কনফেডারেট পতাকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক তুঙ্গে by ইব্রাহীম চৌধুরী
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় কনফেডারেট পতাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিতর্ক আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। গত সপ্তাহে সাউথ ক্যারোলাইনায় শ্বেতাঙ্গ যুবকের গুলিতে নয়জন কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার পর রাজ্য ভবনের সামনে থেকে শ্বেতাঙ্গ ঐতিহ্যের পতাকা নামিয়ে ফেলার জোর দাবি উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, এমনকি দলীয় বাছাইপর্বে কনফেডারেট পতাকা অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় জাতীয় পতাকার পাশাপাশি কনফেডারেট পতাকা বিশেষভাবে সমাদৃত। ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত নাগরিক আন্দোলনের ঐতিহ্য ধারণ করে আছে কনফেডারেট পতাকা। শ্বেতাঙ্গরা এ পতাকাকে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মনে করে। কৃষ্ণাঙ্গরা মনে করে, দাসপ্রথা চলাকালে শ্বেতাঙ্গদের অবদমনের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয় এ পতাকা। দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় বাড়ির সামনে, গাড়ির নম্বরপ্লেটসহ রাজ্য ভবনের সামনে কনফেডারেট পতাকার ব্যবহার দেখা যায়।
কৃষ্ণাঙ্গরা মনে করে, দাসপ্রথা চলাকালে শ্বেতাঙ্গদের অবদমনের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয় কনফেডারেট পতাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আন্দোলনের নেতা, মানবাধিকারকর্মী ও উদারনৈতিক মহল কনফেডারেট পতাকাকে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে মিউজিয়ামে রাখার জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে। দীর্ঘ নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের, নাগরিক-বৈষম্যের অবসান ঘটেছে বলে দাবি করা হয়। যদিও নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের চাপা বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের অভিযোগ প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহে সাউথ ক্যারোলাইনার গির্জায় হত্যাকাণ্ডের নায়ক শ্বেতাঙ্গ যুবক ডিলান রুফ বর্ণবিদ্বেষ থেকেই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর গত সপ্তাহে সাউথ ক্যারোলাইনা রাজ্য ভবনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। নাগরিক আন্দোলনের নেতারা রাজ্য ভবনের সামনে থেকে বৈষম্যের প্রতীক কনফেডারেট পতাকা নামিয়ে ফেলার দাবি জানান। এ বিক্ষোভ সমাবেশে শুধু কৃষ্ণাঙ্গ নয়, শ্বেতাঙ্গ লোকজনের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নিকি হেইলি বলেছেন, কনফেডারেট পতাকা নিয়ে রাজ্য আইনসভার বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করার জন্য তাঁর ওপর চাপ শুরু হয়েছে। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত রাজ্যসভা কনফেডারেট পতাকা অপসারণে কোনো সিদ্ধান্ত একমত হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় বিরাজ করছে। রাজ্যসভার আইনপ্রণেতা ডাগ ব্রানন বলেছেন, কনফেডারেট পতাকার স্থান হওয়া উচিত রাজ্য ভবনের সামনে নয়, মিউজিয়ামে।
শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজ্যগুলোয় কনফেডারেট পতাকা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ইস্যু নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হবে প্রার্থীদের। রিপাবলিকানদের বেশির ভাগই কনফেডারেট পতাকার সমর্থক। রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে মাইক হাকাবি ও রিক সেন্টুরাম কনফেডারেট পতাকা নিয়ে আপাতত নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এ দলের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী জেব বুশ ফ্লোরিডার গভর্নর থাকাকালে রাজ্য ভবন থেকে এ পতাকা অপসারণে ভূমিকা রেখেছেন।
ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বর্ণবৈষম্য নিয়ে আমেরিকার জনগণের উৎকণ্ঠার কথা বলেছেন। যদিও সাউথ ক্যারোলাইনার রাজ্য ভবনের সামনে থেকে পতাকা অপসারেণ সুনির্দিষ্ট অবস্থানের কথা বলেননি।
গত নভেম্বরে উইনথ্রপ ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, সাউথ ক্যারোলাইনার ৭৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ রাজ্য ভবনের সামনে কনফেডারেট পতাকা রাখার পক্ষে। অপর দিকে, এ রাজ্যের ৬১ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ পতাকাটি রাজ্য ভবনের সামনে থেকে অপসারণের পক্ষে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় জাতীয় পতাকার পাশাপাশি কনফেডারেট পতাকা বিশেষভাবে সমাদৃত। ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত নাগরিক আন্দোলনের ঐতিহ্য ধারণ করে আছে কনফেডারেট পতাকা। শ্বেতাঙ্গরা এ পতাকাকে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মনে করে। কৃষ্ণাঙ্গরা মনে করে, দাসপ্রথা চলাকালে শ্বেতাঙ্গদের অবদমনের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয় এ পতাকা। দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় বাড়ির সামনে, গাড়ির নম্বরপ্লেটসহ রাজ্য ভবনের সামনে কনফেডারেট পতাকার ব্যবহার দেখা যায়।
কৃষ্ণাঙ্গরা মনে করে, দাসপ্রথা চলাকালে শ্বেতাঙ্গদের অবদমনের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয় কনফেডারেট পতাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আন্দোলনের নেতা, মানবাধিকারকর্মী ও উদারনৈতিক মহল কনফেডারেট পতাকাকে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে মিউজিয়ামে রাখার জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে। দীর্ঘ নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের, নাগরিক-বৈষম্যের অবসান ঘটেছে বলে দাবি করা হয়। যদিও নানা ঘটনায় বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রের চাপা বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের অভিযোগ প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। গত সপ্তাহে সাউথ ক্যারোলাইনার গির্জায় হত্যাকাণ্ডের নায়ক শ্বেতাঙ্গ যুবক ডিলান রুফ বর্ণবিদ্বেষ থেকেই হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর গত সপ্তাহে সাউথ ক্যারোলাইনা রাজ্য ভবনের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। নাগরিক আন্দোলনের নেতারা রাজ্য ভবনের সামনে থেকে বৈষম্যের প্রতীক কনফেডারেট পতাকা নামিয়ে ফেলার দাবি জানান। এ বিক্ষোভ সমাবেশে শুধু কৃষ্ণাঙ্গ নয়, শ্বেতাঙ্গ লোকজনের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
সাউথ ক্যারোলাইনার গভর্নর নিকি হেইলি বলেছেন, কনফেডারেট পতাকা নিয়ে রাজ্য আইনসভার বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করার জন্য তাঁর ওপর চাপ শুরু হয়েছে। রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত রাজ্যসভা কনফেডারেট পতাকা অপসারণে কোনো সিদ্ধান্ত একমত হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় বিরাজ করছে। রাজ্যসভার আইনপ্রণেতা ডাগ ব্রানন বলেছেন, কনফেডারেট পতাকার স্থান হওয়া উচিত রাজ্য ভবনের সামনে নয়, মিউজিয়ামে।
শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজ্যগুলোয় কনফেডারেট পতাকা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ইস্যু নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হবে প্রার্থীদের। রিপাবলিকানদের বেশির ভাগই কনফেডারেট পতাকার সমর্থক। রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে মাইক হাকাবি ও রিক সেন্টুরাম কনফেডারেট পতাকা নিয়ে আপাতত নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এ দলের অপর সম্ভাব্য প্রার্থী জেব বুশ ফ্লোরিডার গভর্নর থাকাকালে রাজ্য ভবন থেকে এ পতাকা অপসারণে ভূমিকা রেখেছেন।
ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বর্ণবৈষম্য নিয়ে আমেরিকার জনগণের উৎকণ্ঠার কথা বলেছেন। যদিও সাউথ ক্যারোলাইনার রাজ্য ভবনের সামনে থেকে পতাকা অপসারেণ সুনির্দিষ্ট অবস্থানের কথা বলেননি।
গত নভেম্বরে উইনথ্রপ ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, সাউথ ক্যারোলাইনার ৭৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ রাজ্য ভবনের সামনে কনফেডারেট পতাকা রাখার পক্ষে। অপর দিকে, এ রাজ্যের ৬১ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ পতাকাটি রাজ্য ভবনের সামনে থেকে অপসারণের পক্ষে।
No comments