প্রযুক্তিতে এ বছর কী শিখবেন?
ফেসবুকের
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ আবার পড়াশোনা শুরু
করেছেন। বিষয়টি কি জানেন? এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ‘ক্রিপটোকারেন্সি’।
জাকারবার্গ নতুন বছরের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছেন, তিনি এ বছরে
ক্রিপটোকারেন্সি ও বিকেন্দ্রীকরণ প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা
করেছেন। ক্রিপটোকারেন্সি (ভার্চুয়াল মুদ্রা) ও এনক্রিপশন (সিকিউরিটি
সফটওয়্যার) বিষয়ে যত ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয় আছে তিনি পড়বেন। কিন্তু হঠাৎ
কেন তিনি পড়াশোনা শুরু করলেন?
নতুন যুগে নতুন প্রযুক্তিজ্ঞানে এগিয়ে
থাকাটাই তাঁর লক্ষ্য। এক ফেসবুক পোস্টে জাকারবার্গ লিখেছেন, প্রযুক্তি,
মিডিয়া ও সরকার বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিক করবেন’ তিনি। এ ছাড়া
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। জাকারবার্গের মতো অনেকেই
প্রযুক্তি বিশ্বের হালনাগাদ বিষয়গুলো জানার ও সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের কথা
ভাবেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ২০২৪ সাল নাগাদ প্রযুক্তি
খাতে চাকরির সুযোগ ১২ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাদারদের সামনে আরও নতুন চাকরির দরজা খুলে যাবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি ও
অ্যানালাইসিস খাতে চাকরির সুযোগ আগামী বছর থেকে আরও বাড়বে। প্রযুক্তি খাতে
দক্ষতা বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হবে। চাকিরপ্রার্থীদের বিভিন্ন কারিগরি
দক্ষতা থাকার ফলে চাকরিদাতারা ভারসাম্যপূর্ণ কর্মীকে নিয়োগ দেবেন।
প্রযুক্তি খাতে চাকরির জন্য অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারার সক্ষমতা এবং
নিজেকে উপস্থাপন করার বিষয়টি সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীকে এগিয়ে রাখবে।
যোগাযোগ ভালো এবং মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা ছাড়াও হালনাগাদ প্রযুক্তিতে
অভিজ্ঞদের চাহিদা থাকবে এ বছর। ফোর্বসের চোখে এ বছর আরও যে দক্ষতাগুলো
আপনাকে এগিয়ে রাখতে পারে, সেগুলো জেনে নিন:
এআই প্রযুক্তি: আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই এ বছর খুব গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রযুক্তিখাতের নেতৃত্বস্থানীয় পদ, যেমন: আইও, সিটিও, প্রডাক্ট হেড প্রভৃতি ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞরা প্রাধান্য পাবেন। যাঁরা এআই বিশেষজ্ঞদের দল ব্যবস্থাপনা, ডেটা সায়েন্স ও উদ্ভাবনী পণ্য তৈরিতে দক্ষতা দেখাবেন, তাঁরা এগিয়ে যাবেন।
এআর অ্যাপ তৈরি: গত বছর থেকেই অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ফিচার তৈরিতে কাজ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। যাঁরা নতুন চিপ ও এপিআই ব্যবহার করে এনভিশন, ডিজাইন, ও অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করবেন তাঁদের চাহিদা বেশি থাকবে।
ডেটা সায়েন্স: বিগ ডেটা ও মেশিন লার্নিংয়ের উত্থানে ডাটা সায়েন্টিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো এখাতে বেশি খরচ করছে এখন।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: মোবাইল অ্যাপ নির্মাতাদের চাহিদা এ বছরেও অনেক বেশি থাকবে। ২০১৮ সালে এ চাহিদা ২০১৭ সালের চেয়ে বাড়বে। সফল অ্যাপ নির্মাতাকে অবশ্য জাভা, এইচটিএমএল ৫, সি, সিপ্লাসপ্লাস, সিহ্যাস, পাইথন, সুইফট প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য অ্যাপ নির্মাতাদের ইউএক্স ও ইউআই ডিজাইনে দক্ষতা দেখাতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি: নেটওয়ার্কে আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের চাহিদা থাকবে। ধীরে ধীরে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ছে। তাই এখাতে দক্ষদের চাহিদাও বাড়ছে। ২০১৮ সালে এ খাতের বিশেষজ্ঞরা চাহিদার শীর্ষে থাকবেন।
সাস ইন দ্য ক্লাউড: যাঁদের ক্লাউড কম্পিউটিং ও সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিসে (সাস) বিশেষ দক্ষতা থাকবে তাঁরা ২০১৮ সালে বেশি চাহিদা সম্পন্ন হবে। আমাজন এডব্লিউএস, মাইক্রোসফট হাইপার-ভি, ভিএমওয়্যার ভার্চুয়ালাইজেশন দক্ষতা থাকবে তাঁরা এগিয়ে থাকবেন।
নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষমতা: প্রযুক্তি খাতে সেরা কর্মী হতে গেলে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষমতা দেখাতে হবে। আগামী ছয় মাসে প্রযুক্তি কোথায় যাবে, তা আগেভাগে বলা কঠিন। যাঁরা ক্রমাগত শেখার প্রক্রিয়ায় থাকেন, তাঁরা ভবিষ্যতে এ খাতে টিকে থাকেন ও ভালো করেন।
কোডিং ও প্রকৌশলে দক্ষতা: প্রকৌশল বা কারিগরি জ্ঞান ও কোডিংয়ে দক্ষতা প্রযুক্তি খাতের জন্য এখনো জরুরি। নিজেই নিজের দেখভাল করতে পারে এমন সেবা ও পণ্য তৈরিতে নিজের জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন যাঁরা, তাঁদের কদর বেশি হবে।
অ্যাপ্লাইড মেশিন লার্নিং: এ বছর যে দক্ষতাগুলো কাজে লাগবে তার মধ্যে একটি হচ্ছে অ্যাপ্লাইড মেশিন লার্নিং। বর্তমানে ডেটা সায়েন্সের কদর দ্রুত বাড়ছে। ডেটা ব্যবহার করে তা কাজে লাগানোর দক্ষতা দেখাতে পারলে তাদের চাহিদা বেশি থাকবে।
প্রোগ্রামিং : প্রোগ্রামিং বিশেষ করে জাভাস্ক্রিপ্ট ও পাইথনের মতো ভাষা জানা থাকলে চাহিদা বাড়বে। যদি অবকাঠামোগত প্রকৌশলী বা সফটওয়্যার প্রকৌশলী এমনকি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে হয় তবে প্রোগ্রামিং জানা থাকতে হবে। এগুলো শুধু অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে কাজে লাগে না, এর পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় স্ট্রিমলাইন ও ডেটা ক্রলিংয়ে কাজে লাগানো যায়।
অ্যানালাইটিকস: মেশিন লার্নিং ও ডেটা এনালাইটিকসের চাহিদা বাড়তে থাকবে এবং প্রযুক্তিশিল্পে বড় পরিবর্তন আনবে। তাই অ্যানালাইটিকসে যেকোনো দক্ষতা এ বছর এগিয়ে রাখবে।
ক্রস-টিম ফাংশনালিটি ও যোগাযোগ: বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ। ডেভেলপার, বিপণণকারী, নকশাকারীসহ বিভিন্ন ভাষাজ্ঞানে দক্ষ প্রযুক্তিবিদের চাহিদা বেশি থাকবে।
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আয় বাড়াতে পারে—এমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করতে সক্ষম ব্যক্তির চাহিদা বেশি থাকবে। তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও ফোর্বস।
এআই প্রযুক্তি: আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই এ বছর খুব গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রযুক্তিখাতের নেতৃত্বস্থানীয় পদ, যেমন: আইও, সিটিও, প্রডাক্ট হেড প্রভৃতি ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞরা প্রাধান্য পাবেন। যাঁরা এআই বিশেষজ্ঞদের দল ব্যবস্থাপনা, ডেটা সায়েন্স ও উদ্ভাবনী পণ্য তৈরিতে দক্ষতা দেখাবেন, তাঁরা এগিয়ে যাবেন।
এআর অ্যাপ তৈরি: গত বছর থেকেই অগমেন্টেড রিয়্যালিটি ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ফিচার তৈরিতে কাজ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। যাঁরা নতুন চিপ ও এপিআই ব্যবহার করে এনভিশন, ডিজাইন, ও অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করবেন তাঁদের চাহিদা বেশি থাকবে।
ডেটা সায়েন্স: বিগ ডেটা ও মেশিন লার্নিংয়ের উত্থানে ডাটা সায়েন্টিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো এখাতে বেশি খরচ করছে এখন।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: মোবাইল অ্যাপ নির্মাতাদের চাহিদা এ বছরেও অনেক বেশি থাকবে। ২০১৮ সালে এ চাহিদা ২০১৭ সালের চেয়ে বাড়বে। সফল অ্যাপ নির্মাতাকে অবশ্য জাভা, এইচটিএমএল ৫, সি, সিপ্লাসপ্লাস, সিহ্যাস, পাইথন, সুইফট প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য অ্যাপ নির্মাতাদের ইউএক্স ও ইউআই ডিজাইনে দক্ষতা দেখাতে হবে।
সাইবার সিকিউরিটি: নেটওয়ার্কে আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের চাহিদা থাকবে। ধীরে ধীরে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ছে। তাই এখাতে দক্ষদের চাহিদাও বাড়ছে। ২০১৮ সালে এ খাতের বিশেষজ্ঞরা চাহিদার শীর্ষে থাকবেন।
সাস ইন দ্য ক্লাউড: যাঁদের ক্লাউড কম্পিউটিং ও সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিসে (সাস) বিশেষ দক্ষতা থাকবে তাঁরা ২০১৮ সালে বেশি চাহিদা সম্পন্ন হবে। আমাজন এডব্লিউএস, মাইক্রোসফট হাইপার-ভি, ভিএমওয়্যার ভার্চুয়ালাইজেশন দক্ষতা থাকবে তাঁরা এগিয়ে থাকবেন।
নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষমতা: প্রযুক্তি খাতে সেরা কর্মী হতে গেলে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষমতা দেখাতে হবে। আগামী ছয় মাসে প্রযুক্তি কোথায় যাবে, তা আগেভাগে বলা কঠিন। যাঁরা ক্রমাগত শেখার প্রক্রিয়ায় থাকেন, তাঁরা ভবিষ্যতে এ খাতে টিকে থাকেন ও ভালো করেন।
কোডিং ও প্রকৌশলে দক্ষতা: প্রকৌশল বা কারিগরি জ্ঞান ও কোডিংয়ে দক্ষতা প্রযুক্তি খাতের জন্য এখনো জরুরি। নিজেই নিজের দেখভাল করতে পারে এমন সেবা ও পণ্য তৈরিতে নিজের জ্ঞান কাজে লাগাতে পারেন যাঁরা, তাঁদের কদর বেশি হবে।
অ্যাপ্লাইড মেশিন লার্নিং: এ বছর যে দক্ষতাগুলো কাজে লাগবে তার মধ্যে একটি হচ্ছে অ্যাপ্লাইড মেশিন লার্নিং। বর্তমানে ডেটা সায়েন্সের কদর দ্রুত বাড়ছে। ডেটা ব্যবহার করে তা কাজে লাগানোর দক্ষতা দেখাতে পারলে তাদের চাহিদা বেশি থাকবে।
প্রোগ্রামিং : প্রোগ্রামিং বিশেষ করে জাভাস্ক্রিপ্ট ও পাইথনের মতো ভাষা জানা থাকলে চাহিদা বাড়বে। যদি অবকাঠামোগত প্রকৌশলী বা সফটওয়্যার প্রকৌশলী এমনকি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে হয় তবে প্রোগ্রামিং জানা থাকতে হবে। এগুলো শুধু অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে কাজে লাগে না, এর পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় স্ট্রিমলাইন ও ডেটা ক্রলিংয়ে কাজে লাগানো যায়।
অ্যানালাইটিকস: মেশিন লার্নিং ও ডেটা এনালাইটিকসের চাহিদা বাড়তে থাকবে এবং প্রযুক্তিশিল্পে বড় পরিবর্তন আনবে। তাই অ্যানালাইটিকসে যেকোনো দক্ষতা এ বছর এগিয়ে রাখবে।
ক্রস-টিম ফাংশনালিটি ও যোগাযোগ: বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ। ডেভেলপার, বিপণণকারী, নকশাকারীসহ বিভিন্ন ভাষাজ্ঞানে দক্ষ প্রযুক্তিবিদের চাহিদা বেশি থাকবে।
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আয় বাড়াতে পারে—এমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করতে সক্ষম ব্যক্তির চাহিদা বেশি থাকবে। তথ্যসূত্র: সিএনবিসি ও ফোর্বস।
No comments