কুনদুজে হাসপাতাল কর্মীদের ওপরও গুলি ছোড়ার অভিযোগ
কুনদুজ শহরে এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে মার্কিন হামলায় আহত এক ব্যক্তি। ছবি: এএফপি |
আফগানিস্তানের
কুনদুজ শহরে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালের
পলায়নরত কর্মীদের ওপর মার্কিন বিমান থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা
হয়েছে। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত মাসে ওই হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত এবং বেশ কিছু মানুষ আহত হন। ওই হামলায় হাসপাতালটিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক প্রতিবেদনে এমএসএফ বলেছে, হামলার আগে ওই হাসপাতালের ভেতরে কোনো অস্ত্রশস্ত্র বা যুদ্ধ ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল, সেখানে তাদের বাহিনী হামলার মুখে পড়েছিল। পরে তাদের বক্তব্য ছিল, তালেবান হামলার মুখে আফগান বাহিনীর অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র ওই বিমান হামলা চালায়।
প্রতিবেদনে এমএসএফ অবশ্য স্বীকার করেছে, হামলার সময় হাসপাতালে থাকা শতাধিক রোগীর মধ্যে অন্তত ২০ জন ছিলেন আহত তালেবান। আর সেটা যুদ্ধ-আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, ওই হামলার সময় হাসপাতাল থেকে পলায়নরত লোকজনের ওপর আকাশ থেকে গুলি ছোড়া হয়। যে বিমান থেকে হামলা হয়েছে, সেখান থেকেই সম্ভবত গুলি ছোড়া হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন রোগী, ১৩ জন হাসপাতাল-কর্মী এবং বাকি সাতজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি।
এমএসএফ বলছে, হাসপাতালটি সম্পর্কে সবার জানাশোনা ছিল। হামলার তিন দিন আগেও সব পক্ষকে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও হাসপাতালটির ওপর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা হয়েছে।
এমএসএফের মহাপরিচালক ক্রিস্টোফার স্টোকস বলেছেন, সব তথ্য দেওয়ার পরও কারও ‘ভুল’ হওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া বা বিশ্বাস করা কঠিন। যুদ্ধ-আইন অনুযায়ী ওই হামলা ছিল অবৈধ।
এদিকে হামলার ঘটনাটি এখনো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।
গত মাসে ওই হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত এবং বেশ কিছু মানুষ আহত হন। ওই হামলায় হাসপাতালটিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক প্রতিবেদনে এমএসএফ বলেছে, হামলার আগে ওই হাসপাতালের ভেতরে কোনো অস্ত্রশস্ত্র বা যুদ্ধ ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল, সেখানে তাদের বাহিনী হামলার মুখে পড়েছিল। পরে তাদের বক্তব্য ছিল, তালেবান হামলার মুখে আফগান বাহিনীর অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র ওই বিমান হামলা চালায়।
প্রতিবেদনে এমএসএফ অবশ্য স্বীকার করেছে, হামলার সময় হাসপাতালে থাকা শতাধিক রোগীর মধ্যে অন্তত ২০ জন ছিলেন আহত তালেবান। আর সেটা যুদ্ধ-আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, ওই হামলার সময় হাসপাতাল থেকে পলায়নরত লোকজনের ওপর আকাশ থেকে গুলি ছোড়া হয়। যে বিমান থেকে হামলা হয়েছে, সেখান থেকেই সম্ভবত গুলি ছোড়া হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জন রোগী, ১৩ জন হাসপাতাল-কর্মী এবং বাকি সাতজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি।
এমএসএফ বলছে, হাসপাতালটি সম্পর্কে সবার জানাশোনা ছিল। হামলার তিন দিন আগেও সব পক্ষকে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও হাসপাতালটির ওপর এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে হামলা হয়েছে।
এমএসএফের মহাপরিচালক ক্রিস্টোফার স্টোকস বলেছেন, সব তথ্য দেওয়ার পরও কারও ‘ভুল’ হওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া বা বিশ্বাস করা কঠিন। যুদ্ধ-আইন অনুযায়ী ওই হামলা ছিল অবৈধ।
এদিকে হামলার ঘটনাটি এখনো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর।
No comments