কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ ৪ দেশের সম্পর্ক ছিন্ন
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও তিনটি দেশ। ওই তিনটি দেশ হলো- মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। এ দেশগুলো সৌদি আরবের একান্ত বন্ধু রাষ্ট্র ও মিত্র। খবর আল জাজিরা ও ডেইলি এক্সপ্রেসের। সোমবার ওই চার দেশ আলাদা বিবৃতিতে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। কূ্টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি ইয়েমেন যুদ্ধ থেকে কাতারের সৈন্যদের ফেরত পাঠানোরও ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। সোমবার সৌদি প্রেস এজেন্সির মাধ্যমে দেশটির বাদশাহ এসব ঘোষণা দেন। এসব সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার কথা বলেন তিনি। চার দেশের অভিযোগ, কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ অন্যান্য জঙ্গি দলগুলোকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়। আর এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে। তবে আল জাজিরা জানিয়েছে, কাতারের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থার একটি সাম্প্রতিক হ্যাকের পর কাতার ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলির মধ্যে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে শেষ পর্যন্ত দেশগুলো কাতারে সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের পাশাপাশি কাতারের সঙ্গে সকল ধরনের স্থল, নৌ ও আকাশপথের যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব।
নিজেদের এই ধরনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে সৌদি মিত্রদেরও একই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। সৌদি আরবের এই ঘোষণার সঙ্গে সম্প্রতি দেয়া বাহরাইনের এক ঘোষণার মিল পাওয়া যায়। তারাও কাতারের সঙ্গে বিমান ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটির কূটনৈতিকদের কাতার ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। পাশাপাশি কাতারের কূটনৈতিকদেরও একই নির্দেশনা দিয়েছিল বাহরাইন। সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশটিতে নিযুক্ত কাতারের কূটনীতিকদের দেশত্যাগের ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে। এছাড়া মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিমধ্যে কাতারের সঙ্গে আকাশসীমা এবং বন্দরসমূহ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। তবে এসব বিষয়ে কাতারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি। এ সিদ্ধান্তের কারণে পর্যটন রাষ্ট্র কাতার অবশ্য ভালো লোকসানের মুখে পড়বে বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের। এছাড়া ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন ও কাতার এয়ারওয়েজের বিশ্বব্যাপী ব্যবসা হুমকির মধ্যে পড়বে বলে ধারণা তাদের।
No comments