প্রত্যাবাসন দেরি করতেই হামলা: মিয়ানমার
রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসনকে বিলম্বিত করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরসা সেনাবাহিনীর ওপর
শুক্রবার চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে বলে মনে করছে মিয়ানমার। আরসা ওই
হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। আরসা বলছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেভাবে নৃশংসতা চলছে, তাতে লড়াই ছাড়া তাদের সামনে
কোনো বিকল্প নেই। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান
আতাউল্লাহর সই করা বিবৃতিতে গতকাল রোববার বলা হয়েছে, রাখাইনে গত ৫
সেপ্টেম্বরের পরে হামলা বন্ধ হয়েছে বলে অং সান সু চির সরকার মিথ্যা দাবি
করেছে। মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর অব্যাহত নৃশংসতা থেকে বাঁচতে
হাজার হাজার রোহিঙ্গা এখনো পালাচ্ছে। লোকজনকে প্রকৃত অবস্থা দেখা থেকে বিরত
রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গণমাধ্যমকে রাখাইনে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লেইং তাঁর ফেসবুক পেজে
লিখেছেন, আরসার চোরাগোপ্তা হামলায় দুই নিরাপত্তাকর্মী এবং এক গাড়িচালক আহত
হন। আরসা স্থানীয়ভাবে হারাকাহ আল ইয়াকিন নামে পরিচিত। বিচ্ছিন্নতাবাদী
গোষ্ঠীটি এর আগে গত ২৫ আগস্টসহ একাধিক হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তবে
ইয়াঙ্গুনভিত্তিক নিরপেক্ষ বিশ্লেষক রিচার্ড হোর্সে গতকাল নিউইয়র্ক টাইমসকে
বলেন, সেকেলে অস্ত্র নিয়ে পরিচালিত ক্ষুদ্র ওই গোষ্ঠীটি সরকারকে বড় ধরনের
পাল্টা হামলায় উসকানি দিয়ে থাকে। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিসেবে আরসার
কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে
ছোটখাটো হামলা চালাতে পারে। ফলে এ ধরনের তৎপরতা মিয়ানমারে বড় ধরনের
রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও মিয়ানমার সরকারের
মুখপাত্র জ তে বলেন, ‘২৩ জানুয়ারি থেকে আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু
করব। প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে আরসা শুক্রবার হামলা চালিয়েছে।
No comments