পরিবেশ বান্ধব আচরণ by ইবনুল সাঈদ রানা
২০০৪
সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে পরিচালিত ‘সাশ্রয়’ আন্দোলনের
স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানবেন। আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে,
‘সাশ্রয়’ আন্দোলনের আবেদন ‘ একটুকু বাঁচাই, আগলে রাখি, জাগিয়ে তুলি,
সংরক্ষণ করি’ এবারের বিশ্বপরিবেশ দিবসের মুল প্রতিপাদ্য হিসাবে গৃহীত হয়েছে
`Seven Billion Dreams. One Planet. Consume with Care'| ২০১৩ ও ২০১৪
সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবেসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ভেবে চিন্তে খাই অপচয়
কমাই’ ‘সবাই হবো সোচ্চার, সাগরের উচ্চতা বাড়াবো না আর’। মানব ইতিহাসে এই-ই প্রথম ভোগ ও লোভোন্মত্ত হয়ে মানুষ নিজের ও তার আবাসস্থল
পৃথিবীর অস্থিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করেছে। ভোগোন্মাদ হয়ে মানুষ জ্বালানির
ব্যবহার বাড়াচ্ছে ফলে গ্রীণহাউস গ্যাস নির্গমন ক্রমাগতই বাড়ছে। উত্তপ্ত
হচ্ছে পৃথিবী, গলছে বরফ, উঁচু হচ্ছে সাগরের পানির স্তর। পৃথিবীকে আমারা
অপূরণীয় ক্ষতি ও দুর্যোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছি, জীব-বৈচিত্র ধ্বংস করছি এবং
সিংহভাগ মানুষের জীবন জীবিকাকে দিনান্তে বিপদ-সঙ্কুল করছি। বিশেষজ্ঞগণ
বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক আমলে না নিলেও সত্য এই যে,
পৃথিবীতে দুর্যোগের ভয়াবহতা ও সংখ্যা নিরন্তর বাড়ছে এবং ক্রমেই বাড়বে।
জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে বিশ্বের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের দুর্ভোগ ও
অসহায়ত্ব চরমতম হবে। দরিদ্রজনরা আরও বেশী অসহায় হবে, চরমতম অসহায়ত্ব
মানুষকে বেপরোয়া করে ফেলবে, বোপরোয়া মানুষ সকল নিয়ম-কানুন ভেঙ্গে এমন এক
নৈরাজ্যকর অবস্থার জন্ম দেবে যা ধনী-দরিদ্র সবাইকেই অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে
ঠেলে দেবে। বিপদের ভয়াবহতা ও অসহায়ত্ব থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের
প্রস্তুতি দরকার এবং তা এখনই। বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে হলে আমাদের প্রথম ও
প্রধান করণীয় সকলের ভেতরে ভোগের আসক্তি কমানো, পরিমিতি বোধ আনয়ন, সম্পদের
প্রতি যতশীল হওয়া, যত ক্ষুদ্রই হউক যাবতীয় সম্পদের অপচয় রোধ করা। আমরা সকলে
স্ব স্ব ক্ষেত্রে একটু সজাগ হলেই প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার সম্পদের অপচয়
রোধ করতে পারি। যা আমাদের দৈনন্দিন খরচের পরিমান যেমন কমাবে সাথে সাথে
আমাদের সন্তানের জন্য বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখতে সহায়তা করবে।
The National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) announced that 2014 was the hottest year that’s the cause most extreme, weather-wise, nearly twice the average. NOAA confirmed that this pattern will worsen if climate change continues unabated. Scientists has shown that human activities — economic growth, technology, consumption — are destabilizing the global environment,” and we have already crossed four Planetary Boundaries - extinction rate; deforestation; the level of carbon dioxide in the atmosphere; and the flow of nitrogen and phosphorous (used on land as fertilizer) into the ocean.
আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী দুর্যোগ ও ঝুঁকিপুর্ণ দেশ। দুর্যোগের করাল গ্রাস থেকে নিজেদের ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের বাঁচাতে প্রয়োজন সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতির ও বিশ্বের সর্বস্তরের সকলকেই ‘সাশ্রয়’ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। দুর্যোগের কারণ ও করণীয় সম্পর্কে সকলকে সম্যক ধারণা দিতে হবে। জলাবদ্ধতা, অপরিচ্ছন্নতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ইত্যাদির জন্য আমরা সকলেই নির্দিষ্ট বক্তি বা সংস্থাকে দোষারোপ করে থাকি কিন্তু আমরা নিজের নাগরিক দায়িত্ব পালন করি না। সর্বস্তরের সবার মাঝে ‘সাশ্রয়’ ধারণা উপস্থাপিত হলে প্রত্যেক নাগরিক স্ব স্ব অবস্থানে পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতন হবে, সাশ্রয়ী হবে। ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি লিটার পানি, কোটি কোটি মিনিট বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ যাবতীয় সম্পদের সাশ্রয় হবে। ফলত: প্রত্যেকেই আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হবে পরিবেশের বিচারে দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার কোটি টাকার কল্যাণ আসবে যা দারিদ্র বিমোচনে, দুর্যোগ, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যার ভয়াবহতা ও অসহায়ত্ব কমাতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
২০০৪ সাল থেকে ‘সাশ্রয়’ আন্দোলন স্থানিক, জাতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে আবেদন নিবেদন করছে সমাজে শান্তি, অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা তথা পরিবেশ সমুন্নত রাখতে হলে দরিদ্রতম শিশু থেকে সর্ব্বোচ্চ ধনী, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেককেই যত ক্ষুদ্রই হউক যাবতীয় সম্পদ সাশ্রয়ে প্রতিটি মুহুর্ত দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশ, জাতি তথা বিশ্ববাসীকে আসন্ন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয় ঝুঁকি থেকে রক্ষার কাজে সর্বস্তরের সকলকেই সম্পৃক্ত করার কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে আমাদের দেশে যেভাবে পরিবেশ দিবস উদ্যাপিত হয়ে থাকে তাতে সাধারণ জনগণের কোন অংশগ্রহণ থাকেনা। প্রতি বৎসরই নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট জায়গায় জড় হয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে র্যালী করে পরিবেশ সংরক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করে থাকে।
উদ্যাপিত অনুষ্ঠাণ সমুহ পরিবেশ রক্ষায় কতটুকু কার্যকর তা বিজ্ঞজনের বিচার্য। পরিবেশ কর্মীগণের মতে প্রচলিত এই অনুষ্ঠাণ নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে পরিবেশ দিবসের দিনক্ষণ মনে করিয়ে দিতে সক্ষম হলেও গণসচেতানায়নে ভুমিকা রাখতে অপারগ। উপরন্তু এই র্যালী ও আলোচনানুষ্ঠাণের জন্য যে সকল আয়োজন হয়ে থাকে তাতে প্রচুর সম্পদের অপচয় হয়, শহর এলাকায় কঠিণ বর্জ্য তৈরী হয়। এমনও পরিলক্ষিত হয়েছে যে, র্যালীতে অংশগ্রহণকারি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতিকর পানীয় ও খাদ্য সরবরাহ করা হয় যা কোনমতেই কাম্য নয়। আবার এ সকল স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতিকর পানীয় ও খাদ্য সমুহ আসে পরিবেশের ক্ষতিকারক উৎপাদক প্রতিষ্ঠাণের কাছ থেকে পর্যবেক্ষকরা বলে থাকেন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতিকর দ্রব্যদি উপহার দিয়ে পরিবেশের শত্র“ প্রতিষ্ঠাণ সমুহ দু-ভাবেই লাভবান হয়ে থাকে প্রথমত: ভালমানের জিনিষ হিসাবে নিজস্ব প্রচারণা দ্বিতীয়ত:উৎপাদনস্থলে পরিবেশ ক্ষতিকর আচার আচরণের জন্য জরিমানা দেয়া থেকে রেহাই পাওয়া। এমনও পরিলক্ষিত হয়েছে যে, পরিবেশ সম্মত আচরণে অতীব উদাসীন প্রতিষ্ঠাণ পরিবেশ দিবস উদ্যাপনে বড় উপহার প্রদানের মাধ্যমে বিভাগীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে।
পরিবেশ কর্মীগণ মনে করেন উখিত আত্মঘাতি আচার অনুষ্ঠানের পথ পরিহার করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। যে সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ র্যালীতে যোগ দিতে আসেন তারা প্রত্যেকেই যে কোন একটি স্থানে নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত হয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন, এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণে করণীয় নির্ধারণ করতে পারেন এবং এলাকাবাসীকেই দায়িত্ব দিতে পারেন দৈনন্দিন করণীয় মুল্যায়ন ও পরিবীক্ষণের। এর ফলে সর্বস্তরের মানুষ পরিবেশ সংরক্ষণে ভুতিকা রাখার সুযোগ পাবে, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ হবে, সর্বোপরি এলাকার সকল মানুষ পরিবেশ রক্ষার কর্মী ও পরিদর্শকের ভুমিকা পালন করবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যহানিকর ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক আচার আচরণ কমে আসবে, এলাকার সকলে যথাযথ নিয়ম পালনে প্রণোদিত হবে এবং পরিবেশ দিবসে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন দ্রব্যাদির তথা সম্পদের অপচয় ঘটিয়ে পরিবেশ দুষণ বন্ধ হবে।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কার্মক্রমের একটি উদ্যোগ ‘সাশ্রয়’ আন্দোলনের পক্ষ থেকে আপনার কাছে সবিনয় নিবেদন পরিবেশ বান্ধব পরিবেশ দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে বৎসরব্যাপী সর্বস্তরের সকলকে পরিবেশ বান্ধব আচার আচরণে অভ্যস্থ করার নিমিত্ত সুবিবেচিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হউক।
পরিবেশ কর্মী
চেয়ারম্যান
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন
The National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) announced that 2014 was the hottest year that’s the cause most extreme, weather-wise, nearly twice the average. NOAA confirmed that this pattern will worsen if climate change continues unabated. Scientists has shown that human activities — economic growth, technology, consumption — are destabilizing the global environment,” and we have already crossed four Planetary Boundaries - extinction rate; deforestation; the level of carbon dioxide in the atmosphere; and the flow of nitrogen and phosphorous (used on land as fertilizer) into the ocean.
আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী দুর্যোগ ও ঝুঁকিপুর্ণ দেশ। দুর্যোগের করাল গ্রাস থেকে নিজেদের ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের বাঁচাতে প্রয়োজন সম্মিলিত ও সমন্বিত উদ্যোগ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতির ও বিশ্বের সর্বস্তরের সকলকেই ‘সাশ্রয়’ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। দুর্যোগের কারণ ও করণীয় সম্পর্কে সকলকে সম্যক ধারণা দিতে হবে। জলাবদ্ধতা, অপরিচ্ছন্নতা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ইত্যাদির জন্য আমরা সকলেই নির্দিষ্ট বক্তি বা সংস্থাকে দোষারোপ করে থাকি কিন্তু আমরা নিজের নাগরিক দায়িত্ব পালন করি না। সর্বস্তরের সবার মাঝে ‘সাশ্রয়’ ধারণা উপস্থাপিত হলে প্রত্যেক নাগরিক স্ব স্ব অবস্থানে পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতন হবে, সাশ্রয়ী হবে। ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি লিটার পানি, কোটি কোটি মিনিট বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ যাবতীয় সম্পদের সাশ্রয় হবে। ফলত: প্রত্যেকেই আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হবে পরিবেশের বিচারে দেশ, জাতি ও মানবতার জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার কোটি টাকার কল্যাণ আসবে যা দারিদ্র বিমোচনে, দুর্যোগ, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যার ভয়াবহতা ও অসহায়ত্ব কমাতে ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
২০০৪ সাল থেকে ‘সাশ্রয়’ আন্দোলন স্থানিক, জাতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে আবেদন নিবেদন করছে সমাজে শান্তি, অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা তথা পরিবেশ সমুন্নত রাখতে হলে দরিদ্রতম শিশু থেকে সর্ব্বোচ্চ ধনী, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেককেই যত ক্ষুদ্রই হউক যাবতীয় সম্পদ সাশ্রয়ে প্রতিটি মুহুর্ত দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশ, জাতি তথা বিশ্ববাসীকে আসন্ন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয় ঝুঁকি থেকে রক্ষার কাজে সর্বস্তরের সকলকেই সম্পৃক্ত করার কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে আমাদের দেশে যেভাবে পরিবেশ দিবস উদ্যাপিত হয়ে থাকে তাতে সাধারণ জনগণের কোন অংশগ্রহণ থাকেনা। প্রতি বৎসরই নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট জায়গায় জড় হয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে র্যালী করে পরিবেশ সংরক্ষণের যাবতীয় দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করে থাকে।
উদ্যাপিত অনুষ্ঠাণ সমুহ পরিবেশ রক্ষায় কতটুকু কার্যকর তা বিজ্ঞজনের বিচার্য। পরিবেশ কর্মীগণের মতে প্রচলিত এই অনুষ্ঠাণ নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে পরিবেশ দিবসের দিনক্ষণ মনে করিয়ে দিতে সক্ষম হলেও গণসচেতানায়নে ভুমিকা রাখতে অপারগ। উপরন্তু এই র্যালী ও আলোচনানুষ্ঠাণের জন্য যে সকল আয়োজন হয়ে থাকে তাতে প্রচুর সম্পদের অপচয় হয়, শহর এলাকায় কঠিণ বর্জ্য তৈরী হয়। এমনও পরিলক্ষিত হয়েছে যে, র্যালীতে অংশগ্রহণকারি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতিকর পানীয় ও খাদ্য সরবরাহ করা হয় যা কোনমতেই কাম্য নয়। আবার এ সকল স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতিকর পানীয় ও খাদ্য সমুহ আসে পরিবেশের ক্ষতিকারক উৎপাদক প্রতিষ্ঠাণের কাছ থেকে পর্যবেক্ষকরা বলে থাকেন কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ক্ষতিকর দ্রব্যদি উপহার দিয়ে পরিবেশের শত্র“ প্রতিষ্ঠাণ সমুহ দু-ভাবেই লাভবান হয়ে থাকে প্রথমত: ভালমানের জিনিষ হিসাবে নিজস্ব প্রচারণা দ্বিতীয়ত:উৎপাদনস্থলে পরিবেশ ক্ষতিকর আচার আচরণের জন্য জরিমানা দেয়া থেকে রেহাই পাওয়া। এমনও পরিলক্ষিত হয়েছে যে, পরিবেশ সম্মত আচরণে অতীব উদাসীন প্রতিষ্ঠাণ পরিবেশ দিবস উদ্যাপনে বড় উপহার প্রদানের মাধ্যমে বিভাগীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে।
পরিবেশ কর্মীগণ মনে করেন উখিত আত্মঘাতি আচার অনুষ্ঠানের পথ পরিহার করার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। যে সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ র্যালীতে যোগ দিতে আসেন তারা প্রত্যেকেই যে কোন একটি স্থানে নির্দিষ্ট দিনে উপস্থিত হয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন, এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণে করণীয় নির্ধারণ করতে পারেন এবং এলাকাবাসীকেই দায়িত্ব দিতে পারেন দৈনন্দিন করণীয় মুল্যায়ন ও পরিবীক্ষণের। এর ফলে সর্বস্তরের মানুষ পরিবেশ সংরক্ষণে ভুতিকা রাখার সুযোগ পাবে, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সজাগ হবে, সর্বোপরি এলাকার সকল মানুষ পরিবেশ রক্ষার কর্মী ও পরিদর্শকের ভুমিকা পালন করবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যহানিকর ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক আচার আচরণ কমে আসবে, এলাকার সকলে যথাযথ নিয়ম পালনে প্রণোদিত হবে এবং পরিবেশ দিবসে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোন দ্রব্যাদির তথা সম্পদের অপচয় ঘটিয়ে পরিবেশ দুষণ বন্ধ হবে।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কার্মক্রমের একটি উদ্যোগ ‘সাশ্রয়’ আন্দোলনের পক্ষ থেকে আপনার কাছে সবিনয় নিবেদন পরিবেশ বান্ধব পরিবেশ দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে বৎসরব্যাপী সর্বস্তরের সকলকে পরিবেশ বান্ধব আচার আচরণে অভ্যস্থ করার নিমিত্ত সুবিবেচিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হউক।
পরিবেশ কর্মী
চেয়ারম্যান
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন
No comments