বিয়েতে রাজি না হওয়ায় থানায় আটকে নির্যাতন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা ভবনে সাইদুর রহমান নামের এক যুবককে চার দিন আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওসি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। এক তরুণীকে বিয়ে করতে সম্মত না হওয়ায় তার ওপর এ নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, সাইদুরের সারা শরীরে জখমের চিহ্ন এখনও রয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন সাইদুরের বড়ভাই ঢোলাখাল গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে লুৎফুর রহমান। সোমবার সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। একই সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির ‘নির্যাতন ও নিপীড়নের’ সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। লিখিত বক্তব্যে লুৎফুর রহমান বলেন, সাইদুরকে বেআইনিভাবে চার দিন থানাহাজতে আটকে রেখে এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। তিনি বলেন, গত ১০ জুন সিলেট থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোম্পানীগঞ্জ সদরে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে নামামাত্র হালিমা আক্তার নামের এক তরুণি ও সাইদুর রহমানকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরই ওসি নির্যাতক-নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ওসি আলতাফ নিজে সাইদুরের সঙ্গে হালিমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে অভিভাবক হিসেবে আমাদের ওপরও চাপ সৃষ্টি করেন ওসি। এতে আমরা সম্মত না হওয়ায় আমার ভাইয়ের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ওসি আলতাফ হোসেন ১২ জুন ওই মেয়েকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৭ ধারায় এক মামলায় সাইদুরকে গ্রেফতার দেখিয়ে চার দিনের মাথায় ১৩ জুন আদালতে সোপর্দ করেন। অথচ কোর্টে দেয়া চালানপত্রে গ্রেফতারের তারিখ ১২ জুন দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আলতাফ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, কিছু লোক টাকা দিয়ে আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে চেয়েছিল। আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
No comments