রোজার মধ্যে পানির কষ্ট- পশ্চিম নাখালপাড়ায় পানির জন্য মিছিলও হয়েছে by অরূপ দত্ত
ছোট
একটি ট্রলিতে (পানির ছোট গাড়ি) ঢাকা ওয়াসার পানি এসেছে। সেই পানি
সংগ্রহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন জনা পঞ্চাশেক নারী-পুরুষ। কিন্তু সে
পানিতে চাহিদা মিটল না। পরে পানির জন্য লাইন ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনতে
লাগলেন তাঁরা। আবার কখন আসবে পানি?
রোজা রেখে পানির পাত্র নিয়ে ছোটাছুটি করছেন রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার একদল নারী-পুরুষ। রোজার গত চার দিনসহ প্রায় ২০ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে। সেখানে প্রায় এক শ বাড়িতে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। ঢাকা ওয়াসা কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করে পানির লাইন পরিবর্তন করতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পানির জন্য জারিকেন, হাঁড়ি-কলসি নিয়ে রাস্তায় দলে দলে মানুষ অপেক্ষা করছেন। সাড়ে ১২টার দিকে আসে ওয়াসার ট্রলি।
পানির দাবিতে গত শুক্রবার মিছিলও করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক এলাকা পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
৯১ নম্বর নাখালপাড়ার বাসিন্দা রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও এখন প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এই গরমে পানির অভাবে গোসল পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।’
অপর এক বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, ‘শেষ রাতে সেহ্রিতে এবং সন্ধ্যায় ইফতারে কেনা পানি পান করতে হচ্ছে। কেনা পানি প্রাণভরে পান করা যায় না। রোজা রেখে সারা দিন অফিসে কাজ করে বাসায় এসে হাত-মুখ ধোয়ারও পানি পাচ্ছি না।’
গৃহবধূ তসলিমা জানান, অল্প পানিতে ইফতারি তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পেছনে ওয়াসার যে গভীর নলকূপটি রয়েছে, সেখানে সময়ে-অসময়ে ভিড় করছেন অনেক পরিবারের লোক।
এলাকার বনফুল ভবনের সামনে রাস্তায় পানির পাইপ পরিবর্তনের কাজ চলছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ডিএমএ (ডিস্ট্রিক্ট মিটারিং এরিয়া) প্রকল্পের অধীনে পানির লাইন পরিবর্তনের এ কাজ চলছে। পানির নতুন পাইপ বসানোর জন্য রাস্তায় বড় বড় গর্তও খোঁড়া হয়েছে। পানির গাড়ি এলে ঝুঁকি নিয়ে সেই গর্তের পাশে দাঁড়িয়ে লাইন ধরছে মানুষ।
এলাকার বাসিন্দা আবদুর নূর চৌধুরী বলেন, ‘পানির লাইন পরিবর্তন করা হবে ভালো কথা, কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে রমজান মাসে কেন এই কষ্ট দেওয়া?’ তিনি ও ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন জানান, পানির দাবিতে আগে একদিন মিছিল করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পানির সরবরাহ বাড়াতে পুরো এলাকার লাইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। কারিগরি বিষয় বলে কাজটি মাঝপথে বন্ধও করা যাচ্ছে না। জনগণ কষ্ট করছে আমরা জানি, চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত কাজ শেষ করতে।’
রোজা রেখে পানির পাত্র নিয়ে ছোটাছুটি করছেন রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়ার একদল নারী-পুরুষ। রোজার গত চার দিনসহ প্রায় ২০ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে। সেখানে প্রায় এক শ বাড়িতে পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। ঢাকা ওয়াসা কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করে পানির লাইন পরিবর্তন করতে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পানির জন্য জারিকেন, হাঁড়ি-কলসি নিয়ে রাস্তায় দলে দলে মানুষ অপেক্ষা করছেন। সাড়ে ১২টার দিকে আসে ওয়াসার ট্রলি।
পানির দাবিতে গত শুক্রবার মিছিলও করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা। পরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক এলাকা পরিদর্শন করে বাসিন্দাদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
৯১ নম্বর নাখালপাড়ার বাসিন্দা রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও এখন প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এই গরমে পানির অভাবে গোসল পর্যন্ত করা যাচ্ছে না।’
অপর এক বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, ‘শেষ রাতে সেহ্রিতে এবং সন্ধ্যায় ইফতারে কেনা পানি পান করতে হচ্ছে। কেনা পানি প্রাণভরে পান করা যায় না। রোজা রেখে সারা দিন অফিসে কাজ করে বাসায় এসে হাত-মুখ ধোয়ারও পানি পাচ্ছি না।’
গৃহবধূ তসলিমা জানান, অল্প পানিতে ইফতারি তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পেছনে ওয়াসার যে গভীর নলকূপটি রয়েছে, সেখানে সময়ে-অসময়ে ভিড় করছেন অনেক পরিবারের লোক।
এলাকার বনফুল ভবনের সামনে রাস্তায় পানির পাইপ পরিবর্তনের কাজ চলছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ডিএমএ (ডিস্ট্রিক্ট মিটারিং এরিয়া) প্রকল্পের অধীনে পানির লাইন পরিবর্তনের এ কাজ চলছে। পানির নতুন পাইপ বসানোর জন্য রাস্তায় বড় বড় গর্তও খোঁড়া হয়েছে। পানির গাড়ি এলে ঝুঁকি নিয়ে সেই গর্তের পাশে দাঁড়িয়ে লাইন ধরছে মানুষ।
এলাকার বাসিন্দা আবদুর নূর চৌধুরী বলেন, ‘পানির লাইন পরিবর্তন করা হবে ভালো কথা, কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না করে রমজান মাসে কেন এই কষ্ট দেওয়া?’ তিনি ও ভুক্তভোগী আরও কয়েকজন জানান, পানির দাবিতে আগে একদিন মিছিল করা হয়েছে। প্রয়োজনে আবারও মিছিল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পানির সরবরাহ বাড়াতে পুরো এলাকার লাইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। কারিগরি বিষয় বলে কাজটি মাঝপথে বন্ধও করা যাচ্ছে না। জনগণ কষ্ট করছে আমরা জানি, চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত কাজ শেষ করতে।’
No comments