বদলে যাওয়া পৃথিবীতে কেমন আছেন মুস্তাফিজ?
ভারতের
বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে ডাক পাওয়ার পরই চাচার কাছে একটা আইফোন সিক্স
চেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চাচা তাকে আশ্বস্তও
করেছিলেন। কিন্তু এরপর প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ইতিহাস। স্বপ্নের
মতো দিন কাটছে ওয়ান্ডার বয় মুস্তাফিজুর রহমানের। ১৮ থেকে ২১-এ চারদিনে
মস্তবড় এক তারকা বনে গেছেন সাতক্ষীরার এই তরুণ। গড়েছেন এক নতুন ইতিহাস,
সামনে দাঁড়িয়ে আরেক ইতিহাস। যদিও এসব কীর্তি একটুও স্পর্শ করেনি
মুস্তাফিজকে। যাকে নিয়ে এত্তো এত্তো প্রচারণা। পত্রপত্রিকায় বড় ছবি।
পার্শ্ববর্তী ভারতেও আলোচনার শেষ নেই। সেই মোস্তাফিজকে এসব একদমই প্রভাবিত
করতে পারছে না। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে আগ্রহী নয় ভারত বধের নায়ক।
তার সকল আগ্রহ কেবল আজকের ম্যাচ নিয়ে। এ ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেলে প্রথম
বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকের তিন ম্যাচে নতুন মাইলফলক অর্জন
করবেন মুস্তাফিজ। স্পর্শ করবেন ওয়াকার ইউনুসকে। যিনিই কেবল ওয়ানডে ক্রিকেটে
টানা তিন ম্যাচে পাঁচটি করে উইকেট পেয়েছেন। পাঁচ উইকেট না পেলেও সমস্যা
নেই মুস্তাফিজের। আজ তিন উইকেট পেলেও নয়া রেকর্ড গড়বেন তরুণ এই পেসার।
ও (মুস্তাফিজ) এই সব নিয়ে ভাবছে বলে মনে হয় না। ম্যাচের ৮০ ভাগ আমাদের হাতে এনে দিয়েছে মুস্তাফিজ। তবে এটা নিয়ে তার বিশেষ ভাবনা নেই। ও সারাদিন চুপচাপ থাকে, মুস্তাফিজ যে কি করে ফেলেছে ও নিজেও জানে কিনা সন্দেহ আছে’- বললেন সতীর্থ নাসির হোসেন। কতটা উদগ্রিব মুস্তাফিজ? আজও ভারতের ব্যাটিং মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দিবেন তিনি। তার আঘাতেই কি নিশ্চিত হবে বাংলাওয়াশ? মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন জুড়ে মুস্তাফিজ আর বাংলাওয়াশ যেন মিলেমিশে একাকার। দুপুর আড়াইটায় অনুশীলনে নেমে মাঠে আসে দুই দল। কিন্তু ভারতের সংবাদমাধ্যম যতটা না আগ্রহী তাদের দল নিয়ে তার চেয়ে বেশি তরুণ মুস্তাফিজকে নিয়ে। মুস্তাফিজ নামের সামনে যেন ধোনি, কোহলিদের মত তারকা নামও ফিঁকে হয়ে এসেছে। কিন্তু যে মুস্তাফিজকে নিয়ে এত কথা সেই মুস্তাফিজ কি ভাছেন? না, নাসিরই সত্যি বলেছেন, তেমন কোন দাগই যেন কাটেনি মুস্তাফিজের মাঝে। ড্রেসিং রুম থেকে হেলতে দুলতে বের হয়ে এলেন, কেমন আছেন- প্রশ্ন করতেই এত ছোট প্রশ্নের উত্তর কতটা দিবেন ভেবে না পেয়ে মাথা ঝুলিয়ে জানালেন ভাল আছেন। বোলিং নিয়ে প্রশ্নটা করতেই- মৃদু হাসি, আর এক বাক্যেই বলেন, ‘দেখি।’
এরপরই মাঠে চলে গেলেন। মূল মাঠে তখন তিন পেসারকে নিয়ে কাজ শুরু করলেন গুরু হিথস্ট্রিক। রুবেল, মাশরাফি আর মুস্তাফিজ। কিন্তু বাইরের মুস্তাফিজ স্বল্পভাষী হলেও মাঠে বল করার সময় কিন্তু সেরকম নয়। ভারতের বাঁ-হাতি পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদতো বলেই দিয়েছেন, ‘এই ছেলের মতো আমি নই, ওর মতো ১৯ বছর বয়সে স্লোয়ার, কাটারতো আমি শিখিনি। ও আসলে যখন বল করে দেখে মনে হয় ১শ/২শ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বল করছে।’ মুস্তাফিজকে নেটেও খেলতে কঠিন এটা বলেতো নাসির হয় ভারতের অন্য আরও একটি বার্তা দিলেন। নাসির বলেন, ‘ও সব সময় একটু চুপচাপ করে থাকে। নেটে ওর বলে প্রায়ই আমাদের সমস্যা হয়। আমরা ওকে মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে বলি যে, আমি যখন ব্যাটিং করবো তখন আমাকে কাটার মারবি না। এর বেশি কিছু ওর বিষয়ে বলার নেই।’
সন্ধ্যায় যখন অনুশীলন থেকে হোটেলে ফিরলেন তখনও গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ। তবে ভক্তদের ঠিকই খুশি করেছেন মুস্তাফিজ। হোটেল সোনারগাঁও-এর লবিতে যারাই মুস্তাফিজের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছেন। সাধ্যমতো সকলের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। সেলফি তুলেছেন, দিয়েছেন অটোগ্রাফও। তার প্রতি দর্শকদের আগ্রহে অনেকটা ম্লান মনে হচ্ছিলো সাকিব-তামিমদের। সাকিব-তামিমরা ম্লান হবেনই না কেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুতেই কী অসাধারণ সাফল্য! প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান আজ ইতিহাসের পাতায়। এই বাঁহাতি পেসারের সামনে আরেকটি কীর্তির হাতছানি। প্রথম দুই ম্যাচের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আজ ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেও পাঁচ উইকেট নিতে পারলে পাকিস্তানের পেসার ওয়াকার ইউনুসকে ছুঁয়ে ফেলবেন মুস্তাফিজ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪৪ বছরের ইতিহাসে টানা তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে শুধু ওয়াকারেরই। টানা তিনবারের মতো ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ১৩ বার পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বও ওয়াকারের। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে টানা তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস কিংবদন্তি। প্রথম দুই ম্যাচ ছিলো নিউজিল্যান্ড ও একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বর্তমানে পাকিস্তানের কোচের দায়িত্বে থাকা ওয়াকার দুবার টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেটও নিয়েছিলেন। মুস্তাফিজ-ওয়াকার ছাড়া এই কীর্তি আছে শুধু আটজনের। ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়াকারকে একটুর জন্য ‘স্পর্শ’ করতে পারেননি শহীদ আফ্রিদি। লেগব্রেক বোলিংয়ে কেনিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নিয়েছিলেন চার উইকেট। কানাডার বিপক্ষে তার পরের ম্যাচে আবার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। পরপর তিন ম্যাচে ৫ উইকেট যদি কঠিন হয়, আরেকটি রেকর্ড একেবারেই মুস্তাফিজের হাতের নাগালে। তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেয়ার রেকর্ড রায়ান হ্যারিসের। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান পেসারের রেকর্ড ভেঙে দিতে আজ মাত্র ৩টি উইকেট চাই মুস্তাফিজের। প্রথম দুই ম্যাচেই যার ৫ ও ৬ উইকেট, ৩ উইকেট তো তার জন্য ‘মাত্র’ই!
ও (মুস্তাফিজ) এই সব নিয়ে ভাবছে বলে মনে হয় না। ম্যাচের ৮০ ভাগ আমাদের হাতে এনে দিয়েছে মুস্তাফিজ। তবে এটা নিয়ে তার বিশেষ ভাবনা নেই। ও সারাদিন চুপচাপ থাকে, মুস্তাফিজ যে কি করে ফেলেছে ও নিজেও জানে কিনা সন্দেহ আছে’- বললেন সতীর্থ নাসির হোসেন। কতটা উদগ্রিব মুস্তাফিজ? আজও ভারতের ব্যাটিং মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দিবেন তিনি। তার আঘাতেই কি নিশ্চিত হবে বাংলাওয়াশ? মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে ভারত ও বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন জুড়ে মুস্তাফিজ আর বাংলাওয়াশ যেন মিলেমিশে একাকার। দুপুর আড়াইটায় অনুশীলনে নেমে মাঠে আসে দুই দল। কিন্তু ভারতের সংবাদমাধ্যম যতটা না আগ্রহী তাদের দল নিয়ে তার চেয়ে বেশি তরুণ মুস্তাফিজকে নিয়ে। মুস্তাফিজ নামের সামনে যেন ধোনি, কোহলিদের মত তারকা নামও ফিঁকে হয়ে এসেছে। কিন্তু যে মুস্তাফিজকে নিয়ে এত কথা সেই মুস্তাফিজ কি ভাছেন? না, নাসিরই সত্যি বলেছেন, তেমন কোন দাগই যেন কাটেনি মুস্তাফিজের মাঝে। ড্রেসিং রুম থেকে হেলতে দুলতে বের হয়ে এলেন, কেমন আছেন- প্রশ্ন করতেই এত ছোট প্রশ্নের উত্তর কতটা দিবেন ভেবে না পেয়ে মাথা ঝুলিয়ে জানালেন ভাল আছেন। বোলিং নিয়ে প্রশ্নটা করতেই- মৃদু হাসি, আর এক বাক্যেই বলেন, ‘দেখি।’
এরপরই মাঠে চলে গেলেন। মূল মাঠে তখন তিন পেসারকে নিয়ে কাজ শুরু করলেন গুরু হিথস্ট্রিক। রুবেল, মাশরাফি আর মুস্তাফিজ। কিন্তু বাইরের মুস্তাফিজ স্বল্পভাষী হলেও মাঠে বল করার সময় কিন্তু সেরকম নয়। ভারতের বাঁ-হাতি পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদতো বলেই দিয়েছেন, ‘এই ছেলের মতো আমি নই, ওর মতো ১৯ বছর বয়সে স্লোয়ার, কাটারতো আমি শিখিনি। ও আসলে যখন বল করে দেখে মনে হয় ১শ/২শ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বল করছে।’ মুস্তাফিজকে নেটেও খেলতে কঠিন এটা বলেতো নাসির হয় ভারতের অন্য আরও একটি বার্তা দিলেন। নাসির বলেন, ‘ও সব সময় একটু চুপচাপ করে থাকে। নেটে ওর বলে প্রায়ই আমাদের সমস্যা হয়। আমরা ওকে মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে বলি যে, আমি যখন ব্যাটিং করবো তখন আমাকে কাটার মারবি না। এর বেশি কিছু ওর বিষয়ে বলার নেই।’
সন্ধ্যায় যখন অনুশীলন থেকে হোটেলে ফিরলেন তখনও গণমাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ। তবে ভক্তদের ঠিকই খুশি করেছেন মুস্তাফিজ। হোটেল সোনারগাঁও-এর লবিতে যারাই মুস্তাফিজের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছেন। সাধ্যমতো সকলের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। সেলফি তুলেছেন, দিয়েছেন অটোগ্রাফও। তার প্রতি দর্শকদের আগ্রহে অনেকটা ম্লান মনে হচ্ছিলো সাকিব-তামিমদের। সাকিব-তামিমরা ম্লান হবেনই না কেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুতেই কী অসাধারণ সাফল্য! প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান আজ ইতিহাসের পাতায়। এই বাঁহাতি পেসারের সামনে আরেকটি কীর্তির হাতছানি। প্রথম দুই ম্যাচের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে আজ ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতেও পাঁচ উইকেট নিতে পারলে পাকিস্তানের পেসার ওয়াকার ইউনুসকে ছুঁয়ে ফেলবেন মুস্তাফিজ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪৪ বছরের ইতিহাসে টানা তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে শুধু ওয়াকারেরই। টানা তিনবারের মতো ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ১৩ বার পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বও ওয়াকারের। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে টানা তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস কিংবদন্তি। প্রথম দুই ম্যাচ ছিলো নিউজিল্যান্ড ও একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বর্তমানে পাকিস্তানের কোচের দায়িত্বে থাকা ওয়াকার দুবার টানা দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেটও নিয়েছিলেন। মুস্তাফিজ-ওয়াকার ছাড়া এই কীর্তি আছে শুধু আটজনের। ২০১১ বিশ্বকাপে ওয়াকারকে একটুর জন্য ‘স্পর্শ’ করতে পারেননি শহীদ আফ্রিদি। লেগব্রেক বোলিংয়ে কেনিয়ার বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নেয়ার পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নিয়েছিলেন চার উইকেট। কানাডার বিপক্ষে তার পরের ম্যাচে আবার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। পরপর তিন ম্যাচে ৫ উইকেট যদি কঠিন হয়, আরেকটি রেকর্ড একেবারেই মুস্তাফিজের হাতের নাগালে। তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নেয়ার রেকর্ড রায়ান হ্যারিসের। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ান পেসারের রেকর্ড ভেঙে দিতে আজ মাত্র ৩টি উইকেট চাই মুস্তাফিজের। প্রথম দুই ম্যাচেই যার ৫ ও ৬ উইকেট, ৩ উইকেট তো তার জন্য ‘মাত্র’ই!
No comments