স্ত্রীর অনুরোধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছি : টিলারসন
সরকারি
দায়িত্ব পালনের ইচ্ছা ছিল না মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের।
কেবল স্ত্রীর অনুরোধেই তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন বলে এক সাক্ষাৎকারে
জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এশিয়া সফর শেষে এ কথা
জানালেন টিলারসন। খবর গার্ডিয়ানের। টিলারসনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের
দু’মাসের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে
বৃহস্পতিবার। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করণীয় শীর্ষক ওই সম্মেলনের
কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের মন্ত্রিত্ব গ্রহণের রহস্য জানালেন তিনি। এশিয়া সফর
থেকে ফেরার পথে বিমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নাল রিভিউকে (আইজেআর) সাক্ষাৎকার
দেন টিলারসন। তেল কোম্পানি এক্সন মোবিলের সাবেক প্রধান নির্বাহী টিলারসন
বলেন, ‘আমি এ চাকরি করতে চাইনি। আমার ইচ্ছা ছিল না এসব করার। আমার স্ত্রী
আমাকে রাজি করিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড
ট্রাম্পের বিস্ময়কর জয়ের আগপর্যন্ত তার (ট্রাম্পের) সঙ্গে আমার কখনও দেখা
হয়নি। তিনি ট্রাম্প টাওয়ারে আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন। তেল কোম্পানির প্রধান
নির্বাহী হিসেবে বিশ্ব সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলেন।
আলোচনা শেষে
তিনি আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলেন। শুনে আমি হতভম্ব হয়ে
গেলাম। বৈঠক শেষে বাড়ি ফিরে এলে আমার স্ত্রী রেন্ডা ক্লেয়ার আমার মুখে হাত
বুলিয়ে বললেন, ঈশ্বর তোমার অবসর চান না। তুমি রাজি হয়ে যাও।’ ৬৫ বছর বয়সী
টিলারসন জানান, এক্সন মোবিলে ৪০ বছরের ক্যারিয়ার শেষে আমি অবসর নিতে
চেয়েছিলাম। নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। তা আর হলো না!
ফেব্রুয়ারির শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন সমালোচনার
শিকার হয়েছেন রেক্স টিলারসন। রাশিয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে
অভিযোগ রয়েছে। গত দু’মাসে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ পররাষ্ট্রবিষয়ক যেসব
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে টিলারসনের কোনো ভূমিকা নেই। এমনকি
তিনি সংবাদ সম্মেলনও করেননি। সাম্প্রতিক এশিয়া সফরেও কয়েক দশকের রীতি ভেঙে
কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে নেননি তিনি। কেবল স্বল্পপরিচিত রিপাবলিকান
গণমাধ্যম আইজেআর সাংবাদিককে ডেকে নিয়েছিলেন।
No comments