কুমারখালীর সেই স্কুলের নাম বদলে গেল
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রাজাকার মনতাজ আলীর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে গতকাল বুধবার এ পদক্ষেপ নিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম গতকাল বলেন, মনতাজ আলী রাজাকার ছিলেন, এ-সংক্রান্ত চিঠি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডারের কাছ থেকে পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে থাকা ‘হাজি মনতাজ আলী’ অংশটুকু মুছে ফেলার নির্দেশনা দেন তিনি। ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই নাম মুছে দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি আপাতত ‘পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে কার্যক্রম চালাবে। বিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনাটি গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে পৌঁছায়। গতকাল সকালে স্কুল ভবনে খোদাই করে লেখা ‘হাজি মনতাজ আলী’ অংশটি সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। আগ্রাকুণ্ডা এলাকায় অবস্থিত হাজি মনতাজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রাজাকারের নামে কি না, তা জানতে সম্প্রতি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মোকাদ্দেস হোসেনকে চিঠি দেয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়।
কিন্তু জবাবে মোকাদ্দেস উল্লেখ করেন, মনতাজ আলী রাজাকার ছিলেন না। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে গত সোমবার প্রথম আলোতে ‘রাজাকারের পক্ষে প্রত্যয়নপত্র?’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। কমান্ডার মোকাদ্দেস ওই দিনই প্রত্যয়নপত্রটি বাতিলের জন্য কুমারখালীর ইউএনওর কাছে আবেদন করেন। ছেলের নামও মোছার নির্দেশ এদিকে কুমারখালী উপজেলারই পাথরবাড়িয়া হিজলাকর দাখিল মাদ্রাসার একটি ভবন রাজাকার মনতাজ আলীর ছেলে এন আই আনছারের (নুরুল ইসলাম আনছার) নামে রয়েছে। সেটিও মুছে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। মাদ্রাসার সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘নামটি মুছে ফেলার নির্দেশনা পেয়েছি। শিগগিরই আমরা নামটি মুছে ফেলব।’
No comments