন সংগ্রহ করে সেটি আপলোড করে পোস্টটি পাবলিক (সবাই দেখতে পারবে) করে দিতো। আর এসব তথ্য নিয়ে মিডিয়া প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে প্রচার করেছে। জালিয়াতচক্র মূলত আয়ের একটা কৌশল হিসেবে এসব করেছে। এরকম কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ সাজেশন আকারে প্রশ্ন সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছে সেখানে থেকে কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিক কমন পড়েছে। ক্লোজ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্ন সুবিধাভোগীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে সর্বোচ্চ ১০-২০ মিনিট সময় পেতো। ফলে পরীক্ষার শুরু ৩০ মিনিট আগে হলে প্রবেশ বাধ্যতামূলক হওয়ায় ১০-২০ মিনিটে ৩০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তর খুঁজে বের করা সহজ নয়। ফলে তাদের সামগ্রিক ফলাফলে এটা খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আর অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা বেশিরভাগ প্রশ্ন ছিল ভুয়া বা সময় টেম্পারিং করে আপলোড করা। আর রচনামূলক বা সৃজনশীল কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো কারণ নেই। অবশিষ্ট প্রায় ৯৯ দশমিক ৭৫ ভাগ পরীক্ষার্থী পূর্বে কোনো প্রশ্ন না পাওয়ায় তাদের ফলাফলে প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রভাব পড়বে না। ফলে সুবিধাভোগী ৪ থেকে ৫ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য ২০ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পুনরায় নিয়ে তাদের ভোগান্তিতে ফেলা সমীচীন হবে না- বিবেচনায় এসএসসির কোনো পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নফাঁসের কোনো তথ্য বা অভিযোগ না থাকায় পরীক্ষা বাতিলের কোনো প্রশ্নই আসে না। তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি পত্রের শুধু নৈর্ব্যক্তিক ‘খ’ সেট অংশের প্রশ্নফাঁস হয়। পরীক্ষার হলে সবাই ‘খ’ সেটে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না পাওয়ায় সকলে লাভবান হতে পারেনি। কোনো বিষয়ের ৭০ নম্বরের লিখিত প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।
তবে পরবর্তীতে তদন্তে প্রমাণ মিললে প্রশ্নফাঁসের ফলে সুবিধাভোগীর পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের ফলাফল বাতিলসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে প্রশ্নফাঁসে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ৫২টি মামলায় ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। প্রতিবেদনে বিকাশ, রকেট মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য সরবরাহে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তথ্য পেলে প্রশ্নফাঁস ও সুবিধাভোগী পরীক্ষার্থীদের তথ্য পাওয়া যাবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের ফলাফল বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
এইচএসসি পরীক্ষার যেসবপদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বলা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রত্যেক বিষয়ে একটিমাত্র বড় খামের প্যাকেট করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে লটারীর মাধ্যমে সেট নির্ধারণ, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশ অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরে প্রশ্নের সেট খোলা হচ্ছে। ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র প্রবেশ নিশ্চিত করা, সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানানো এবং সব ধরনের মোবাইল ও ইলেট্রনিক্স জিনিস নিয়ে হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ায়িতে অনুষ্ঠেয় এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিটি পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসে ব্যাপক অভিযোগ উঠে। পরীক্ষার পর ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে যায়। এমন প্রেক্ষিতে গত ৬ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরকে আহ্বায়ক করে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একাধিক বৈঠক করে গত ১১ই মার্চ তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। কমিটির সদস্য ছিলেন জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিটিআরসি, আন্তঃশিক্ষাবোর্ড, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ডিএমপি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। প্রশ্নফাঁস রাধে বেশকিছু সুপারিশ করে কমিটি। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েট ও কলেজে ভর্তির হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মনস্তাত্ত্বিক চাপে থাকেন, বর্তমান গ্রের্ডিং পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ বা গোল্ডেন ৫ পাওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকেন, তাই এ পদ্ধতি সংস্কার প্রয়োজন। এমসিকিউ ধীরে ধীরে বাতিল করা, ব্যবহারিক পরীক্ষা বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় অনৈতিক কাজে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জড়িয়ে পড়ছেন, এটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা, সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নে অধিক শিক্ষককে আরো প্রশিক্ষণ, শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন, পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধসমূহ) আইন ১৯৮০ যুগোপযোগী করা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পদ্ধতি সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে লেনদেনকারীদের সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরগুলো চিহ্নিত করে তাদের পেশা যাচাই করা এবং তাদের আইনের আওতায় আনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন উন্মত্তভাবে ফাঁস হয়নি। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু ক্লোজ গ্রুপে প্রশ্ন শেয়ারের ঘটনা ঘটেছে। যদিও হাতেগোনা কয়েকটি গ্রুপের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন মূল প্রশ্নের সঙ্গে মিলেছে, তবে বেশিরভাগ গ্রুপের প্রশ্ন সঠিক ছিল না। এ ধরনের ক্লোজ গ্রুপের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০টি। আর সদস্য হবে সর্বসাকল্যে ১০ থেকে ১০০ জন। প্রশ্নফাঁসকারী বেশিরভাগ চক্র ফেসবুকে আগেই ছবি পোস্ট করে ওয়ানলি মি (শুধু নিজে দেখতে পারবে) করে রাখতো। পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন সংগ্রহ করে সেটি আপলোড করে পোস্টটি পাবলিক (সবাই দেখতে পারবে) করে দিতো। আর এসব তথ্য নিয়ে মিডিয়া প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে প্রচার করেছে। জালিয়াতচক্র মূলত আয়ের একটা কৌশল হিসেবে এসব করেছে। এরকম কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ সাজেশন আকারে প্রশ্ন সামাজিক মাধ্যমে দিয়েছে সেখানে থেকে কিছু প্রশ্ন স্বাভাবিক কমন পড়েছে। ক্লোজ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্ন সুবিধাভোগীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে সর্বোচ্চ ১০-২০ মিনিট সময় পেতো। ফলে পরীক্ষার শুরু ৩০ মিনিট আগে হলে প্রবেশ বাধ্যতামূলক হওয়ায় ১০-২০ মিনিটে ৩০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উত্তর খুঁজে বের করা সহজ নয়। ফলে তাদের সামগ্রিক ফলাফলে এটা খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। আর অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা বেশিরভাগ প্রশ্ন ছিল ভুয়া বা সময় টেম্পারিং করে আপলোড করা। আর রচনামূলক বা সৃজনশীল কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো কারণ নেই। অবশিষ্ট প্রায় ৯৯ দশমিক ৭৫ ভাগ পরীক্ষার্থী পূর্বে কোনো প্রশ্ন না পাওয়ায় তাদের ফলাফলে প্রশ্নফাঁসের কোনো প্রভাব পড়বে না। ফলে সুবিধাভোগী ৪ থেকে ৫ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য ২০ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পুনরায় নিয়ে তাদের ভোগান্তিতে ফেলা সমীচীন হবে না- বিবেচনায় এসএসসির কোনো পরীক্ষা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নফাঁসের কোনো তথ্য বা অভিযোগ না থাকায় পরীক্ষা বাতিলের কোনো প্রশ্নই আসে না। তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি পত্রের শুধু নৈর্ব্যক্তিক ‘খ’ সেট অংশের প্রশ্নফাঁস হয়। পরীক্ষার হলে সবাই ‘খ’ সেটে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না পাওয়ায় সকলে লাভবান হতে পারেনি। কোনো বিষয়ের ৭০ নম্বরের লিখিত প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।
তবে পরবর্তীতে তদন্তে প্রমাণ মিললে প্রশ্নফাঁসের ফলে সুবিধাভোগীর পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের ফলাফল বাতিলসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যে প্রশ্নফাঁসে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ৫২টি মামলায় ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেক পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। প্রতিবেদনে বিকাশ, রকেট মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য সরবরাহে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তথ্য পেলে প্রশ্নফাঁস ও সুবিধাভোগী পরীক্ষার্থীদের তথ্য পাওয়া যাবে। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের ফলাফল বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
এইচএসসি পরীক্ষার যেসবপদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বলা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রত্যেক বিষয়ে একটিমাত্র বড় খামের প্যাকেট করা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে লটারীর মাধ্যমে সেট নির্ধারণ, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশ অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরে প্রশ্নের সেট খোলা হচ্ছে। ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র প্রবেশ নিশ্চিত করা, সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জানানো এবং সব ধরনের মোবাইল ও ইলেট্রনিক্স জিনিস নিয়ে হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
No comments