সরকার বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে চায়: আমীর খসরু
সরকার
ভয়ভীতি সৃষ্টি করে বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের
আমলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার ও গুম-খুনের
মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে সিটি নির্বাচনের
প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। গতকাল
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের
আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক
আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু’র মুক্তির
দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছে। সেখানে কারো কোনো স্বাধীনতা নেই। সরকারি দলের লোকজন যেভাবে নির্দেশ দেবে ছাত্রছাত্রীদেরও সেইভাবে চলতে হবে। না হলে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হতে হবে। মধ্যরাতে হল থেকে বের করে দেয়া হবে, কারো রগ কেটে দেয়া হবে। এই দেশে জনগণের অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এসবের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারের এই ভয়ভীতি সৃষ্টি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এখন আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। কারণ জনতার শক্তি, জনতার ঢলের সামনে কেউ কোনোদিন দাঁড়াতে পারেনি, আগামীতেও দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা সব সময় প্রশ্ন করেন- বিএনপি কি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে? আপনাদের কি মনোনয়ন ঠিক হয়ে গেছে? আপনাদের অগ্রগতি কি হচ্ছে? আমি বলি নির্বাচনের আগে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক স্পেস থাকতে হবে। আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ নাগরিকের যতো অধিকার আছে সব থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এখন গণতান্ত্রিক স্পেস, রাজনৈতিক স্পেস কম্পিউটলি অনুপস্থিত। এর পরের স্পেস হচ্ছে ইলেক্ট্রোরাল স্পেস। নির্বাচনের জন্য এদেশে কোনো জায়গা নেই। আগামীতে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগ সরকার তাদের হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনী আইনগুলোসহ সংবিধান তাদের সুবিধামতো পরিবর্তন করেছে। আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পেছনে অন্তত তিনটি জিনিস আমার চোখে পড়ে।
যেগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ দেখিয়েছিল। এর প্রথমটা- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। দ্বিতীয়টা- একটি সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা। তৃতীয়টা হচ্ছে আইন করে নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছিল। এই তিনটি বিষয়ই আওয়ামী লীগ আইন করে বাতিল করে দিয়েছে। এই তিনটা বিষয় ছাড়া নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে কোনো লাভ নেই।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যদি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকতো তাহলে মিডিয়া তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করতে পারতো। তারেক রহমান এদেশে আসতে পারতো। দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বলে তারেক রহমান এখন বিদেশে। তারেক রহমান ১/১১-এর সময় ভারতের দালাল সরকার দ্বারা নির্বাসিত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে গেছেন। তার বিদেশে থাকা নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর এত মাথাব্যথা কেন? বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বিদেশে ছিলেন। তার বিদেশে থাকা যদি সমস্যা না হয় তাহলে আজ তারেক রহমানের বিদেশে থাকায় সমস্যা কেন? সে যদি এতো বছর বিদেশে থেকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে তারেক রহমান কেন পারবেন না? আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো- তারা যেগুলো বলে, যে কাজ করে তাতে কোনো সমস্যা নেই। একই কাজ অন্য কেউ করলে তখন তাদের কাছে সমস্যা হয়ে যায়।
সংগঠনের সভাপতি ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ফরিদউদ্দিন ফরিদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, মোক্তাদির আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরাজ হাসান, ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছে। সেখানে কারো কোনো স্বাধীনতা নেই। সরকারি দলের লোকজন যেভাবে নির্দেশ দেবে ছাত্রছাত্রীদেরও সেইভাবে চলতে হবে। না হলে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হতে হবে। মধ্যরাতে হল থেকে বের করে দেয়া হবে, কারো রগ কেটে দেয়া হবে। এই দেশে জনগণের অধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। এসবের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারের এই ভয়ভীতি সৃষ্টি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এখন আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। কারণ জনতার শক্তি, জনতার ঢলের সামনে কেউ কোনোদিন দাঁড়াতে পারেনি, আগামীতেও দাঁড়াতে পারবে না।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা সব সময় প্রশ্ন করেন- বিএনপি কি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে? আপনাদের কি মনোনয়ন ঠিক হয়ে গেছে? আপনাদের অগ্রগতি কি হচ্ছে? আমি বলি নির্বাচনের আগে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক স্পেস থাকতে হবে। আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ নাগরিকের যতো অধিকার আছে সব থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এখন গণতান্ত্রিক স্পেস, রাজনৈতিক স্পেস কম্পিউটলি অনুপস্থিত। এর পরের স্পেস হচ্ছে ইলেক্ট্রোরাল স্পেস। নির্বাচনের জন্য এদেশে কোনো জায়গা নেই। আগামীতে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগ সরকার তাদের হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনী আইনগুলোসহ সংবিধান তাদের সুবিধামতো পরিবর্তন করেছে। আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পেছনে অন্তত তিনটি জিনিস আমার চোখে পড়ে।
যেগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ দেখিয়েছিল। এর প্রথমটা- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। দ্বিতীয়টা- একটি সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা। তৃতীয়টা হচ্ছে আইন করে নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছিল। এই তিনটি বিষয়ই আওয়ামী লীগ আইন করে বাতিল করে দিয়েছে। এই তিনটা বিষয় ছাড়া নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে কোনো লাভ নেই।
প্রতিবাদ সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে যদি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকতো তাহলে মিডিয়া তারেক রহমানের ভাষণ প্রচার করতে পারতো। তারেক রহমান এদেশে আসতে পারতো। দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বলে তারেক রহমান এখন বিদেশে। তারেক রহমান ১/১১-এর সময় ভারতের দালাল সরকার দ্বারা নির্বাসিত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে গেছেন। তার বিদেশে থাকা নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর এত মাথাব্যথা কেন? বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বিদেশে ছিলেন। তার বিদেশে থাকা যদি সমস্যা না হয় তাহলে আজ তারেক রহমানের বিদেশে থাকায় সমস্যা কেন? সে যদি এতো বছর বিদেশে থেকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাহলে তারেক রহমান কেন পারবেন না? আওয়ামী লীগের চরিত্র হলো- তারা যেগুলো বলে, যে কাজ করে তাতে কোনো সমস্যা নেই। একই কাজ অন্য কেউ করলে তখন তাদের কাছে সমস্যা হয়ে যায়।
সংগঠনের সভাপতি ডা. একেএম মহিউদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ফরিদউদ্দিন ফরিদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলাম, মোক্তাদির আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, ইয়াসীন আলী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরাজ হাসান, ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ।
No comments