অবশেষে মহাকাশে ‘ব্র্যাক অন্বেষা’
শেষ হল বহুল প্রতীক্ষার প্রহর। রোববার মধ্যরাতে মহাকাশে পাড়ি দিল বাংলাদেশের তৈরি প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’। ব্র্যাক অন্বেষা দলের দেয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। ব্র্যাক অন্বেষা দল আরও জানায়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানো ও ন্যানো স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে স্থাপনের তথ্য পরে যথাসময়ে জানানো হবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৩টার দিকে মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সিআরএস-১১ অভিযানে স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটে করে এই ন্যানো স্যাটেলাইট পাঠানো হয়। উৎক্ষেপণের ঠিক আগ মুহূর্তে নাসার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফ্লোরিডায় আমাদের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ৭ মিনিটে ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে।’ জাপানে বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মানোয়ার ব্র্যাক অন্বেষা নামে ন্যানো স্যাটেলাইটটি তৈরি করেন। উৎক্ষেপণের পর এক ভিডিও পোস্টে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।
ভিডিওতে মাইসুন বলেন, এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছানোর পর একে কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। তারপর আমরা এটি থেকে সিগন্যাল পাওয়া শুরু করলেই পুরো কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশের ন্যানো স্যাটেলাইট যাত্রা গবেষক ড. আরিফুর রহমান খানের হাত ধরেই শুরু। উৎক্ষেপণের পর নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘মহাকাশে বাংলাদেশ...।’ আইএসএস থেকে ন্যানো স্যাটেলাইটটি স্থাপন করা সেই ‘সবচেয়ে প্রত্যাশিত’ দিনটি এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন কাফি। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে অন্তরা বলেন, ‘বাংলাদেশিদের হাতে তৈরি স্যাটেলাইট মহাকাশে গেছে, এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কী হতে পারে?’ এদিকে ন্যানো স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসের ৪ নম্বর ভবনে বানানো হয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশন। সামনে পরিকল্পনার ব্যাপারে গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাতা দলের দলনেতা মোহাম্মদ সৌরভ বলেন, ‘এবার হয়েছে মেইড বাই বাংলাদেশ, আমাদের ইচ্ছা সামনে মেইড ইন বাংলাদেশ স্যাটেলাইটও হবে।’
No comments