সাড়ে তিন কোটি মানুষ এখন মধ্যবিত্ত -বিআইডিএসের গবেষণা
বাংলাদেশে দ্রুত মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ হচ্ছে। এ মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিশাল অংশ চাকরি করে। তারা এখন ফ্ল্যাটে থাকে কিংবা জমির মালিক। তারা ইন্টারনেটও ব্যবহার করে। টাকাপয়সা রাখে ব্যাংক হিসাবে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখন মধ্যবিত্ত। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মধ্যবিত্ত হবে।
এ তথ্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস)। গবেষণাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গবেষণার এ ফল প্রকাশ করা হয়। যাঁরা দৈনিক দুই থেকে তিন ডলার (পিপিপি হিসাবে) আয় করেন, তাঁদের মধ্যবিত্ত হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এ হিসাবটি স্বীকৃত। বিআইডিএস এ গবেষণাটি করেছে ঢাকা শহরের ১২টি এলাকায়। গবেষণার নমুনার সংখ্যা ৮০৯।
গবেষণাটি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিনায়ক সেন প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যবিত্তের সেই হিসাবটি ২০১০ সাল ধরে করা হয়েছে। অতীতের একই প্রবণতা ধরে নেওয়া হলে ২০১৫ সালে এসে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী মোট জনগোষ্ঠীর সাড়ে ২২ শতাংশ হবে।
বিনায়ক সেনের এ হিসাবটি বিবেচনায় এনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গতকাল রাত ৮টা ৫২ মিনিটে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ জন। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী হলো ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৪ জন।
মূল গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৯২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য হারে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটেছে। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত ছিল। প্রায় দুই দশক পরে এ মধ্যবিত্তের হার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এ সময়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে দারিদ্র্য বিমোচন দ্রুত হয়েছে। উন্নয়ন টেকসই হয়েছে।
গবেষণা সম্পর্কে বিনায়ক সেন বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণির আরও বিকাশ হলে প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো হবে। এতে উদ্যোক্তা, শ্রমিক ও চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়বে। যত বেশি চাকরিজীবী বাড়বে, প্রবৃদ্ধিও সুসংহত হবে।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির চরিত্রটি কেমন—তাও এ গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে যত মধ্যবিত্ত রয়েছে, এর ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় অর্ধেকই বেসরকারি চাকরি করে। আর ২০ শতাংশের বেশি সরকারি চাকরি করে। মধ্যবিত্তদের মাত্র প্রায় ২২ শতাংশ ব্যবসা করে। নিম্নমধ্যবিত্তের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ বেসরকারি চাকরি করে। আর ব্যবসায় সম্পৃক্ত মাত্র ১৭ শতাংশ।
একসময় ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা শুধু উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরাও এখন ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। গবেষণায় ফলাফলে দেখা গেছে, ২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে। আর বাংলা মাধ্যমে পড়ে দুই-তৃতীয়াংশ মধ্যবিত্তের ছেলেমেয়েরা। তবে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৭৫ শতাংশই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে।
মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে শহর এলাকায় জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য স্থাবর সম্পদ তৈরির ঝোঁক বেড়েছে। ২০১২ সালের হিসাবে, এ শ্রেণির অর্ধেকই এখন জমির মালিক। ১৯৯২ সালে তাদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশের জমির মালিক ছিল। আবার ৩৩ দশমিক ০৬ শতাংশ ফ্ল্যাটের মালিক। ১৯৯২ সালে এর হার ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে উচ্চবিত্তদের মধ্যে ৯০ শতাংশের ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০ বছরের আগে এ হার ছিল মাত্র ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ। শহরে বসবাসরত মধ্যবিত্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জমির মালিক, আর প্রায় এক-চতুর্থাংশ ফ্ল্যাটের মালিক।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারেও মধ্যবিত্তের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ মধ্যবিত্ত তাদের বাসাবাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মধ্যে এ হার যথাক্রমে ৮৪ দশমিক ২ শতাংশ ও ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে প্রবাসী-আয় পায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মধ্যবিত্ত পরিবার।
মধ্যবিত্তদের মধ্যে আর্থিক খাতে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রবণতাও বেশ ভালো। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৯৬ শতাংশ মধ্যবিত্তের ব্যাংক হিসাব আছে। প্রায় এক-চতুর্থাংশ মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখে। আর প্রায় ১৭ শতাংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। মধ্যবিত্তদের ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে।
গবেষণায় সুপারিশ করা হয়েছে, মধ্যবিত্তদের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার পরের স্তরে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। মধ্যবিত্তদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা: অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মধ্যবিত্ত সম্পর্কে আরও তথ্য জানা দরকার। যত বেশি মধ্যবিত্ত তৈরি হবে, প্রবৃদ্ধি তত বেশি টেকসই হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম বলেন, মধ্যবিত্তের বিকাশ মানেই হলো সেবা খাতের বিস্তৃতি। এতে অর্থনীতি টেকসই হয়। কেননা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্ধেকের বেশি আসে সেবা খাত থেকে। তাঁর মতে, ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে হলে সেবা খাতের বিকাশ ঘটাতেই হবে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের মতে, শুধু আয় দিয়ে মধ্যবিত্তের হিসাব করাটা অনেকটা যান্ত্রিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের মূল্যবোধগুলো বিবেচনায় আনা উচিত।
এ তথ্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস)। গবেষণাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গবেষণার এ ফল প্রকাশ করা হয়। যাঁরা দৈনিক দুই থেকে তিন ডলার (পিপিপি হিসাবে) আয় করেন, তাঁদের মধ্যবিত্ত হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এ হিসাবটি স্বীকৃত। বিআইডিএস এ গবেষণাটি করেছে ঢাকা শহরের ১২টি এলাকায়। গবেষণার নমুনার সংখ্যা ৮০৯।
গবেষণাটি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিনায়ক সেন প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যবিত্তের সেই হিসাবটি ২০১০ সাল ধরে করা হয়েছে। অতীতের একই প্রবণতা ধরে নেওয়া হলে ২০১৫ সালে এসে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী মোট জনগোষ্ঠীর সাড়ে ২২ শতাংশ হবে।
বিনায়ক সেনের এ হিসাবটি বিবেচনায় এনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে গতকাল রাত ৮টা ৫২ মিনিটে দেশের জনসংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ৭৩১ জন। এর মধ্যে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী হলো ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৪ জন।
মূল গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৯২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য হারে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ ঘটেছে। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত ছিল। প্রায় দুই দশক পরে এ মধ্যবিত্তের হার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এ সময়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশে দারিদ্র্য বিমোচন দ্রুত হয়েছে। উন্নয়ন টেকসই হয়েছে।
গবেষণা সম্পর্কে বিনায়ক সেন বলেন, মধ্যবিত্ত শ্রেণির আরও বিকাশ হলে প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো হবে। এতে উদ্যোক্তা, শ্রমিক ও চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়বে। যত বেশি চাকরিজীবী বাড়বে, প্রবৃদ্ধিও সুসংহত হবে।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির চরিত্রটি কেমন—তাও এ গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে যত মধ্যবিত্ত রয়েছে, এর ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় অর্ধেকই বেসরকারি চাকরি করে। আর ২০ শতাংশের বেশি সরকারি চাকরি করে। মধ্যবিত্তদের মাত্র প্রায় ২২ শতাংশ ব্যবসা করে। নিম্নমধ্যবিত্তের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ বেসরকারি চাকরি করে। আর ব্যবসায় সম্পৃক্ত মাত্র ১৭ শতাংশ।
একসময় ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা শুধু উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরাও এখন ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। গবেষণায় ফলাফলে দেখা গেছে, ২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে। আর বাংলা মাধ্যমে পড়ে দুই-তৃতীয়াংশ মধ্যবিত্তের ছেলেমেয়েরা। তবে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৭৫ শতাংশই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে।
মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে শহর এলাকায় জমি, ফ্ল্যাট বা অন্য স্থাবর সম্পদ তৈরির ঝোঁক বেড়েছে। ২০১২ সালের হিসাবে, এ শ্রেণির অর্ধেকই এখন জমির মালিক। ১৯৯২ সালে তাদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশের জমির মালিক ছিল। আবার ৩৩ দশমিক ০৬ শতাংশ ফ্ল্যাটের মালিক। ১৯৯২ সালে এর হার ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে উচ্চবিত্তদের মধ্যে ৯০ শতাংশের ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০ বছরের আগে এ হার ছিল মাত্র ২৬ দশমিক ১১ শতাংশ। শহরে বসবাসরত মধ্যবিত্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ জমির মালিক, আর প্রায় এক-চতুর্থাংশ ফ্ল্যাটের মালিক।
আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারেও মধ্যবিত্তের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। ৬১ দশমিক ৩ শতাংশ মধ্যবিত্ত তাদের বাসাবাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মধ্যে এ হার যথাক্রমে ৮৪ দশমিক ২ শতাংশ ও ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর বিদেশে থাকা আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে প্রবাসী-আয় পায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মধ্যবিত্ত পরিবার।
মধ্যবিত্তদের মধ্যে আর্থিক খাতে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রবণতাও বেশ ভালো। গবেষণায় বলা হয়েছে, ৯৬ শতাংশ মধ্যবিত্তের ব্যাংক হিসাব আছে। প্রায় এক-চতুর্থাংশ মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখে। আর প্রায় ১৭ শতাংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। মধ্যবিত্তদের ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে।
গবেষণায় সুপারিশ করা হয়েছে, মধ্যবিত্তদের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার পরের স্তরে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। আর্থিক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। মধ্যবিত্তদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা: অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মধ্যবিত্ত সম্পর্কে আরও তথ্য জানা দরকার। যত বেশি মধ্যবিত্ত তৈরি হবে, প্রবৃদ্ধি তত বেশি টেকসই হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম বলেন, মধ্যবিত্তের বিকাশ মানেই হলো সেবা খাতের বিস্তৃতি। এতে অর্থনীতি টেকসই হয়। কেননা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্ধেকের বেশি আসে সেবা খাত থেকে। তাঁর মতে, ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে হলে সেবা খাতের বিকাশ ঘটাতেই হবে।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের মতে, শুধু আয় দিয়ে মধ্যবিত্তের হিসাব করাটা অনেকটা যান্ত্রিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের মূল্যবোধগুলো বিবেচনায় আনা উচিত।
No comments