গণজাগরণ মঞ্চের কফিন মিছিল: ‘জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে’
গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার অভিযোগ করে বলেছেন, দেশে একের পর এক মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। জঙ্গিরা শুধু ব্লগার ও লেখককে হত্যা করছে না, তারা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করা শুরু করেছে। এসব ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও বিচারে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে থেকে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। গতকাল গণজাগরণ মঞ্চ একাংশ আয়োজিত মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শাহবাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী এক প্রতীকী কফিন মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১১টায় শাহবাগ থেকে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে কফিন মিছিল সচিবালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই মিছিলটি টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শিক্ষাভবন হয়ে প্রেস ক্লাবের পূর্বপাশে গেলে পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সেখানে বসে পড়েন। বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলে নিহত ব্লগার রাজীব হায়দার, বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় ও জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের প্রতীকী ছয়টি কফিন কাঁধে করে বহন করা হয়।
এ সময় ইমরান এইচ সরকার তার বক্তব্যে বলেন, দেশে বর্তমানে এক আতঙ্কিত পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ ভীত হয়ে পড়েছে। কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। শুধু মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের নয়, জঙ্গিরা এখন পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করে হত্যা করছে। এটি মেনে নেয়া যায় না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা মাজারে হামলা করে মুরিদদের হত্যা করছে। এতে বোঝা যায় যে, তারা ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে গোটা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সরকারের ভূমিকা শুধু আমাদের কাছে নয়, দেশের মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। সরকার এ জঙ্গিদের দমন করার জন্য কোন আশু পদক্ষেপ নেয়নি। আলাদা কোন ইউনিট গঠন করেনি। ইমরান আরও বলেন, যে ছয়জন মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের মামলার তদন্ত করা বা খুনিদের ধরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। যে খুনিদের ধরা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে। তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সরকারের প্রশ্রয় ও সহনশীলতা জঙ্গিদের কার্মকাণ্ডকে প্রসারিত করেছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে সেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয়। দায় এড়ানো ও দায় চাপানোর এই প্রক্রিয়ার ফলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। তিনি প্রশাসনের ভেতরে ভূত ঢুকেছে উল্লেখ করে বলেন, ওই ভূত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ঢুকে ওই বাহিনীর কাজকে অকার্যকর করে রেখেছে। এদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত না করলে ওই ব্লগার ও মুক্তমনা লেখক হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা একদিকে জঙ্গিবাদের বিষয়ে বলছে যে, জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। অন্যদিকে তাদের দমনে কোন কার্যকর আশু উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা প্রশাসনকে স্পষ্ট জানাতে চাই যে, আর কত লাশ কফিনের মধ্যে ঢুকলে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে? এভাবে চলতে দেয়া যায় না, চলতে দেয়া হবে না। পরে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, উদীচীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জীবনানন্দ দত্ত। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ও আইনের আওতায় আনার দাবিতে শুক্রবার বিকালে শাহবাগে ‘মুক্ত চিন্তার সংহতি’ সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় ইমরান এইচ সরকার তার বক্তব্যে বলেন, দেশে বর্তমানে এক আতঙ্কিত পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ ভীত হয়ে পড়েছে। কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। শুধু মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের নয়, জঙ্গিরা এখন পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলা করে হত্যা করছে। এটি মেনে নেয়া যায় না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা মাজারে হামলা করে মুরিদদের হত্যা করছে। এতে বোঝা যায় যে, তারা ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে গোটা দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সরকারের ভূমিকা শুধু আমাদের কাছে নয়, দেশের মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। সরকার এ জঙ্গিদের দমন করার জন্য কোন আশু পদক্ষেপ নেয়নি। আলাদা কোন ইউনিট গঠন করেনি। ইমরান আরও বলেন, যে ছয়জন মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের মামলার তদন্ত করা বা খুনিদের ধরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। যে খুনিদের ধরা হয়েছে তার মধ্যে কয়েকজন আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে। তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সরকারের প্রশ্রয় ও সহনশীলতা জঙ্গিদের কার্মকাণ্ডকে প্রসারিত করেছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন দাবি করে সেই দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হয়। দায় এড়ানো ও দায় চাপানোর এই প্রক্রিয়ার ফলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। তিনি প্রশাসনের ভেতরে ভূত ঢুকেছে উল্লেখ করে বলেন, ওই ভূত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ঢুকে ওই বাহিনীর কাজকে অকার্যকর করে রেখেছে। এদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত না করলে ওই ব্লগার ও মুক্তমনা লেখক হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা একদিকে জঙ্গিবাদের বিষয়ে বলছে যে, জিরো টলারেন্স দেখানো হবে। অন্যদিকে তাদের দমনে কোন কার্যকর আশু উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা প্রশাসনকে স্পষ্ট জানাতে চাই যে, আর কত লাশ কফিনের মধ্যে ঢুকলে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে? এভাবে চলতে দেয়া যায় না, চলতে দেয়া হবে না। পরে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, উদীচীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জীবনানন্দ দত্ত। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি ও আইনের আওতায় আনার দাবিতে শুক্রবার বিকালে শাহবাগে ‘মুক্ত চিন্তার সংহতি’ সমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
No comments