উচ্চশিক্ষিতের শুক্রাণু, ডিম্বাণু সুন্দরীর
উচ্চশিক্ষিত পাত্রই কাম্য। প্রকৃত সুন্দরী ছা়ড়া যোগাযোগ নয়।
বিয়ের বাজারে পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপনের মতো শোনাচ্ছে বটে। কিন্তু এমন চাহিদা আজকাল তুঙ্গে ‘স্পার্ম ডোনর’ বা শুক্রাণুদাতার বাজারেও। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইআইএম পাশ বা চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের দর সেখানে সবচেয়ে বেশি! ডিম্বাণুর ক্ষেত্রে সৌন্দর্যটাই বড় কথা।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশেই এই ছবি। স্পার্ম ব্যাঙ্কের কর্তা ও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডাক্তার, আইআইটি বা আইআইএম পাশ দাতার জন্য বেশির ভাগ গ্রহীতা তিন-চার গুণ বেশি দাম দিতেও রাজি। বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ রোহিত ঘুটঘুটিয়া জানাচ্ছেন, ‘‘কম শিক্ষিত দাতা-র এক ‘ভায়েল’ শুক্রাণুর জন্য ২০০০ টাকা নেওয়া হয়, সেখানে অতি উচ্চশিক্ষিত দাতার এক ‘ভায়েল’ শুক্রাণুর দর ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকাও উঠছে।’’
কেন? ইচ্ছুক বাবা-মায়েদের বিশ্বাস, শুক্রাণুদাতা মেধাবী হলে তাঁর জিনের দৌলতে সন্তানেরও সেই রকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কলকাতার একাধিক স্পার্ম ব্যাঙ্ক তাই ‘মেধাবী’ দাতা পেতে নিয়মিত নামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে লিফলেট বিলি করছেন, পোস্টার লাগাচ্ছেন, ‘হুইসপারিং ক্যাম্পেন’ চালাচ্ছেন। কলকাতার সব স্পার্ম ব্যাঙ্কই শুক্রাণুদাতার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধার্য করেছেন ‘স্নাতক।’ ল্যান্সডাউনের এক স্পার্ম ব্যাঙ্কের কর্ণধার, চিকিৎসক রাজীব অগ্রবাল আবার জানান, স্পার্ম দাতা নীরোগ কিনা বা উচ্চবর্ণের কিনা, তা নিয়ে এত দিন লোকে মাথা ঘামাতেন। এখন অগ্রাধিকারের শীর্ষে উঠে এসেছে ‘উচ্চশিক্ষা।’ একই কথা জানালেন বেহালার আর্যপল্লীর এক স্পার্ম ব্যাঙ্কের কর্তা সুজয় দাস। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগেই আমার কাছে মারওয়াড়ি এক শুক্রাণু-গ্রহীতা দম্পতি এসেছিলেন। ভদ্রলোক নিজে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শুক্রাণুদাতার জন্য তিনি মরিয়া ছিলেন।’’
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
বিয়ের বাজারে পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপনের মতো শোনাচ্ছে বটে। কিন্তু এমন চাহিদা আজকাল তুঙ্গে ‘স্পার্ম ডোনর’ বা শুক্রাণুদাতার বাজারেও। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইআইএম পাশ বা চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের দর সেখানে সবচেয়ে বেশি! ডিম্বাণুর ক্ষেত্রে সৌন্দর্যটাই বড় কথা।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশেই এই ছবি। স্পার্ম ব্যাঙ্কের কর্তা ও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডাক্তার, আইআইটি বা আইআইএম পাশ দাতার জন্য বেশির ভাগ গ্রহীতা তিন-চার গুণ বেশি দাম দিতেও রাজি। বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ রোহিত ঘুটঘুটিয়া জানাচ্ছেন, ‘‘কম শিক্ষিত দাতা-র এক ‘ভায়েল’ শুক্রাণুর জন্য ২০০০ টাকা নেওয়া হয়, সেখানে অতি উচ্চশিক্ষিত দাতার এক ‘ভায়েল’ শুক্রাণুর দর ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকাও উঠছে।’’
কেন? ইচ্ছুক বাবা-মায়েদের বিশ্বাস, শুক্রাণুদাতা মেধাবী হলে তাঁর জিনের দৌলতে সন্তানেরও সেই রকম হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কলকাতার একাধিক স্পার্ম ব্যাঙ্ক তাই ‘মেধাবী’ দাতা পেতে নিয়মিত নামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে লিফলেট বিলি করছেন, পোস্টার লাগাচ্ছেন, ‘হুইসপারিং ক্যাম্পেন’ চালাচ্ছেন। কলকাতার সব স্পার্ম ব্যাঙ্কই শুক্রাণুদাতার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধার্য করেছেন ‘স্নাতক।’ ল্যান্সডাউনের এক স্পার্ম ব্যাঙ্কের কর্ণধার, চিকিৎসক রাজীব অগ্রবাল আবার জানান, স্পার্ম দাতা নীরোগ কিনা বা উচ্চবর্ণের কিনা, তা নিয়ে এত দিন লোকে মাথা ঘামাতেন। এখন অগ্রাধিকারের শীর্ষে উঠে এসেছে ‘উচ্চশিক্ষা।’ একই কথা জানালেন বেহালার আর্যপল্লীর এক স্পার্ম ব্যাঙ্কের কর্তা সুজয় দাস। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগেই আমার কাছে মারওয়াড়ি এক শুক্রাণু-গ্রহীতা দম্পতি এসেছিলেন। ভদ্রলোক নিজে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শুক্রাণুদাতার জন্য তিনি মরিয়া ছিলেন।’’
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments