টাকা পাচারকারীরা হান্ড্রেড পার্সেন্ট বদ : ড. কামাল হোসেন
গণফোরাম
সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের অর্জনকে দেখেই
দেখেই বলেছেন বাঙালী মানুষ হয়েছে। দেশে মানুষের সংখ্যাই বেশি। দেশে কিছু বদ
আছে। সব দেশেই এমন বদ থাকে। দুঃখজনক আমরা বদ থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তবে
এদের দেখে নিরাশ হলে চলবে না। যারা দেশের টাকা পাচার করছে তারা হান্ড্রেড
পার্সেন্ট বদ। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স
লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আজ
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন একথা বলেন। ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, এসব
বদদের থেকে সমাজকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐকবদ্ধ হতে হবে। এটা বঙ্গবন্ধুর কথা।
তিনি বলে গেছেন জাতি ঐকবদ্ধ হয়েছে বলেই স্বাধীনতা এসেছে। কামাল হোসেন সভায়
জানতে চান, পোস্টার বা ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে বড় করে কার ছবি ছাপা
হচ্ছে? এরা কারা। তাদের পরিচয় কি? তিনি প্রশ্ন করেন, বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে
তো কোনো মাদক ব্যবসায়ীর ছবি থাকতে পারে না।
এধরণের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন,
বঙ্গবন্ধুর প্রতি যেসব অপমান হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। আজকের দিনে এটাই
আমার দাবি। নিরীহ মানুষকে খুন করা যাবে না, গুণ্ডামিকে প্রশয় দেয়া যাবে
না। যত রকমের কুকর্ম সবই বঙ্গবন্ধু নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের দলে
কেউ আধিপত্যবাদী হওয়ার অপচেষ্টা করে না। দেশে এখন আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে
খুন করা হচ্ছে। আধিপত্য বজায় রাখা ,কাউকে খুন, গুম করাতো বঙ্গবন্ধুর চেতনা
নয়। তার আদর্শও নয়। এটা সুস্থ রাজনীতির যোলআনা পরিপন্থী। অ্যাডভোকেট সুব্রত
চৌধুরী বলেন, আওয়ামী বঙ্গবন্ধুকে নিজের সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। তিনি
বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে আওয়ামী সারা দেশে যা ইচ্ছে তা করে
যাচ্ছে। আলোচনা সভায় গণফোরাম নেতাদের মধ্যে মোস্তফা মহসিন মন্টু, আ ও ম
শফিক উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, ফরিদা
ইয়াছমীন, রফিকুল ইসলাম পথিক, রওশন ইয়াজদানি প্রমুখ বক্তব্য দেন।
No comments