বিজয় গোখলের জন্য ‘এজেন্ডা’ by প্রশান্ত ঝা
২০১৩
সালে কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত নেপালি আলোচকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তৎকালীন চীনা
রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন- ভারতীয় রাষ্ট্রদূত এখানে যা যা করেন, আমিও ঠিক তাই
করবো। ঐতিহ্যগতভাবে নেপালে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের আগ্রহ ও কর্মকাণ্ডের
পরিধি- সরকারের পতন ঘটানো থেকে শুরু করে নেতাদের অর্থায়ন, আমলাতান্ত্রিক
নিয়োগদানে প্রভাব খাটানো থেকে প্রাথমিক উন্নয়ন দাতার ভূমিকা পালন করা
পর্যন্ত বিস্তৃত। সেদিক দিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের ওই মন্তব্য নেপালে চীনের
উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি শক্ত বহিঃপ্রকাশ ছিল।
ভারতীয় সরকার সমপ্রতি দেশের নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিজয় কেশাব গোখলের নাম ঘোষণা করেছে। সাধারণত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নজর রাখেন। সেক্ষেত্রে সময় এসেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারতের মুখ্য চ্যালেঞ্জগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার।
গোখলে একজন প্রবীন চীন বিশেষজ্ঞ হওয়ায় ব্যাপারটা সহজ হবে। কেননা, অঞ্চলগুলোতে ভারতের মুখ্য চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে অঞ্চলগুলোতে বেইজিংয়ের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোতে ভারতের মূল সমস্যা কী?
এটা বোঝা খুবই সহজ যে, দিল্লির বিশ্বাস তাদের নিরাপত্তার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তা সত্তেও দেশটি এর প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ। আর যেসব দেশগুলোতে সফল হয়েছে, সেসব দেশেও অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। এছাড়া, দিল্লির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্ররা বেইজিংয়ের পছন্দসই রাজনৈতিক মিত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আছে।
মালদ্বীপে, আবদুল্লাহ ইয়ামীনের সরকার পছন্দ নয় ভারতের। কিন্তু সেখানে সরকারকে দুর্বল করতে বা পতন ঘটাতে ভারতের সকল প্রচেষ্টা বিফলে গেছে। চীনা ও সৌদি সমর্থন নিয়ে ইয়ামিনী রাজধানী ম্যাল এ বেশ আরামদায়কভাবে বসেই দেশ চালাচ্ছেন। নেপালে, চীন-সমর্থিত কেপি অলি’কে পছন্দ নয় ভারতের। তাকে ২০১৬ সালেই অভিশংসিত করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। কিন্তু, সামপ্রতিক নির্বাচনগুলোতে পুনরায় নেপালের প্রধান নেতা হিসেবে উত্থান ঘটেছে অলির। সরকার গঠনের জন্য সক্ষম অবস্থানে আছেন তিনি। অলি’র প্রতিদ্বন্দ্বী দ্য নেপালি কংগ্রেসের প্রতি দিল্লীর অঢেল সমর্থন থাকা সত্তেও এমনটা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায়, ২০১৫ সালে একটি মাহিন্দা রাজাপাকসা-বিরোধী জোট গড়ে তুলতে সফল হয়েছিল ভারত। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও রনিল উয়িক্রেমেসিঙ্ঘী’কে একসঙ্গে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। সিরিসেনা হয়েছেন প্রেসিডেন্ট, উয়িক্রেমেসিঙ্ঘী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তবুও এই দু’য়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার অভাব বিদ্যমান। শ্রীলঙ্কা সরকার চীনের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তামিলদের সাংবিধানিক অনুমোদন সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। পাশাপাশি রাজাপাকসে তার দক্ষিণাঞ্চলীয় সিংহলী ঘাঁটিতে এখনো জনপ্রিয় ও আগামী নির্বাচনে ফের ক্ষমতা দখল করে নিতে পারেন।
বাংলাদেশে টানা দুইবার ধরে ক্ষমতায় আসীন আছে ভারতের বন্ধু সরকার। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনটি বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বর্জন করায় তা একটি একক ঘোড়দৌড়ে পরিণত হয়। তবে দিল্লির সহায়তায় সেটি আন্তর্জাতিকভাবে বৈধতার স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি’র সঙ্গে জামায়াতের সমপর্ক এখনো টিকে আছে। দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
প্রত্যকে দেশের নির্দিষ্ট সমস্যা আলাদাভাবে সামলাতে, গোখলে’কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যে প্রশ্নগুলো তার উত্তরসূরিদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে ভারতের কখন জড়ানো উচিত? প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভারতের স্বার্থের সংজ্ঞা সংকীর্ণ করে রাখাটা সঠিক কাজ (উদাহরণস্বরূপ, শুধু নিরাপত্তা সহযোগিতা) নাকি তা আরো বিস্তৃত করার দরকার আছে (উদাহরণস্বরূপ, অর্থনৈতিক সংহতি বা ক্রস-বর্ডার সমপর্কের মাধ্যমে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা বা দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতায় আচরণগত অবদান)? সেই নির্দিষ্ট ‘রেডলাইনগুলো’ কী কী যেগুলো দিল্লিকে অতিক্রম করতে দেয়া যাবে না? কোন লেভারেজে এসব রেডলাইনের লঙ্ঘন ঠেকিয়ে রাখা হবে ও যারা লঙ্ঘন করবে তাদের শাস্তি দেয়া হবে- বিশেষ করে এমন একটি সময়ে, যখন প্রতিবেশি দেশগুলো চীনের দিকে মোড় নিতে পারার সম্ভাবনা আছে? ভারত কি দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে সুনাম খুইয়ে হলেও ওই লেভারেজের চর্চা করতে ইচ্ছুক? দেশীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা ও প্রত্যেক দেশে নিজেদের পছন্দসই প্রার্থী রাখা বন্ধ করে দেয়া হবে নাকি সেটা বেশি বড় নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি করে- বিশেষ করে যখন চীনের দেশীয় রাজনীতির মাইক্রো-ম্যানেজমেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে? ভারত এসব রাষ্ট্রের রাজনীতি কীভাবে সামলাবে যখন তাদের নিজ নিজ সমাজগুলো অতীতের চেয়ে আরো বেশি করে ভারতের প্রভাব থেকে সরে যাচ্ছে?
রাজনীতি একটি শক্তিশালী ব্যবসা। এই ব্যবসায় কোনো সুষম তত্ত্ব দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হতে থাকা পরিস্থিতি সামলাতে সহায়ক নয়। কিন্তু গোখলে আরো স্থিতিশীল বৈদেশিক নীতিমালা প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রগতি ঘটাতে পারবেন। যদি তিনি বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকরের রেখে যাওয়া কাজ আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ মন্থন কীভাবে সামলানো যায় এবং প্রতিবেশী অঞ্চলে চীনের ভূমিকা ভারতে যে প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া কি থাকা উচিত সে বিষয়ে আরো সুসঙ্গত কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন তাহলে। এই স্পষ্টতা দিল্লিকে যেমন সাহায্য করবে তেমনি এর প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সাহায্য করবে।
(হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধের অনুবাদ। অনুবাদ করেছেন রিফাত আহমাদ)
ভারতীয় সরকার সমপ্রতি দেশের নতুন পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিজয় কেশাব গোখলের নাম ঘোষণা করেছে। সাধারণত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নজর রাখেন। সেক্ষেত্রে সময় এসেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারতের মুখ্য চ্যালেঞ্জগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার।
গোখলে একজন প্রবীন চীন বিশেষজ্ঞ হওয়ায় ব্যাপারটা সহজ হবে। কেননা, অঞ্চলগুলোতে ভারতের মুখ্য চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে অঞ্চলগুলোতে বেইজিংয়ের বাড়তে থাকা প্রভাবের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রতিবেশী অঞ্চলগুলোতে ভারতের মূল সমস্যা কী?
এটা বোঝা খুবই সহজ যে, দিল্লির বিশ্বাস তাদের নিরাপত্তার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তা সত্তেও দেশটি এর প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোতে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ। আর যেসব দেশগুলোতে সফল হয়েছে, সেসব দেশেও অবস্থা খুবই ভঙ্গুর। এছাড়া, দিল্লির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্ররা বেইজিংয়ের পছন্দসই রাজনৈতিক মিত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আছে।
মালদ্বীপে, আবদুল্লাহ ইয়ামীনের সরকার পছন্দ নয় ভারতের। কিন্তু সেখানে সরকারকে দুর্বল করতে বা পতন ঘটাতে ভারতের সকল প্রচেষ্টা বিফলে গেছে। চীনা ও সৌদি সমর্থন নিয়ে ইয়ামিনী রাজধানী ম্যাল এ বেশ আরামদায়কভাবে বসেই দেশ চালাচ্ছেন। নেপালে, চীন-সমর্থিত কেপি অলি’কে পছন্দ নয় ভারতের। তাকে ২০১৬ সালেই অভিশংসিত করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। কিন্তু, সামপ্রতিক নির্বাচনগুলোতে পুনরায় নেপালের প্রধান নেতা হিসেবে উত্থান ঘটেছে অলির। সরকার গঠনের জন্য সক্ষম অবস্থানে আছেন তিনি। অলি’র প্রতিদ্বন্দ্বী দ্য নেপালি কংগ্রেসের প্রতি দিল্লীর অঢেল সমর্থন থাকা সত্তেও এমনটা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায়, ২০১৫ সালে একটি মাহিন্দা রাজাপাকসা-বিরোধী জোট গড়ে তুলতে সফল হয়েছিল ভারত। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ও রনিল উয়িক্রেমেসিঙ্ঘী’কে একসঙ্গে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। সিরিসেনা হয়েছেন প্রেসিডেন্ট, উয়িক্রেমেসিঙ্ঘী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তবুও এই দু’য়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার অভাব বিদ্যমান। শ্রীলঙ্কা সরকার চীনের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তামিলদের সাংবিধানিক অনুমোদন সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। পাশাপাশি রাজাপাকসে তার দক্ষিণাঞ্চলীয় সিংহলী ঘাঁটিতে এখনো জনপ্রিয় ও আগামী নির্বাচনে ফের ক্ষমতা দখল করে নিতে পারেন।
বাংলাদেশে টানা দুইবার ধরে ক্ষমতায় আসীন আছে ভারতের বন্ধু সরকার। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনটি বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বর্জন করায় তা একটি একক ঘোড়দৌড়ে পরিণত হয়। তবে দিল্লির সহায়তায় সেটি আন্তর্জাতিকভাবে বৈধতার স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি’র সঙ্গে জামায়াতের সমপর্ক এখনো টিকে আছে। দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তাদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
প্রত্যকে দেশের নির্দিষ্ট সমস্যা আলাদাভাবে সামলাতে, গোখলে’কে কিছু মৌলিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যে প্রশ্নগুলো তার উত্তরসূরিদের আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে ভারতের কখন জড়ানো উচিত? প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভারতের স্বার্থের সংজ্ঞা সংকীর্ণ করে রাখাটা সঠিক কাজ (উদাহরণস্বরূপ, শুধু নিরাপত্তা সহযোগিতা) নাকি তা আরো বিস্তৃত করার দরকার আছে (উদাহরণস্বরূপ, অর্থনৈতিক সংহতি বা ক্রস-বর্ডার সমপর্কের মাধ্যমে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা বা দীর্ঘমেয়াদি গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতায় আচরণগত অবদান)? সেই নির্দিষ্ট ‘রেডলাইনগুলো’ কী কী যেগুলো দিল্লিকে অতিক্রম করতে দেয়া যাবে না? কোন লেভারেজে এসব রেডলাইনের লঙ্ঘন ঠেকিয়ে রাখা হবে ও যারা লঙ্ঘন করবে তাদের শাস্তি দেয়া হবে- বিশেষ করে এমন একটি সময়ে, যখন প্রতিবেশি দেশগুলো চীনের দিকে মোড় নিতে পারার সম্ভাবনা আছে? ভারত কি দেশের নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে সুনাম খুইয়ে হলেও ওই লেভারেজের চর্চা করতে ইচ্ছুক? দেশীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা ও প্রত্যেক দেশে নিজেদের পছন্দসই প্রার্থী রাখা বন্ধ করে দেয়া হবে নাকি সেটা বেশি বড় নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি করে- বিশেষ করে যখন চীনের দেশীয় রাজনীতির মাইক্রো-ম্যানেজমেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে? ভারত এসব রাষ্ট্রের রাজনীতি কীভাবে সামলাবে যখন তাদের নিজ নিজ সমাজগুলো অতীতের চেয়ে আরো বেশি করে ভারতের প্রভাব থেকে সরে যাচ্ছে?
রাজনীতি একটি শক্তিশালী ব্যবসা। এই ব্যবসায় কোনো সুষম তত্ত্ব দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হতে থাকা পরিস্থিতি সামলাতে সহায়ক নয়। কিন্তু গোখলে আরো স্থিতিশীল বৈদেশিক নীতিমালা প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রগতি ঘটাতে পারবেন। যদি তিনি বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শংকরের রেখে যাওয়া কাজ আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ মন্থন কীভাবে সামলানো যায় এবং প্রতিবেশী অঞ্চলে চীনের ভূমিকা ভারতে যে প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া কি থাকা উচিত সে বিষয়ে আরো সুসঙ্গত কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন তাহলে। এই স্পষ্টতা দিল্লিকে যেমন সাহায্য করবে তেমনি এর প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সাহায্য করবে।
(হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধের অনুবাদ। অনুবাদ করেছেন রিফাত আহমাদ)
No comments