আতিয়া মহলে থেমে থেমে বিস্ফোরণ-গুলি
সিলেট
মহানগনীর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানা 'আতিয়া মহলে'
অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনী। রোববার সকাল
সাড়ে ৭টার দিকে তারা ভবনটির সামনে অবস্থান নেন। এরপর সকাল ৮টা থেকে সেখান
থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে, সিএমপির পক্ষ
থেকে আতিয়া মহলের এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সিলেটের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিরিয়া যুগান্তরকে জানান, শিববাড়ির 'জঙ্গি
আস্তানা' আতিয়া মহলের চতুর্দিকে রোববার সকাল ৭টা থেকে এক বর্গকিলোমিটার
এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'ওই এলাকার মধ্যে আইনশৃংখলা
বাহিনীর সদস্য ও বাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। এছাড়া
কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ এবং একসঙ্গে তিনজনের বেশি লোকজন চলাচল করা যাবে না।'
এর আগে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে শুক্রবার ভোর থেকে 'আতিয়া মহল' নামের
পাঁচতলা ভবনটি ঘিরে রাখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাড়িটির প্রধান ফটকে
তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, ওই বাড়ির নিচতলায়
অবস্থান করছেন নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মুসাসহ চার জঙ্গি। পরে গতকাল
শনিবার সকাল থেকে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো বাহিনী।
'অপারেশন টোয়াইলাইট' নামের এ অভিযান তত্ত্বাবধান করছেন সেনা বাহিনীর ১৭
পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন। প্যারা কমান্ডো দলের
সঙ্গে অভিযানে সহযোগিতা করছে সোয়াত ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।
দিনভর অভিযানে সেনাবাহিনী ভবনে অবরুদ্ধ ৭৯ জনকে উদ্ধার করে। পরে অভিযান
বিষয়ে সেনাবাহিনীর ব্রিফিং চলাকালে ও পরে আরেক দফা বোমা হামলায় দুই পুলিশ
কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত এবং পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) তাদের বার্তা সংস্থা
'আমাক' এর মাধ্যমে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
No comments