এক লাখ টাকার শসা বিক্রি করেছেন লাইলী
আবদুল
গফুর-লাইলী দম্পতির অভাবের সংসার। স্বামী আবদুল গফুর দিনমজুর খাটেন। তবুও
ছয় সদস্যের পরিবারের অভাব দূর হয় না। জীবনের তাগিদে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন
ওই দম্পতি। অভাব দূর করতে দিনমজুর স্বামী আবদুল গফুরকে বিদেশ পাঠাতে
চেয়েছিলেন লাইলী বেগম। প্রায় দু’বছর আগে ধার করে পাঁচ লাখ টাকা সংগ্রহ করে
স্বামীকে বিদেশ পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দালালের খপ্পরে পড়ে স্বামীর বিদেশ
যাওয়া ভেস্তে গেছে। ঋণের দায়ে যখন চারদিকে অন্ধকার দেখছেন। ঠিক সেই সময়ে
স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে নিজেদের জমিতে সবজি আবাদ শুরু করেন লাইলী
বেগম। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এখন তিনি একজন সফল সবজি চাষি। সোমবার
সরজমিনে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কীর্ত্তনখোলা গ্রামের গিয়ে তাদের
বিষমুক্ত সবজি বাগানের সমাহার দেখা যায়।
সফল কৃষানি লাইলী বেগম জানান, শাক-সবজি আবাদ করে সংসারের সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি নিজেদের জমিতে সবজি আবাদ শুরু করেন। এতে স্বামী আবদুল গফুরও তাকে সহযোগিতা করেন। এ বছর মাত্র এক বিঘা জমিতে দেশীয় উন্নত জাতের শসা আবাদ করেছেন। মাত্র তিন মাসে ওই জমিতে রেকর্ড পরিমাণ শসা উৎপাদন হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১ লাখ টাকার শসা বিক্রি করেছেন। তাদের এই শসা সম্পূর্ণ বিষমুক্ত। অন্য তরকারির চেয়ে বাজারে এর চাহিদাও বেশি রয়েছে।
ওই দম্পতি আরো বলেন, কৃষি অফিসের স্যারেরা মাঝে মধ্যেই এসে তাদের নানা পরামর্শ দেন। লাইলী বেগমের স্বামী আবদুল গফুর বলেন, এখন আর অন্যের জমিতে দিনমজুর খাটতে হয় না। স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে তারা বিভিন্ন সময় শাক-সবজি আবাদের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ওই প্রশিক্ষণ এখন তাদের চাষাবাদে বেশ উপকার দিচ্ছে।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওবায়দুল হক খান বলেন, নিয়মিত তিনি কৃষাণি লাইলী বেগম ও তার স্বামীকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের এ সবজি বাগান দেখে আশপাশের অনেকেই সবজি চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আইপিএম কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষানি লাইলী বেগমের জমিতে শসা প্রদর্শনী করা হয়েছে। এতে জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফায়জুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কৃষানি লাইলীর জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। সেক্সফেরোমন ফাঁদের মাধ্যমে পোকা দমনের ব্যবস্থা ছিল। কৃষিতে লাইলী বেগম ও তার স্বামীর আগ্রহ আছে।
সফল কৃষানি লাইলী বেগম জানান, শাক-সবজি আবাদ করে সংসারের সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি নিজেদের জমিতে সবজি আবাদ শুরু করেন। এতে স্বামী আবদুল গফুরও তাকে সহযোগিতা করেন। এ বছর মাত্র এক বিঘা জমিতে দেশীয় উন্নত জাতের শসা আবাদ করেছেন। মাত্র তিন মাসে ওই জমিতে রেকর্ড পরিমাণ শসা উৎপাদন হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১ লাখ টাকার শসা বিক্রি করেছেন। তাদের এই শসা সম্পূর্ণ বিষমুক্ত। অন্য তরকারির চেয়ে বাজারে এর চাহিদাও বেশি রয়েছে।
ওই দম্পতি আরো বলেন, কৃষি অফিসের স্যারেরা মাঝে মধ্যেই এসে তাদের নানা পরামর্শ দেন। লাইলী বেগমের স্বামী আবদুল গফুর বলেন, এখন আর অন্যের জমিতে দিনমজুর খাটতে হয় না। স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে তারা বিভিন্ন সময় শাক-সবজি আবাদের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ওই প্রশিক্ষণ এখন তাদের চাষাবাদে বেশ উপকার দিচ্ছে।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওবায়দুল হক খান বলেন, নিয়মিত তিনি কৃষাণি লাইলী বেগম ও তার স্বামীকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের এ সবজি বাগান দেখে আশপাশের অনেকেই সবজি চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, আইপিএম কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষানি লাইলী বেগমের জমিতে শসা প্রদর্শনী করা হয়েছে। এতে জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফায়জুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কৃষানি লাইলীর জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। সেক্সফেরোমন ফাঁদের মাধ্যমে পোকা দমনের ব্যবস্থা ছিল। কৃষিতে লাইলী বেগম ও তার স্বামীর আগ্রহ আছে।
No comments