নদী দূষণমুক্ত রাখা ও পানির অপচয় রোধের আহ্বান
যশোর ও রাজবাড়ীতে গতকাল বুধবার নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটির স্লোগান ছিল ‘নদ-নদী খাল-বিলে দূষণ চলে যদি, জনগণের দুঃখ তাতে বাড়বে নিরবধি’। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তারা দেশের নদ-নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে এবং সুপেয় পানির অপচয় রোধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। যশোরে পানি দিবসের কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসনের কালেক্টরেট চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শহর ঘুরে একই স্থানে এসে সেটি শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘চারদিকে প্রচুর পানি। কিন্তু সুপেয় পানির বড় অভাব। নিরাপদ এই পানির অপচয় যদি বন্ধ করা না যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এ জন্য নদ-নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে হবে। বর্ষার পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমাতে হবে।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আসাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পাউবোর যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী। বক্তব্য দেন যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান,
পাউবোর সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা আন্তনদী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সব নদী খনন করে বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে জমি সেচসহ বিভিন্ন কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। রাজবাড়ীতে দিবসটির কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শহরের প্রধান সড়কের পান্না চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে সেটি আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জিনাত আরা। বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মানোয়ার হোসেন মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আছাদুজ্জামান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. আবদুল হামিদ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন পাউবোর রাজবাড়ী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর। বক্তারা পানির অপচয় রোধে এবং নদী দূষণমুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
No comments