গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল-হামাস উভয়ই -জাতিসংঘের প্রতিবেদন
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন একটি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার যুদ্ধে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই ব্যাপক অনিয়ম করেছে। এটি যুদ্ধাপরাধের শামিল। খবর আল-জাজিরার।
জেনেভায় ৫০ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধের তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল সোমবার জমা দেয় কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান নিউইয়র্কের বিচারক মেরি ম্যাকগোয়ান দাভিস বলেন, গাজায় যে ক্ষতি এবং মানুষের যে চরম কষ্ট হয়েছে, তা নজিরবিহীন। কয়েক প্রজন্ম ধরে এর প্রভাব বয়ে বেড়াতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাবে, ওই যুদ্ধে ২ হাজার ১৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর মধ্যে প্রায় সবাই সাধারণ নাগরিক। যুদ্ধে ৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা, ছয়জন সাধারণ নাগরিক এবং থাইল্যান্ডের এক নাগরিক নিহত হন। গত আগস্ট মাসে যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষ সম্মত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুদ্ধে ব্যাপক হারে শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে। ইসরায়েল ওই যুদ্ধে ছয় হাজারের বেশি বিমান হামলা চালায়। হামলায় ৫০ হাজার শেল নিক্ষেপ করে দেশটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইনগুলো ব্যাপক মাত্রায় লঙ্ঘন করলেও ইসরায়েল যেভাবে নিষ্কৃতি পেয়ে যাচ্ছে, কমিশন সে বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলের ভুলের জন্য যেসব বেদনাদায়ক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে, তা তাদেরকে বন্ধ করতে হবে। ভুক্তভোগীদের প্রতি সুবিচারের স্বার্থেই শুধু নয়, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা দিতেই তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।’
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের প্রতি গোলাবর্ষণ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটিকে যুদ্ধাপরাধ বলা যেতে পারে।’
প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তকারীদের সহায়তা করার জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। প্রায় এক বছর আগে এই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শুরু হয়। দাভিসের সঙ্গে এই কাজে ছিলেন সেনেগালের আইনজীবী এবং মানবাধিকারকর্মী দোদোউ দায়িনি। দাভিস বলেন, ‘গাজার যুদ্ধে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের শুধু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না। আমাদের ভাবতে হবে, এরা প্রত্যেকেই একেকজন মানুষ।’
ইসরায়েল এই প্রতিবেদনকে ‘নৈতিকভাবে স্খলিত’ এবং ‘ব্যাপকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে। গাজায় ‘ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের সমালোচনা’ করায় হামাস এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধকালে গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় প্রাণহানির পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর এবং স্কুল ধ্বংস হয়। অপরদিকে হামাস কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে।
এ মাসের শুরুতে ইসরায়েলের এক আন্তমন্ত্রণালয় প্রতিবেদনে গাজার যুদ্ধকে ‘আইনসংগত’ এবং ‘বৈধ’ বলে দাবি করা হয়। ২৪২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার জন্য শহুরে এবং জনবহুল এলাকা থেকে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
জেনেভায় ৫০ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধের তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল সোমবার জমা দেয় কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান নিউইয়র্কের বিচারক মেরি ম্যাকগোয়ান দাভিস বলেন, গাজায় যে ক্ষতি এবং মানুষের যে চরম কষ্ট হয়েছে, তা নজিরবিহীন। কয়েক প্রজন্ম ধরে এর প্রভাব বয়ে বেড়াতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাবে, ওই যুদ্ধে ২ হাজার ১৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এর মধ্যে প্রায় সবাই সাধারণ নাগরিক। যুদ্ধে ৬৬ জন ইসরায়েলি সেনা, ছয়জন সাধারণ নাগরিক এবং থাইল্যান্ডের এক নাগরিক নিহত হন। গত আগস্ট মাসে যুদ্ধবিরতিতে দুই পক্ষ সম্মত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই যুদ্ধে ব্যাপক হারে শক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে। ইসরায়েল ওই যুদ্ধে ছয় হাজারের বেশি বিমান হামলা চালায়। হামলায় ৫০ হাজার শেল নিক্ষেপ করে দেশটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইনগুলো ব্যাপক মাত্রায় লঙ্ঘন করলেও ইসরায়েল যেভাবে নিষ্কৃতি পেয়ে যাচ্ছে, কমিশন সে বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলের ভুলের জন্য যেসব বেদনাদায়ক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে, তা তাদেরকে বন্ধ করতে হবে। ভুক্তভোগীদের প্রতি সুবিচারের স্বার্থেই শুধু নয়, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা দিতেই তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।’
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের প্রতি গোলাবর্ষণ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটিকে যুদ্ধাপরাধ বলা যেতে পারে।’
প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তকারীদের সহায়তা করার জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। প্রায় এক বছর আগে এই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শুরু হয়। দাভিসের সঙ্গে এই কাজে ছিলেন সেনেগালের আইনজীবী এবং মানবাধিকারকর্মী দোদোউ দায়িনি। দাভিস বলেন, ‘গাজার যুদ্ধে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের শুধু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না। আমাদের ভাবতে হবে, এরা প্রত্যেকেই একেকজন মানুষ।’
ইসরায়েল এই প্রতিবেদনকে ‘নৈতিকভাবে স্খলিত’ এবং ‘ব্যাপকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে। গাজায় ‘ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের সমালোচনা’ করায় হামাস এই প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধকালে গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় প্রাণহানির পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক বাড়িঘর এবং স্কুল ধ্বংস হয়। অপরদিকে হামাস কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে।
এ মাসের শুরুতে ইসরায়েলের এক আন্তমন্ত্রণালয় প্রতিবেদনে গাজার যুদ্ধকে ‘আইনসংগত’ এবং ‘বৈধ’ বলে দাবি করা হয়। ২৪২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লোটার জন্য শহুরে এবং জনবহুল এলাকা থেকে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
No comments