সৌদি জোটের হয়ে যুদ্ধে জড়াতে চাই না: শেখ হাসিনা
সৌদি
জোটের হয়ে বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধে জড়াবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌদি আরব, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে
বুধবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক
নাইমুল ইসলাম খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান তার প্রশ্নে বলেন, আপনি যে সৌদি আরবে গেলেন, আমাদের এদিক থেকে ওয়েস্ট এশিয়ায় তো ভয়াবহ অবস্থা (জটিল), আমরা এ জটিলতায় কোনো যুদ্ধে জড়াচ্ছি কিনা, এই ঝামেলাটা সম্পর্কে যদি বলেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু ওসবের সঙ্গে জড়াতে চাই না। সৌদি আরবের বাদশাহ যখন আমাকে দাওয়াত পাঠিয়েছেন, চিঠি দিয়েছে, আমি গিয়েছি। সাথে আমাদের সেনাবাহিনী প্রধানও গিয়েছিলেন। সেখানে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা তাদেরকে বলেছি আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। তবে যুদ্ধ বাদে অন্য কোনো সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে সৌদি রাজাকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের অন্য যে ধরনের সহযোগিতা দরকার আমরা করব। যেমন তাদের সমস্যা আছে ‘মাইন’, সেই মাইন অপসারনসহ তাদের কিছু কনস্ট্রাকসন জন্য যা যা দরকার আমরা তা করে দেবো। শুধু রণক্ষেত্রে আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান তার প্রশ্নে বলেন, আপনি যে সৌদি আরবে গেলেন, আমাদের এদিক থেকে ওয়েস্ট এশিয়ায় তো ভয়াবহ অবস্থা (জটিল), আমরা এ জটিলতায় কোনো যুদ্ধে জড়াচ্ছি কিনা, এই ঝামেলাটা সম্পর্কে যদি বলেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু ওসবের সঙ্গে জড়াতে চাই না। সৌদি আরবের বাদশাহ যখন আমাকে দাওয়াত পাঠিয়েছেন, চিঠি দিয়েছে, আমি গিয়েছি। সাথে আমাদের সেনাবাহিনী প্রধানও গিয়েছিলেন। সেখানে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা তাদেরকে বলেছি আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। তবে যুদ্ধ বাদে অন্য কোনো সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে বলে সৌদি রাজাকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের অন্য যে ধরনের সহযোগিতা দরকার আমরা করব। যেমন তাদের সমস্যা আছে ‘মাইন’, সেই মাইন অপসারনসহ তাদের কিছু কনস্ট্রাকসন জন্য যা যা দরকার আমরা তা করে দেবো। শুধু রণক্ষেত্রে আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না।
১৫এপ্রিল সৌদি আরবে ২৩ দেশের সামরিক জোটের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা |
তবে
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে এমন কিছু হলে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ বলে জানান
প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "একমাত্র জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা মিশনে
আমরা যাই। যদি সে ধরণের হয় তখন বাংলাদেশ যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধে
জড়াবে না। এটা একেবারে পরিস্কার কথা। আমি যেটা করি, পরিস্কারভাবেই করি।
সেটা আপনাদের জেনে রাখা উচিত। সেখানে কোনো দ্বিধা নাই, কারও সঙ্গে এ বিষয়ে
আলোচনা করার। কারণ আমাকে ক্ষমতায় থাকতেই হবে, অর্থ বানাতেই হবে, অবৈধ
সম্পদ বানাতে হবে, আর সেই সম্পদ রক্ষা করতে হবে, এসব দুর্বলতা তো আমার নাই।
এসব দূর্বলতা নাই বলেই জীবনেরও মায়া নাই। তাই শুধু বাংলাদেশেরই নয় বিশ্ব
শান্তি রক্ষায় যে কোন কথা বলার মতো সাহস রাখি। আমি জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে এ কথা ভুলবেন না।"
সৌদি রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গত ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ‘গালফ শিল্ড-১ নামের ২৩ দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া গাল্ফ শিল্ড-ওয়ানে বাংলাদেশও অংশ নেয়।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথিত লড়াইয়ে ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠন করে সৌদি আরব। বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেও মাঠ পর্যায়ের যুদ্ধে কোনো বাংলাদেশি সেনা পাঠানো হবে না বলে অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। তবে একইসঙ্গে পবিত্র মক্কা ও মদিনার ওপর কোনো হুমকি এলে সর্বদাই তার হেফাজতে সেনা প্রেরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছিল।
সৌদি রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গত ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ‘গালফ শিল্ড-১ নামের ২৩ দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া গাল্ফ শিল্ড-ওয়ানে বাংলাদেশও অংশ নেয়।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথিত লড়াইয়ে ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠন করে সৌদি আরব। বাংলাদেশ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেও মাঠ পর্যায়ের যুদ্ধে কোনো বাংলাদেশি সেনা পাঠানো হবে না বলে অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। তবে একইসঙ্গে পবিত্র মক্কা ও মদিনার ওপর কোনো হুমকি এলে সর্বদাই তার হেফাজতে সেনা প্রেরণে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছিল।
No comments