ওদের জন্য আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নেই! by উদিসা ইসলাম ও তাসকিনা ইয়াসমিন
৪২
বছর বয়সী রাবেয়া খাতুন (ছদ্মনাম) তীব্র পেটব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান।
ওষুধের প্রথম মাত্রা সেবনের পরই গায়ে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। সেই জ্বর
নামে না টানা দুই দিনেও। আবারও চিকিৎসকের কাছে গেলে রক্ত পরীক্ষায় করে দেখা
যায়, তাকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল, সেটি আর তার শরীরে কাজ করছে
না। কেবল তাই নয়, অন্য কোনও অ্যান্টবায়োটিকও আর তার শরীরে কাজ করবে না বলে
জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২ বছরের ছোট্ট শিশু নেহাল (ছদ্মনাম)। অসুস্থ অনুভব করায় মা-বাবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে বিভিন্ন ওষুধ দিলেও সুস্থ বোধ করছিল না শিশুটি। কয়েকবার ওষুধ বদলানোর পর ধীরে ধীরে নেহাল সুস্থ হতে শুরু করে। কেন এমন হলো, বিষয়টি নিয়ে অনেক পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানতে পারেন, নেহালের শরীরে অ্যামোক্সিসিলিন ক্লাভুলানিক এসিড, অ্যামপিসিলিন, সেফাজোলিন এই তিনটি অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করেন যারা, তারা বলছেন, মানবদেহে খাদ্যে নানারকমের ভেজাল ও অপরিমিত ওষুধ ব্যবহারের ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দেশে রোগ প্রতিরোধক বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। এগুলো ওষুধ কোম্পানির অপপ্রয়োগ। ফলে ওদের জন্য আর নতুন কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নেই।
গত ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ড্রাগ প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. মাহবুব কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার, সঠিক মাত্রায় না খাওয়া, নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক ও খাদ্যের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশের ফলে মানুষের শরীরে দিন দিন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, মাছ-মাংসের মাধ্যমেও প্রতিনিয়ত মানুষের শরীরে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের বিভিন্ন ১৫টি বাজার থেকে সংগ্রহ করা মুরগির নমুনা পরীক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিক উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেবল রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও সেবন করতে হবে। যদিও রাজধানীর নামি-দামি দুই একটি ফার্মেসি ছাড়া বাকি সব জায়গায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি হয় অ্যান্টিবায়োটিক।
প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা যে খাবার খাই, সেই খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যার বেশিরভাগই আমাদের শরীরে ঢোকে। বিশেষ করে মুরগি, গরু ও মাছের মাধ্যমে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ঢোকে। এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য খামারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।’
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’র সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. মাহবুব কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোয় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয় না। এমনকি ওষুধের দোকানে ভিটামিনও পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের পরিবেশ বা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনা যেহেতু অতটা স্ট্রং না, তাই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিয়ম সেভাবে মানা হয় না। নিউবর্ন বেবিও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাচ্ছে। কারণ, মা এত অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন যে, সন্তানের ওপর এর প্রভাব পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে এটি নিশ্চিত করতে হবে, যেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয়।’
মো. মাহবুব কবীর বলেন, ‘খাদ্য থেকে অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে আসছে। অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন দু’টিই মুরগিকে খাওয়ানো হচ্ছে। দু’টিই মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো ওষুধ কোম্পানির অপপ্রয়োগ। দিতেই হবে, এমন প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। এই বিষয়ে ৬৪টি জেলায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় কয়টা মুরগির খামার আছে, মালিকের নাম, মালিকের মোবাইল নম্বর, হাঁস-মুরগির সংখ্যা কত, তাও জানাতে বলা হয়েছে। মাছের মধ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সিসা, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, মার্কারি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সচেতন করতে পারলে খাবারে অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ কমে আসবে।’
রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারে রোগীর ক্ষতি তো হচ্ছেই, একটি অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলে, অন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। এভাবে একসময় দেখা যাচ্ছে, রোগীর জন্য আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসক না থাকলে ফার্মাসিস্টরাই রোগীকে ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা রোগীকে যথাযথ মাত্র অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন না। এর ডিউরেশন ঠিক কতদিন হবে, তাও জানেন না। এক্ষেত্রে রোগীর বেশি ক্ষতি হয়। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার মাঝপথে বন্ধ করে দিলে রোগীর শরীর অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাবে। তার বিপদ বাড়বে।’
এ বিষয়ে অবশ্যই সচেতনতা দরকার উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তারদের অবশ্যই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার সময় মাত্রা ও ডিউরেশনের ব্যাপারে সচেতন করে দিতে হবে। দেশের ফার্মেসিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়ার বিকল্প নেই।’ এ ব্যাপারে কঠোর আইন করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
২ বছরের ছোট্ট শিশু নেহাল (ছদ্মনাম)। অসুস্থ অনুভব করায় মা-বাবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে বিভিন্ন ওষুধ দিলেও সুস্থ বোধ করছিল না শিশুটি। কয়েকবার ওষুধ বদলানোর পর ধীরে ধীরে নেহাল সুস্থ হতে শুরু করে। কেন এমন হলো, বিষয়টি নিয়ে অনেক পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানতে পারেন, নেহালের শরীরে অ্যামোক্সিসিলিন ক্লাভুলানিক এসিড, অ্যামপিসিলিন, সেফাজোলিন এই তিনটি অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করেন যারা, তারা বলছেন, মানবদেহে খাদ্যে নানারকমের ভেজাল ও অপরিমিত ওষুধ ব্যবহারের ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দেশে রোগ প্রতিরোধক বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া হয়ে উঠছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। এগুলো ওষুধ কোম্পানির অপপ্রয়োগ। ফলে ওদের জন্য আর নতুন কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নেই।
গত ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ড্রাগ প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. মাহবুব কবীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার, সঠিক মাত্রায় না খাওয়া, নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক ও খাদ্যের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশের ফলে মানুষের শরীরে দিন দিন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, মাছ-মাংসের মাধ্যমেও প্রতিনিয়ত মানুষের শরীরে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের বিভিন্ন ১৫টি বাজার থেকে সংগ্রহ করা মুরগির নমুনা পরীক্ষায় অ্যান্টিবায়োটিক উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেবল রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ীই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও সেবন করতে হবে। যদিও রাজধানীর নামি-দামি দুই একটি ফার্মেসি ছাড়া বাকি সব জায়গায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি হয় অ্যান্টিবায়োটিক।
প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা যে খাবার খাই, সেই খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যার বেশিরভাগই আমাদের শরীরে ঢোকে। বিশেষ করে মুরগি, গরু ও মাছের মাধ্যমে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ঢোকে। এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য খামারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।’
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’র সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. মাহবুব কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোয় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি হয় না। এমনকি ওষুধের দোকানে ভিটামিনও পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের পরিবেশ বা স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনা যেহেতু অতটা স্ট্রং না, তাই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিয়ম সেভাবে মানা হয় না। নিউবর্ন বেবিও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাচ্ছে। কারণ, মা এত অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন যে, সন্তানের ওপর এর প্রভাব পড়ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে এটি নিশ্চিত করতে হবে, যেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয়।’
মো. মাহবুব কবীর বলেন, ‘খাদ্য থেকে অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে আসছে। অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন দু’টিই মুরগিকে খাওয়ানো হচ্ছে। দু’টিই মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো ওষুধ কোম্পানির অপপ্রয়োগ। দিতেই হবে, এমন প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত নয়। এই বিষয়ে ৬৪টি জেলায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় কয়টা মুরগির খামার আছে, মালিকের নাম, মালিকের মোবাইল নম্বর, হাঁস-মুরগির সংখ্যা কত, তাও জানাতে বলা হয়েছে। মাছের মধ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সিসা, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, মার্কারি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সচেতন করতে পারলে খাবারে অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ কমে আসবে।’
রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারে রোগীর ক্ষতি তো হচ্ছেই, একটি অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলে, অন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। এভাবে একসময় দেখা যাচ্ছে, রোগীর জন্য আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসক না থাকলে ফার্মাসিস্টরাই রোগীকে ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা রোগীকে যথাযথ মাত্র অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন না। এর ডিউরেশন ঠিক কতদিন হবে, তাও জানেন না। এক্ষেত্রে রোগীর বেশি ক্ষতি হয়। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার মাঝপথে বন্ধ করে দিলে রোগীর শরীর অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাবে। তার বিপদ বাড়বে।’
এ বিষয়ে অবশ্যই সচেতনতা দরকার উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ডাক্তারদের অবশ্যই রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার সময় মাত্রা ও ডিউরেশনের ব্যাপারে সচেতন করে দিতে হবে। দেশের ফার্মেসিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দেওয়ার বিকল্প নেই।’ এ ব্যাপারে কঠোর আইন করা দরকার বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
No comments