মিশরে বিধ্বস্ত রাশিয়ান বিমানটিতে বোমা?
মিশরের
সিনাই উপত্যকায় বিধ্বস্ত হওয়া রাশিয়ার বিমানটিতে বোমা রাখা ছিল বলে মনে
করছেন বৃটিশ গোয়েন্দারা। তবে মিশর ও রাশিয়া এ দাবির তীব্র সমালোচনা করেছে। এ
খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত
হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন বৃটিশ কর্মকর্তারা। তাদের ধারণা,
উড্ডয়নের আগে বিমানের কার্গো হোল্ডে একটি বোমা রাখা হয়েছিল। বৃটিশ
গোয়েন্দারা বলছেন, সিনাইয়ের কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গোপন আলাপ থেকে তারা এ
ধারণা পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও বলেছেন, কার্গোতে বোমা
থাকার বিষয়টিকে তারাও গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন। তবে মিশরের দাবি, এ
ধরণের উপসংহারে পৌঁছানোর সময় এখনো আসেনি। শুধু ধারণা করেই খ্রান্ত দেয়নি
বৃটেন। মিশরের শার্ম আল শেইখে ভ্রমণের বিষয়ে নিজ নাগরিকদের সতর্ক করে
দিয়েছে দেশটি। এছাড়া নিজেদের হাজার হাজার পর্যটককে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনছে
বৃটেন। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের দেশে ফেরার সময় কেবল হ্যান্ডব্যাগ সঙ্গে
রাখতে বলা হয়েছে। তাদের বাকি মালামাল পরে আলাদা বিমানে নিয়ে যাওয়া হবে।
বৃটেনের পাশাপাশি ফ্রান্স ও বেলজিয়ামও পরে নিজ নিজ নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ
সতর্কতা জারি করেছে। এর আগে এমিরেটস সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত বিমান পরিবহণ
সংস্থা ওই এলাকা দিয়ে বিমান না উড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এরপরও বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে এক ধরনের ধুম্রজাল। রাশিয়া বলছে, সঠিক কারণ জানতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন সহ আরো অনেকেই বলছে যে, সন্ত্রাসী হামলার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। জঙ্গিগোষ্ঠি আইএস-এর সঙ্গে স¤পর্কিত একটি গোষ্ঠী বিমান ধসিয়ে দেয়ার দায় নিয়েছে। কিন্তু মিশর বলছে যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিমানের অভ্যন্তরীণ কোনো গোলযোগের কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, কোনো সন্ত্রাসী হামলার দরুণ নয়।
তবে এরপরও বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে এক ধরনের ধুম্রজাল। রাশিয়া বলছে, সঠিক কারণ জানতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন সহ আরো অনেকেই বলছে যে, সন্ত্রাসী হামলার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। জঙ্গিগোষ্ঠি আইএস-এর সঙ্গে স¤পর্কিত একটি গোষ্ঠী বিমান ধসিয়ে দেয়ার দায় নিয়েছে। কিন্তু মিশর বলছে যান্ত্রিক ত্রুটি বা বিমানের অভ্যন্তরীণ কোনো গোলযোগের কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, কোনো সন্ত্রাসী হামলার দরুণ নয়।
No comments