ওকিনাওয়া যুদ্ধ সমাপ্তির ৭০ বছর- দুঃসহ স্মৃতি আসে ফিরে ফিরে
হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত ওকিনাওয়া দ্বীপের একটি গুহা দেখছে স্কুলশিক্ষার্থীরা। ১৯ জুন তোলা ছবি l এএফপি |
বৃষ্টির
মতো ধেয়ে আসছিল মার্কিন বাহিনীর ছোড়া গোলা। প্রাণে বাঁচতে গুহায়
ঢুকেছিলেন সবাই। তবে শেষ রক্ষা হয়নি বেশির ভাগেরই। ইয়োশিকো শিমাবুকুরো
নিজে রক্ষা পেলেও চোখের সামনেই মরতে দেখেছেন সহকর্মী ও সেনাদের। সেটা ৭০
বছর আগের কথা। তবে ওকিনাওয়া যুদ্ধের সেই ভয়ংকর স্মৃতি আজও ফিকে হয়নি
এতটুকু।
শিমাবুকুরো সেই ২২২ জন ছাত্রীর একজন, যাঁদের ১৯৪৫ সালের মার্চে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধরে নিয়ে গিয়ে জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে ইমপেরিয়াল আর্মির সামরিক হাসপাতালে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
ওকিনাওয়া যুদ্ধের সমাপ্তির ৭০ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ ২৩ জুন। দিনটি স্মরণে আয়োজিত একটি কর্মসূচি সামনে রেখে সেদিনের ভয়ংকর স্মৃতির কথা শোনালেন শিমাবুকুরো। বললেন, ‘ব্যান্ডেজ কীভাবে লাগাতে হয়, আমাদের কেবল সেই মৌলিক প্রশিক্ষণ ছিল। কিন্তু যুদ্ধাহত সেসব সেনাকে হাসপাতালে আনা হচ্ছিল, তাঁদের কারও কারও দুই পা উড়ে গেছে। ...কী করতে হবে, বুঝতেই পারতাম না আমরা।’
ওকিনাওয়া যুদ্ধ চলেছিল ৮২ দিন। এই লড়াইয়ে দ্বীপটির এক লাখের বেশি বেসামরিক লোকের পাশাপাশি ৮০ হাজার জাপানি সেনার প্রাণহানি ঘটে। মার্কিন বাহিনীতে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি।
ওই ২২২ ছাত্রীর মধ্যে শিমাবুকুরোর মতো প্রাণ নিয়ে ফেরার সৌভাগ্য হয়েছিল খুব কমজনেরই। বেশির ভাগের মৃত্যুর জন্য দৃশ্যত জাপানি সেনারাই দায়ী। কারণ, শত্রুপক্ষ কাছাকাছি চলে আসায় সবাইকে হাসপাতালের ওই গুহাগুলো ত্যাগের নির্দেশ দেন সেনারা। ফলে বুলেট-বৃষ্টির মধ্যে গিয়ে পড়েন তাঁরা।
শিমাবুকুরো নিজেও গুরুতর আহত হয়ে মরতে বসেছিলেন। তবে একজন মার্কিন সেনা তাঁকে উদ্ধার করেন। শিমাবুকুরো বলেন, ‘(প্রশিক্ষণকালে) আমাদের বলা হয়েছিল, ধরা পড়লে আমাদের ধর্ষণ ও জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হবে।... কিন্তু তিনি (মার্কিন সেনা) আমাকে সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।’
ওকিনাওয়া যুদ্ধের সময় সবে স্কুলে যাওয়ার বয়স ছিল জেনিচি ইয়োশিমাইনের। তিনি বলেন, ‘আমাদের শেখানো হয়েছিল, জাপান হচ্ছে ঈশ্বরের দেশ, যারা যুদ্ধে কখনো হারবে না। আর আমেরিকানরা শয়তান ও বর্বর। তারা আমাদের ধরতে পারলে, নাক–কান কেটে নেবে, চোখ উপড়ে ফেলবে এবং ট্যাংকে চাপা দিয়ে মারবে।’
ওকিনাওয়া দ্বীপটিতে এখনো কয়েক হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। পাশাপাশি বিতর্কিত একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটি সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিক্ষোভও হয়েছে।
বর্তমানে ৮৭ বছর বয়সী শিমাবুকুরো বলেন, ‘যা ঘটেছে, তার জন্য আমি কখনোই জাপানকে ক্ষমা করব না।’ তাঁর আশঙ্কা, ওকিনাওয়া দ্বীপ আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে। জাপানের বর্তমান জাতীয়তাবাদী সরকার দীর্ঘদিনের শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে আসায় এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিমাবুকুরো বলেন, ‘বর্তমানে আমরা যখন শান্তিতে আছি, তখন জাপান সংবিধানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে এমন দেশে পরিণত হতে চাইছে, যারা আবার যুদ্ধে জড়াতে পারবে। সেটা হলে দরিদ্র দ্বীপটি আবার যুদ্ধের সম্মুখভাগে পরিণত হবে।’ সূত্র: এএফপি।
শিমাবুকুরো সেই ২২২ জন ছাত্রীর একজন, যাঁদের ১৯৪৫ সালের মার্চে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ধরে নিয়ে গিয়ে জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে ইমপেরিয়াল আর্মির সামরিক হাসপাতালে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
ওকিনাওয়া যুদ্ধের সমাপ্তির ৭০ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ ২৩ জুন। দিনটি স্মরণে আয়োজিত একটি কর্মসূচি সামনে রেখে সেদিনের ভয়ংকর স্মৃতির কথা শোনালেন শিমাবুকুরো। বললেন, ‘ব্যান্ডেজ কীভাবে লাগাতে হয়, আমাদের কেবল সেই মৌলিক প্রশিক্ষণ ছিল। কিন্তু যুদ্ধাহত সেসব সেনাকে হাসপাতালে আনা হচ্ছিল, তাঁদের কারও কারও দুই পা উড়ে গেছে। ...কী করতে হবে, বুঝতেই পারতাম না আমরা।’
ওকিনাওয়া যুদ্ধ চলেছিল ৮২ দিন। এই লড়াইয়ে দ্বীপটির এক লাখের বেশি বেসামরিক লোকের পাশাপাশি ৮০ হাজার জাপানি সেনার প্রাণহানি ঘটে। মার্কিন বাহিনীতে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি।
ওই ২২২ ছাত্রীর মধ্যে শিমাবুকুরোর মতো প্রাণ নিয়ে ফেরার সৌভাগ্য হয়েছিল খুব কমজনেরই। বেশির ভাগের মৃত্যুর জন্য দৃশ্যত জাপানি সেনারাই দায়ী। কারণ, শত্রুপক্ষ কাছাকাছি চলে আসায় সবাইকে হাসপাতালের ওই গুহাগুলো ত্যাগের নির্দেশ দেন সেনারা। ফলে বুলেট-বৃষ্টির মধ্যে গিয়ে পড়েন তাঁরা।
শিমাবুকুরো নিজেও গুরুতর আহত হয়ে মরতে বসেছিলেন। তবে একজন মার্কিন সেনা তাঁকে উদ্ধার করেন। শিমাবুকুরো বলেন, ‘(প্রশিক্ষণকালে) আমাদের বলা হয়েছিল, ধরা পড়লে আমাদের ধর্ষণ ও জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হবে।... কিন্তু তিনি (মার্কিন সেনা) আমাকে সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।’
ওকিনাওয়া যুদ্ধের সময় সবে স্কুলে যাওয়ার বয়স ছিল জেনিচি ইয়োশিমাইনের। তিনি বলেন, ‘আমাদের শেখানো হয়েছিল, জাপান হচ্ছে ঈশ্বরের দেশ, যারা যুদ্ধে কখনো হারবে না। আর আমেরিকানরা শয়তান ও বর্বর। তারা আমাদের ধরতে পারলে, নাক–কান কেটে নেবে, চোখ উপড়ে ফেলবে এবং ট্যাংকে চাপা দিয়ে মারবে।’
ওকিনাওয়া দ্বীপটিতে এখনো কয়েক হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। পাশাপাশি বিতর্কিত একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটি সেখানে স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিক্ষোভও হয়েছে।
বর্তমানে ৮৭ বছর বয়সী শিমাবুকুরো বলেন, ‘যা ঘটেছে, তার জন্য আমি কখনোই জাপানকে ক্ষমা করব না।’ তাঁর আশঙ্কা, ওকিনাওয়া দ্বীপ আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে পারে। জাপানের বর্তমান জাতীয়তাবাদী সরকার দীর্ঘদিনের শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে আসায় এ আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিমাবুকুরো বলেন, ‘বর্তমানে আমরা যখন শান্তিতে আছি, তখন জাপান সংবিধানে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে এমন দেশে পরিণত হতে চাইছে, যারা আবার যুদ্ধে জড়াতে পারবে। সেটা হলে দরিদ্র দ্বীপটি আবার যুদ্ধের সম্মুখভাগে পরিণত হবে।’ সূত্র: এএফপি।
No comments