বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব নয়
প্রস্তাবিত বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব নয়। সুস্থ ও টেকসই পোশাক শিল্প গঠনের জন্য বাজেটে উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনা নেই বলে দাবি করেছে তৈরি পাশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তাই এ খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী দুই বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা, পাঁচ বছরের জন্য কর্পোরেট কর ১০ শতাংশ হারে নির্ধারণ এবং রফতানিতে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ উৎসে কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে সংগঠনটি। বাজেট চূড়ান্ত কার্যকর হওয়ার আগেই তাদের এসব দাবি সরকারকে মেনে নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, বর্তমান সহসভাপতি ফারুক হাসান, মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ নাছির, এসএম মান্নান কচি, পরিচালক আশিকুর রহমান প্রমুখ।সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দাবি করেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক খাতের দাবি-দাওয়ার প্রত্যাশিত বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বাজেট এখন পর্যন্ত পোশাক শিল্পবান্ধব হয়নি। তবে আলাপ-আলোচনার সুযোগ এখনও আছে।
সেজন্য আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত বাজেট পোশাক শিল্পবান্ধব হবে। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজেটে পোশাক শিল্পে নগদ সহায়তার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। যদিও পোশাক খাতের পক্ষ থেকে দাবি ছিল আগামী ২ বছরের জন্য উৎসে কর সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা। কর্পোরেট করের হার হ্রাস করে ১০ শতাংশ করা ও তা আগামী ৫ বছরের জন্য কার্যকর রাখা। এছাড়া আগামী ২ বছরের জন্য পোশাক রফতানির এফওবি মূল্যের ওপর প্রচলিত সুবিধাগুলোর অতিরিক্ত ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করা (যা শুধু বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে)। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এর প্রতিফলন ঘটেনি। তিনি দাবি করেন, শ্রম নিবিড় পোশাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সহায়তা ও প্রণোদনার বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, আরও দুই বছর কোনোভাবে টিকে থাকতে পারলে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আরও বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, পোশাক রফতানিতে বর্তমানে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী উৎসে কর পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত দেননি। তবে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ দেয়ার সুযোগটি ৩০ জুন শেষ হয়ে যাবে। আয়কর আইনের ৫৩ বিবি ও ৫৩ বিবিবিবি ধারায় ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের কথা বলা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও কানাডা ছাড়া নতুন বাজারে পোশাক রফতানিতে ৩ শতাংশ নগদ সহায়তা পান পোশাক শিল্প মালিকরা। তবে মোট রফতানির মাত্র ১৫ শতাংশ নতুন বাজারে হয়ে থাকে।
No comments