চিনে ফেলায় শাহরাস্তির পল্লিচিকিৎসককে হত্যা
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পল্লিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার তারা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলে, তারা তাঁর ঘরে চুরি করতে ঢুকেছিল। কিন্তু তিনি চিনে ফেলায় তারা নিজেদের বাঁচাতে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে। ওই দুই আসামি হচ্ছে শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের বানিয়াচোঁ গ্রামের মো. আসিফ মিয়াজী ওরফে বাবু (১৬) ও একই এলাকার মো. সফিউল আলম ওরফে শুভ (১৬)। এ ঘটনায় পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন বানিয়াচোঁ গ্রামের মো. মাহফুজ (২৩) ও সোহরাব মৃধা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বানিয়াচোঁ গ্রামের পল্লিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে দুর্বৃত্তরা তাঁর চেম্বারের সামনে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন তাঁর ছোট ছেলে মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোহরাব মৃধাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসিফ ও সফিউলকে পুলিশ গত সোমবার আর মাহফুজকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহরাস্তি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর হোসেন মামুন জানান, মঙ্গলবার দুপরে আসিফ ও সফিউলকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তারা চাঁদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম নাজমুন নাহার বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। মামুন জানান, আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে আসিফকে শনাক্ত করা হয়। মামুন আরও জানান, হত্যার কারণ সম্পর্কে আসিফ ও সফিউল জবানবন্দিতে বলে, তারা কয়েক বন্ধু ক্রিকেট খেলা নিয়ে নগদ টাকা বাজি ধরে। এতে আসিফ ও সফিউলেক ৭ হাজার ২০০ টাকা ঋণ করতে হয়। তারা স্থানীয় মাহফুজের কাছ থেকে ওই টাকা ধার নেয়। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে মাহফুজ টাকার জন্য আসিফকে মারধর করেন। তারা মাহফুজের পাওনা পরিশোধের জন্য ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে টাকা চুরির জন্য আনোয়ার হোসেনের ঘরে ঢোকে। চিনে ফেলায় তারা আনোয়ার হোসেনের গলা চেপে ধরে। এতে আনোয়ার হোসেন অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঘর থেকে টেনে এনে তাঁর চেম্বারের সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাহফুজকে গতকাল আদালতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসিফ ও সফিউলকে পুলিশ গত সোমবার আর মাহফুজকে গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহরাস্তি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর হোসেন মামুন জানান, মঙ্গলবার দুপরে আসিফ ও সফিউলকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে তারা চাঁদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম নাজমুন নাহার বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। মামুন জানান, আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে আসিফকে শনাক্ত করা হয়। মামুন আরও জানান, হত্যার কারণ সম্পর্কে আসিফ ও সফিউল জবানবন্দিতে বলে, তারা কয়েক বন্ধু ক্রিকেট খেলা নিয়ে নগদ টাকা বাজি ধরে। এতে আসিফ ও সফিউলেক ৭ হাজার ২০০ টাকা ঋণ করতে হয়। তারা স্থানীয় মাহফুজের কাছ থেকে ওই টাকা ধার নেয়। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে মাহফুজ টাকার জন্য আসিফকে মারধর করেন। তারা মাহফুজের পাওনা পরিশোধের জন্য ২৬ জানুয়ারি গভীর রাতে টাকা চুরির জন্য আনোয়ার হোসেনের ঘরে ঢোকে। চিনে ফেলায় তারা আনোয়ার হোসেনের গলা চেপে ধরে। এতে আনোয়ার হোসেন অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঘর থেকে টেনে এনে তাঁর চেম্বারের সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাহফুজকে গতকাল আদালতে নেওয়া হয়েছে।
No comments