সতর্কতা কেন কমানো হল, প্রশ্ন ব্রিটেনে
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় কনসার্টে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার পর দেশজুড়ে জারি করা হয়েছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ছিল ‘ক্রিটিক্যাল লেভেল’ বা সংকটপূর্ণ স্তর। কয়েক দিন আগে সংকটপূর্ণ স্তর থেকে সতর্কতার মাত্রা কমিয়ে আনা হয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, সন্ত্রাসী হমলার বিষয়ে সতর্কতার মাত্রা কেন কমানো হল। গোয়েন্দাদের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ইন্ডিপেনডেন্ট বলেছে, ম্যানচেস্টার হামলার পর সতর্কতার মাত্রা ক্রিটিক্যাল লেভেলে ওঠানোর কয়েক দিন পরই তা সিভিয়ার বা মারাত্মক স্তরে নামিয়ে আনা হয়। এছাড়া রাস্তাগুলো থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানচেস্টার হামলার পর জাতীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসী হামলার লেভেল কমিয়ে আনা হয়। ওই হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময়ে এবার লন্ডনে হামলা হল। ব্রিটেনে কার্যত চার রকম সন্ত্রাসী হুমকির সতর্কতার মাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি। উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির সন্ত্রাসী হুমকি।
একই রকম হুমকি গ্রেট ব্রিটেন থেকেও। এই তিনটি হুমকির কথা প্রকাশ্যে বলা হয়। কিন্তু চতুর্থ মাত্রার হুমকির লেভেল বা মাত্রাটি গোপনই থেকে গেছে। এগুলো হল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রেল নেটওয়ার্কের মতো জাতীয় অবকাঠামোর ক্ষেত্রে হুমকি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবরে লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডে হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে সিভিয়ার বা মারাত্মক পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছিল। ওই সময় গ্রিনিচ অ্যারেনার কাছে টিউব ট্রেনে পাওয়া গিয়েছিল সন্দেহজনক ডিভাইস। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের হুমকির লেভেল নির্ধারণ করে জয়েন্ট টেরোরিজম এনালাইসিস সেন্টার (জেটিএসি)। ম্যানচেস্টার হামলার পর জেটিএসিই সতর্কতা মাত্রা সংকটপূর্ণ স্তরে ওঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যমান গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা সন্ত্রাসী হামলার হুমকির লেভেল উন্নীত নামানোর কাজ করে। তবে ম্যানচেস্টার হামলার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় রোববার বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার কারণে দেশটির গোয়েন্দাদের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা হামলার শুরুর ১০ থেকে ১৫ পর সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। অবশ্য মেট্রোপলিটন পুলিশ পরে দাবি করেছেন, হামলা শুরুর ৮ মিনিট পর ৩ জন হামলাকারীকে তারা গুলি করে হত্যা করে।
No comments