বার্গার খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মেয়েটি...
শাহিদা
শহিদ তার বন্ধুর সাথে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বার্গার খাবার কিছুক্ষণের
মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়ার তিন দিন পরে
মারা যান ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, শাহিদা শহিদ
রেস্টুরেন্টে যে বার্গারটি খেয়েছিলেন সেটি ছিল একটি চিকেন বার্গার। কিন্তু
সে বার্গার যে চিকেন দিয়ে তৈরি সেটিকে বাটার-মিল্ক দিয়ে ভিজিয়ে রাখা
হয়েছিল। তদন্তে বলা হয়েছে, শাহিদা শহিদের ছোট বেলা থেকেই দুধ এবং
দুগ্ধজাত পণ্যে অ্যালার্জি ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরে।
মারা যাওয়া তরুণী ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৫
সালের ৯ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। যে রেস্টুরেন্টে তিনি এ বার্গার খেয়েছিলেন,
সেটি ম্যানচেস্টারের একটি বেশ পরিচিত রেস্টুরেন্ট। যেহেতু বার্গারের
চিকেনে বাটারমিল্কের প্রলেপ ছিল সেজন্য সেটি খাওয়াতে অসুস্থ হয়ে পড়ে
শাহিদা শহিদ। তিন যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন সাথে সাথে তার বন্ধু একটি
ইনজেকশন দিয়ে তাকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
আদালতে বলা হয়েছে যে, বার্গার খাওয়ার পর শাহিদা শহিদের মস্তিষ্ক
মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাহিদার বড় বোন শারমিন শহিদ বলেন,
ছোটবেলা থেকে তার বোনের অ্যাজমা এবং অ্যালার্জির সমস্যা ছিল। সেজন্য তিনি
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, মাছ এবং বাদাম খাওয়া বাদ দিয়েছিলেন। এসব
খাবার না খেলে তার বোনের কোনো সমস্যা হাতো না বলে তিনি উল্লেখ করেন। শাহিদা
স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করছিলেন বলে জানান তার বোন। ভুল বশত দুগ্ধজাত
খাবার খাওয়ার কারণে এর আগেও শাহিদা শহিদকে দুইবার হাসপাতালে ভর্তি করানো
হয়েছিল। শাহিদা সবসময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ পরিষ্কার করে তাদের জানিয়ে
দিতেন যে, তিনি কোন ধরনের খাবার খেতে পারবেন এবং কোন ধরনের খাবার খেতে
পারবেন না। এমনটাই আদালতকে জানিয়েছেন তার বড় বোন। শাহিদা শহিদ যেদিন মারা
যান সেদিনও বেশ হাসি-খুশি অবস্থায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বড় বোন।
No comments