মিয়ানমারকে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের কড়া বার্তা
রোহিঙ্গা
ইস্যুতে মিয়ানমারকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
মিয়ানমারের নেতাদের তারা জানিয়েছে, গত আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর
অভিযান নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের
মুখোমুখি হতে হবে। এ খবর দিয়েছে ফ্রন্টিয়ার্স মিয়ানমার ও বিবিসি বাংলা। গত
আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর
থেকে এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে পালিয়ে
আসা ওইসব শরণার্থী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, অভিযানের নামে
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। এর
মধ্যে রয়েছে, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি। জাতিসংঘ সামরিক বাহিনীর
ওই অভিযানকে ‘জাতি নিধনের’ আদর্শ উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এই সপ্তাহে দেশটিতে পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা দেশটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার প্রতিনিধিদলের সদস্য, বৃটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ের্স বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পরিষদে আমাদের যা করতে হবে সেটা হচ্ছে চিন্তা করা যে, কীভাবে এটাকে (সফর) সক্রিয় করা যায়। যাতে করে প্রমাণ সংগ্রহ করা যায় ও তা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে বা কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দেয়া যায়। তিনি জানান, তদন্তটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রামাণিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। পিয়ের্স বলেন, এর জন্য মূলত দু’টি পথ খোলা আছে। একটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আশ্রয় নেয়া। আর অপরটি হচ্ছে, মিয়ানমার সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করা।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, পিয়ের্স এমন মন্তব্য করার পর ওইদিন রাতেই এক বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির বেসামরিক অংশের নেত্রী অং সান সুচি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ প্রত্যাবাসনের’ জন্য জাতিসংঘকে সমপৃক্ত করার এখন উপযুক্ত সময়। শরণার্থীরা যাতে ‘নির্ভয়ে’ রাখাইনে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করা তার সরকারের পক্ষে সুবিধা হবে যদি বিদেশিদের এই প্রক্রিয়ায় সমপৃক্ত করা যায়।’
সুচি বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুচি তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা। গণতান্ত্রিক মিয়ানমারে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে পালিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের জোর চেষ্টা করতে হবে, সহিংসতার মূল কারণগুলো দূর করতে হবে।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির এমন পরিবর্তন লক্ষণীয়। কেননা, পূর্বে মিয়ানমার সরকার ও সুচি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদকে জড়ানোর ঘোরবিরোধী ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে রাখাইন পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পিয়ের্স বলেন, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি ও জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে একটি স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করেছে প্রতিনিধিদল। পিয়ের্স জানান, সুচি বেশ সহায়ক ছিলেন। তবে হ্লাইং এর প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে কিছু বলেননি। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তার বৈঠক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন হ্লাইং। তাতে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে ‘চরমপন্থি বাঙালি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এমনকি তার নেতৃত্বে সেনারা সামরিক অভিযানের সময় যৌন নির্যাতন চালিয়েছে এমন অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, মিয়ানমার তাতমাদাও এর ইতিহাসে কোনো যৌন হামলার ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে সামরিক বাহিনী ‘তাতমাদাও’ নামে পরিচিত।
গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। ওই অভিযানে, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। সমপ্রতি, ওই অভিযানে সামরিক বাহিনী মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল কিনা, তা নিশ্চিত করতে ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে পরীক্ষা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই সপ্তাহে দেশটিতে পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তারা দেশটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মঙ্গলবার প্রতিনিধিদলের সদস্য, বৃটিশ রাষ্ট্রদূত কারেন পিয়ের্স বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, পরিষদে আমাদের যা করতে হবে সেটা হচ্ছে চিন্তা করা যে, কীভাবে এটাকে (সফর) সক্রিয় করা যায়। যাতে করে প্রমাণ সংগ্রহ করা যায় ও তা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে বা কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দেয়া যায়। তিনি জানান, তদন্তটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রামাণিক মানদণ্ড মেনে চলতে হবে। পিয়ের্স বলেন, এর জন্য মূলত দু’টি পথ খোলা আছে। একটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আশ্রয় নেয়া। আর অপরটি হচ্ছে, মিয়ানমার সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করা।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, পিয়ের্স এমন মন্তব্য করার পর ওইদিন রাতেই এক বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির বেসামরিক অংশের নেত্রী অং সান সুচি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ প্রত্যাবাসনের’ জন্য জাতিসংঘকে সমপৃক্ত করার এখন উপযুক্ত সময়। শরণার্থীরা যাতে ‘নির্ভয়ে’ রাখাইনে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করা তার সরকারের পক্ষে সুবিধা হবে যদি বিদেশিদের এই প্রক্রিয়ায় সমপৃক্ত করা যায়।’
সুচি বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) এবং জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুচি তার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা। গণতান্ত্রিক মিয়ানমারে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে পালিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমাদের জোর চেষ্টা করতে হবে, সহিংসতার মূল কারণগুলো দূর করতে হবে।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সুচির এমন পরিবর্তন লক্ষণীয়। কেননা, পূর্বে মিয়ানমার সরকার ও সুচি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদকে জড়ানোর ঘোরবিরোধী ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে রাখাইন পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পিয়ের্স বলেন, স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচি ও জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে একটি স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করেছে প্রতিনিধিদল। পিয়ের্স জানান, সুচি বেশ সহায়ক ছিলেন। তবে হ্লাইং এর প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে কিছু বলেননি। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তার বৈঠক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন হ্লাইং। তাতে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে ‘চরমপন্থি বাঙালি সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এমনকি তার নেতৃত্বে সেনারা সামরিক অভিযানের সময় যৌন নির্যাতন চালিয়েছে এমন অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, মিয়ানমার তাতমাদাও এর ইতিহাসে কোনো যৌন হামলার ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, স্থানীয়ভাবে সামরিক বাহিনী ‘তাতমাদাও’ নামে পরিচিত।
গত আগস্টে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। ওই অভিযানে, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। সমপ্রতি, ওই অভিযানে সামরিক বাহিনী মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল কিনা, তা নিশ্চিত করতে ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে পরীক্ষা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
No comments