থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ, অভিযান অব্যাহত
সিলেটের
দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির সন্দেহভাজন উগ্রবাদী আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা
বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের
শব্দ। সিলেট শহরজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মানুষের
মধ্যে কাজ করছে আতঙ্ক। এর আগে সেনাবাহিনী জানায়, বাড়িটিতে বিস্ফোরক
(আইইডি) পেতে রাখা হয়েছে। তাই বলা যাচ্ছে না অভিযান কখন শেষ হবে। সিলেটে
উগ্রবাদী আস্তানা ঘিরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলাকালে
শনিবার সন্ধ্যা ও রাতে দু দফা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনের
মৃত্যু হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন র্যাব, পুলিশ,
সাংবাদিকসহ অনেকেই। গুরুতর আহত র্যাবের দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ঢাকায়
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আনা হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিক শাকির হোসেন
বলছিলেন, ঘটনাস্থল থেকে দেড়-দুই কিলোমিটার দুর থেকে কিছুক্ষণ পর পর
বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। গতকাল দুই দফা বোমা হামলার পর জনমনে আতঙ্ক
কাজ করছে। সাজার আহমেদ নামে দক্ষিণ সুরমার একজন বাসিন্দা বলছিলেন " গতকাল
সন্ধ্যের পর মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড আতঙ্ক কাজ করছে।
তিন দিন পরও এখন অভিযান
শেষ না হওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা কাজ করছে"। তিনি বলছিলেন, পুরো সিলেটে
এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। "বোমা বিস্ফোরণের আগ পর্যন্ত শহরের মানুষের
মধ্যে একটা কৌতুহর ছিল কিন্তু এখন দোকান পাট বন্ধ। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায়
মানুষ বের হচ্ছেন না" বলছিলেন সিলেটের এই বাসিন্দা। শনিবার সকাল সাড়ে
নয়টার দিকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। বেলা সোয়া একটার মধ্যে ওই বাড়ির
২৮টি ফ্ল্যাটে আটকে পড়া ৭৮ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে বের করে আনেন
সেনাসদস্যরা। তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২১ জন শিশু। তাদের
পাঠানপাড়ার একটি বাসায় রাখা হয়। তৌকির আহমেদ নামে শিববাড়ির একজন
বাসিন্দা বলছিলেন আজ রবিবার সকাল ছয়টায় তার ঘুম ভাঙ্গে প্রচণ্ড
বিস্ফোরণের শব্দে। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে সেখান শব্দ শোনা যাচ্ছে। তিনি
বলছিলেন যদিও তার বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে চার কিলোমিটার দুরে তারপরেও
বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন তিনি। মি. আহমেদ বলছিলেন "আগেআমরা ধারণা
করছিলাম ঐ বাড়ির মধ্যে জঙ্গি আছে কিন্তু বাইরে হামলা হওয়ার পর এখন মনে
হচ্ছে আমাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে তারা চলাফেরা করছে, যেকোনো সময়
হামলা করতে পারে এই ভয় কাজ করছে"। সূত্র : বিবিসি
No comments