‘আওয়ামী লীগের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না’ -শেখ হাসিনা

দলের দীর্ঘ পথচলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের অবদান স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে দেশও এগোচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ত্যাগ ও অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় দলীয় সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করেছেন নেতাকর্মীরা। দিবসের শুরুতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলীয় সভানেত্রীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের জনগণ কিছু পায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। যারা এক সময় বাংলাদেশকে অবহেলা করতো, তারাই এখন সম্মান করে।
দলের গৌরবময় অতীত ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখন দেশের মানুষ কিছু পেয়েছে। বিরোধী দলে থাকার সময়ও আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন সময়ে জনগণের অধিকার আদায়ে অবদান রেখেছে। এদেশের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন। এ জন্য দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী সংগঠন ছিল বলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করতে পেরেছিলেন। সংগঠন ছিল বলেই সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে সংগঠনই ছিল সব। তিনি সংগঠনের জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতেও পিছপা হননি। তার কাছে ক্ষমতা বড় কিছু ছিল না। তিনি দেশকে, দেশের মানুষকে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। তার লক্ষ্য পূরণেই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। আজ আমাদের আর কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমরা এগিয়ে যাবো। আগে যারা আমাদের অবহেলার চোখে দেখতো, তারাও আমাদের উন্নয়নে প্রশংসা করছে। আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের দিকে অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের হাতে আরও তিন বছর সাত মাস সময় আছে। এর মধ্যে আমরা দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে আনবো।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংবাদিক আবেদ খান বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ- প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। কবিতা পাঠ করেন স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এর আগে আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
এদিকে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তার সব কিছুরই সাক্ষী আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, আগামীতেও সুযোগ রয়েছে আরও অনেক কিছু অর্জনের। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে, দেশের প্রাচীন এই দলটির অর্জন তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আগামী দিনে কাজ করে যাবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, দেশকে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ধাপে ধাপে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের, এই দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আমার জন্ম আওয়ামী লীগের ঘরে। আওয়ামী লীগের জন্য তার পিতা প্রয়াত সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কর্মী, বঙ্গবন্ধুর বন্ধু। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিয়েছিলেন। তারা বেঈমান হন নাই।
এদিকে আলোচনা সভায় আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের যে গৌরবের ইতিহাস তা অর্জনে আওয়ামী লীগের জন্য সহজ ছিল না। দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। পৃথিবীর কোন দেশে রাজনৈতিক দলের জন্য এত নেতাকর্মী প্রাণ দেয়নি। আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাজ এখনও শেষ হয়নি। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ত্যাগ- তিতিক্ষায় শেখ হাসিনার পরে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি এই বাংলাদেশে নেই।
আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠা দলকে শেষ করা অতো সহজ নয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতীতে বহুবার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার অনেক ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু কেউই সফল হয়নি। আগামীদিনেও কেউ সফল হবে না। কারণ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড়ই শক্তিই হচ্ছে জনগণ। দেশের জন্য অনেক ত্যাগের কারণেই জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। আর এ দলটি তৃণমূল থেকে আদর্শ নিয়ে গড়ে উঠেছে। আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠা দলকে শেষ করা অতো সহজ নয়, নিশ্চিহ্ন করা যায় না-  তা গত ৬৬ বছরে প্রমাণ হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদ অধিবেশনের শুরুতে আওয়ামী লীগের ৬৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ও আওয়ামী লীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হচ্ছে বাঙালির জাতির জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস। স্বাধীনতা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি বড় অর্জন ও অগ্রযাত্রা এসেছে, তা সবই এনে দিয়েছে গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ। জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে উজানে নাউ (নৌকা) ঠেলেই আওয়ামী লীগ দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াসহ সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে, আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। কেউ তা রুখতে পারবে না। দলের জন্মদিনে দেশবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে নানা অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি, সব সময়ই আওয়ামী লীগের পাশে থেকেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শই হচ্ছে জনগণের কল্যাণ, উন্নতি ও তাদের উন্নত জীবনদান। এ লক্ষ্যে নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর বিশ্বের যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঠাট্টা করেছিল, আজ তারাই স্বীকার করে বলছে, বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ কোনদিন পিছিয়ে যাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, একটু সময় দিন আমরা দেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাব। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবোই। অনির্ধারিত এ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন হোসেন আমু এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য দেন। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাতেও সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা আওয়ামী লীগের জন্মদিন উপলক্ষে কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, এই উপমহাদেশে যতগুলো পুরনো দল রয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামী লীগ অন্যতম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী সীমাহীন নির্যাতন, জেল-জুলুম ও জীবন দিতে হয়েছে। এদেশের জন্য আওয়ামী লীগের ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস অপরিসীম। তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৩ বছর সংগ্রাম করেছেন, হাসিমুখে সব নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। কিন্তু কখনও আপস করেননি। স্বাধীনতার পর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এত সুন্দর সংবিধান আর দেখা যায় না। দেশের ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই দেশের প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগে উন্নীত হয়েছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসা মানেই দেশের উন্নতি, প্রাপ্তি ও সমস্যার সমাধান। তিনি বলেন, সমুদ্র বিজয় অর্জন ও স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ বঙ্গবন্ধুই নিয়েছিলেন, আমরা শুধু বাস্তবায়ন করছি মাত্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর দেশের মানুষ কি পেয়েছে? খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যুৎ সংকট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সার ও বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে মানুষকে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ চিরদিন ত্যাগ স্বীকার করে দেশের জন্য বড় বড় অর্জন এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সব দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখেই সব সমস্যার সমাধান করছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ- এ লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ কোন দিন পিছিয়ে থাকতে পারে না, হবেও না। বাংলাদেশ পারবে ও পারে তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রমাণ দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশ। ক্রিকেটেও তার প্রমাণ দিয়েছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশকে আমরা পরাজিত করেছি। বাঙালি জাতি বরাবরই প্রমাণ দিয়েছে যে, তাদের একটু সুযোগ দিলে তারা যেকোন অসাধ্য সাধন করতে পারে। বাংলাদেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে উন্নত-সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবোই।

No comments

Powered by Blogger.