'মুফতি ওয়াক্কাসের বহিষ্কারাদেশ অসাংবিধানিক ও হাস্যকর'
জমিয়তে
উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর জমিয়তের
কেন্দ্রীয় আমেলা ও শুরার যৌথ সভায় সংবিধান ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের দায়
জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব
ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুককে সংগঠনের সকল দায়িত্ব
থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অব্যাহতিপ্রাপ্ত মহাসচিব বা কোনো দায়িত্বশীলের
কোনো প্রকার মিটিং আহবান করা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। সুতরাং কাউন্সিলে
নির্বাচিত নির্বাহী সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের
বিরুদ্ধে তথাকথিত আমেলার মিটিংয়ে যে বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়েছে তা অবৈধ ও
নির্লজ্জ হাস্যকর তামাশা ছাড়া কিছু নয়। এ বহিষ্কারাদেশ সংবিধানবিরোধী।
এ
ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল
৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জমিয়তের জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে
এসব নির্লজ্জ কার্যকলাপের সমোচিত জবাব দেয়া হবে। তথাকথিত জমিয়ত
নেতৃবৃন্দের নামে যে বিবৃতিটি মিডিয়ায় দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
কোনো প্রকার প্ররোচনায় কনভেনশন বন্ধ হবে না। জমিয়তের সব জেলা, মহানগর ও
থানার সব দায়িত্বশীলদেরকে যথাসময়ে সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য উদাত্ত
আহবান জানান নেতারা। বুধবার পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সহসভাপতি
শায়খুল হাদীস মুফতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে মজলিসে আমেলার এক জরুরি বৈঠকে
নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, জময়িতের নির্বাহী সভাপতি,
সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, সহসভাপতি মাওলানা মনছুরুল হাসান
রায়পুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা
গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল হক কাউসারী,
সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওয়ালী
উল্লাহ আরমান, মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন
আল-ফিরোজী, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মাওলানা উবায়দুল্লাহ, মাওলনা তোফায়েল
গাজালি, মাওলনা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
No comments