সন্ধ্যামালতী সন্ধ্যায় ফোটে-সকালে ঝড়ে যায়
সন্ধ্যা
হতে না হতেই ফুল ফোটে, সকালে শুকিয়ে যায়। এর নাম সন্ধ্যামালতী বা
সন্ধ্যামনি। কিছু কিছু ফুলে রয়েছে সুমিষ্ট গন্ধ, তবে সব ফুলে নেই।
সন্ধ্যামালতীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল এতে একটি গাছেই বিভিন্ন রঙের ফুল
ফুটতে পারে। শুধু তাই না, মাঝেমাঝে একই ফুলে বিভিন্ন রঙ দেখা যায় অর্থাৎ
ফুলের রং পরিবর্তিত হতে পারে। ফুল দেখতে অনেকটা ধুতুরা ফুলের মতো। সাদা,
লাল, কমলা, হলুদসহ বিভিন্ন বর্ণের ফুল হয়ে থাকে। আবার কোনো কোনো ফুলে
একসঙ্গে দুটি বর্ণ দেখা যেতে পারে। গাছের শিকড় থেকে ডালিয়ার মতো স্ফীত কন্দ
জন্মায়। এ কন্দ থেকে পরবর্তী বছর গাছ জন্মানো সম্ভব। বীজ থেকেও চারা
জন্মে। একে টবেও চাষ করা যায়। সন্ধ্যামালতী খুব কষ্টসহিষ্ণু। একে অনাবৃত
জায়গায় অথবা যেখানে খুব কম রোদ পায় সেখানেও চাষ করা চলে। বিভিন্ন তথ্য
-উপাত্ত মারফত জানা যায়, ফুলটির আদি নিবাস আমেরিকা। অনেকের মতে পেরু দেশ
থেকে এ ফুলের উৎপত্তি। সন্ধ্যা মালতী দেখতে নলাকার ফুলগুলো, প্রায় ইঞ্চি
খানেক চওড়া এবং লম্বায় দুই ইঞ্চি।
লাল, পিংক, হলুদ ও সাদা রঙয়ের হয়ে থাকে।
গাছ ২/৩ ফুট লম্বা এবং একই রকম চওড়া। সারা বসন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালজুড়ে
ফুল ফুটতে দেখা যায়। বীজ ক্ষুদ্র, কালো রঙের। সন্ধ্যামালতী ফুল সাধারণত
বাগান, বসতবাড়ি সাজানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।
মানিকগঞ্জের প্রায় সব এলাকাতেই বসত বাড়ি, ঝোপ-ঝাড়ে প্রাকৃতিকভাবে এটি জন্মে
থাকে। অনেকেই শখের বশে বাসা বাড়িতে টপে চাষ করে। কিছু কিছু নার্সারীতে
বাণিজ্যিকভাবে চাস করে থাকে সন্ধ্যামালতী ফুল গাছ। তবে দিন দিন সৌন্দর্য
বদ্ধনকারী এ ফুল গাছের সংখ্যা কমে আসছে প্রকৃতিতে। বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ তৈরীতে
এর ফুল ও শিকড় ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এর পাতার রস ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহৃত
হয়। সন্ধ্যামালতী ফুল সাধারণত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে রঙের কাজে ব্যবহৃত
হয়। কেক ও জেলী রঙের কাজেও এর রঙ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিভিন্ন ভেষজ ঔষধ
তৈরীতে এর ফুল ও শিকড় ব্যবহৃত হয়। এর পাতার রসও ক্ষত সারানোর কাজে ব্যবহৃত
হয়ে থাকে।
No comments