ভারতে রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির প্রার্থী দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দ
ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এ পদে সোমবার বিহারের বর্তমান রাজ্যপাল (গভর্নর) রামনাথ কোবিন্দের নাম ঘোষণা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত হয়। খবর এনডিটিভির। গত তিন বছর ধরে বিহারের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন কোবিন্দ। বর্তমানে তার বয়স ৭১ বছর। অমিত শাহ জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ বিরোধী নেতাদের এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। রামনাথ কোবিন্দ কানপুর থেকে উঠে আসা বিজেপির দলিত নেতা। ১৯৯৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত কোবিন্দ বিজেপির তফসিলি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি পেশায় আইনজীবী। সুপ্রিমকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের শীর্ষ সহযোগী ছিলেন। বিজেপি আশা করছে, একজন দলিতকে প্রার্থী করার ফলে ভারতের নিন্মবর্ণের হিন্দু ও দরিদ্র ভোটারদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, কোবিন্দ হবেন একজন ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রপতি। অভিজ্ঞ এই আইনজীবীর সংবিধানের ওপর জানাশোনা থাকায় জাতি উপকৃত হবে। কোবিন্দের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো প্রার্থী দেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে নির্বাচন হলও ক্ষমতাসীন দলের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। সোমবার সকালেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার অভিযোগ করেন, কেন্দ্র প্রার্থী ঘোষণা করতে খুব বেশি সময় নিচ্ছে। ২-৩ দিনের বেশি অপেক্ষা করা যাবে না বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরে চান, এই পদে প্রার্থী হোক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন কিংবা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, বেঙ্কাইয়া নাইডুকে। এর আগে ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা এলকে আদভানি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নাম শোনা গিয়েছিল। তবে শনিবার সুষমা জানান যে তিনি প্রার্থী হচ্ছে না। ১৭ জুলাই এ নির্বাচনকে সামনে রেখে একক প্রার্থী ঘোষণায় একজোট হয়েছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। আগামী ২৮ জুন রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। আর ২০ জুলাই ভোট গণনা শেষে জানা যাবে কে হচ্ছেন ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি।
No comments