খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২৭০ সে মি উপরে
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২৭০ সে মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনটি ঝুঁকিপূণ স্থানে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছে শত শত মানুষ বলে জানা গেছে। গত দু’দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি আকষ্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার সকালে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচানোর আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে মাইকিং করে শহরবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, খোয়াই নদীর উৎপত্তি স্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। এ নদীটি জেলার চুনারুঘাট, বাহুবল, সদর, বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে। এ নদীর সঙ্গেই ৫টি উপজেলার বাসিন্দাদের সুখ-দুঃখ জড়িয়ে রয়েছে। রোববার দুপুর থেকে জেলায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়। পরদিন সোমবারও তা অব্যাহত থাকে। ফলে মধ্যরাতের পর থেকে খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পায়।
সোমবার সকালে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নদীর বাঁধের মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদীর বাঁধে ভাঙ্গনের আশংকায় রাতভর মানুষ তীর পাহারা দেন। রাত ৯টার পর থেকেই বাঁধের কয়েকটি দুর্বল স্থানে ছিদ্র হয়ে পানি শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরবাসীর মাঝে মারাত্মক আতংক দেখা দেয়। ওই স্থানগুলোতে সাধারণ মানুষ নিজেদের উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে এসব ছিদ্র বন্ধ করার চেষ্টা চালান। শহরের মসজিদগুলোতে মাইকিং করে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম জানান, সতর্কতার জন্য হিসেবে মাইকিং করা হয়েছে। শহরের ৩/৪টি স্থানে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টায় শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে নদীর উজানে বাংলাদেশ অংশের বাল্লা সীমান্ত এলাকায় পানি কমছে। তবে এর প্রভাব শহরে পড়তে আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। তিনি বলেন, যদি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যায় তাহলে শহরের অন্তত ৮ ফুট উপরে পানি থাকবে। কারণ নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। পানির বর্তমান অবস্থান প্রায় ১২ ফুট উপরে।
No comments