রাজনৈতিক কারণেই রাস্তা দখলমুক্ত করা যায় না -আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের
রাজনৈতিক কারণেই রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, রাস্তা দখলমুক্ত করতে না পারলে চার লেন নয়, ১৬ লেন করেও যানজট দূর করা যাবে না।
‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা এবং অংশীদারিমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক। অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে—এমন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে দিলে, রাস্তার ওপর বাজার বসলে, রাস্তা দখল হয়ে গেলে ১৬ লেন করেও যানজট দূর করা সম্ভব নয়। আবার কোথাও দখলমুক্ত করতে গেলেই রাজনৈতিক প্রভাব চলে আসে। একইভাবে ফুটপাত দখলমুক্ত করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তা দখল হয়ে যায়।
মানসিকতা না বদলালে কোনো দিন সড়কের পরিস্থিতি বদলাবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ আইন মানে। কিন্তু অসাধারণ মানুষেরা (ভিআইপি) আইন মানে না। তাদের গাড়ি রং সাইডে যায়। এই মানসিকতা বদলাতে হবে।
সভায় ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সড়কের যানজটসহ সব সমস্যা এবং দুর্ঘটনা বন্ধে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। আর সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের করণীয় রয়েছে। সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সভা-সেমিনারে গেলেই ভাষণ শুনি। আমরা ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে পিছিয়ে। কথা কম বলে যদি আমরা কাজ করতাম, তাহলে ভালো হতো। এ কারণেই আমি অনুষ্ঠানে না গিয়ে রাস্তায় যাই। তাতে কিছু মানুষের দুর্ভোগ কমে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখতে হবে। স্বাধীনতার পর এক লাখ লোক মারা গেছে। যারা স্বজনহারা তারাই শুধু কষ্টটা জানে। কাজেই সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘২৩ বছর ধরে এ নিয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে। একই ধরনের কথা আমরা বলেই যাচ্ছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জড়িত। সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকারই এতে নেতৃত্ব দিতে পারে’।
ট্রমা লিংকের প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন নাগরিক জন মুসালেহ বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সাথে সাথে মানবিক সেবাদানের কার্যক্রম থাকা জরুরি। এ জন্য কোনো একটি নম্বর থাকতে পারে, যেখানে দুর্ঘটনার পরেই মানুষ ফোন করে সাহায্য চাইতে পারে। আবার যারা উদ্ধার করতে যাবে, তাদেরও প্রশিক্ষণ জরুরি।’ তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় এ বিষয়ে তাঁদের পরীক্ষামূলক একটি কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা এবং অংশীদারিমূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ট্রমা লিংক। অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কাজ করে—এমন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে দিলে, রাস্তার ওপর বাজার বসলে, রাস্তা দখল হয়ে গেলে ১৬ লেন করেও যানজট দূর করা সম্ভব নয়। আবার কোথাও দখলমুক্ত করতে গেলেই রাজনৈতিক প্রভাব চলে আসে। একইভাবে ফুটপাত দখলমুক্ত করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তা দখল হয়ে যায়।
মানসিকতা না বদলালে কোনো দিন সড়কের পরিস্থিতি বদলাবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ আইন মানে। কিন্তু অসাধারণ মানুষেরা (ভিআইপি) আইন মানে না। তাদের গাড়ি রং সাইডে যায়। এই মানসিকতা বদলাতে হবে।
সভায় ওবায়দুল কাদের মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সড়কের যানজটসহ সব সমস্যা এবং দুর্ঘটনা বন্ধে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। আর সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের করণীয় রয়েছে। সবগুলো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সভা-সেমিনারে গেলেই ভাষণ শুনি। আমরা ভাষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে পিছিয়ে। কথা কম বলে যদি আমরা কাজ করতাম, তাহলে ভালো হতো। এ কারণেই আমি অনুষ্ঠানে না গিয়ে রাস্তায় যাই। তাতে কিছু মানুষের দুর্ভোগ কমে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখতে হবে। স্বাধীনতার পর এক লাখ লোক মারা গেছে। যারা স্বজনহারা তারাই শুধু কষ্টটা জানে। কাজেই সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘২৩ বছর ধরে এ নিয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে। একই ধরনের কথা আমরা বলেই যাচ্ছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জড়িত। সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সরকারই এতে নেতৃত্ব দিতে পারে’।
ট্রমা লিংকের প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন নাগরিক জন মুসালেহ বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সাথে সাথে মানবিক সেবাদানের কার্যক্রম থাকা জরুরি। এ জন্য কোনো একটি নম্বর থাকতে পারে, যেখানে দুর্ঘটনার পরেই মানুষ ফোন করে সাহায্য চাইতে পারে। আবার যারা উদ্ধার করতে যাবে, তাদেরও প্রশিক্ষণ জরুরি।’ তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এলাকায় এ বিষয়ে তাঁদের পরীক্ষামূলক একটি কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন।
No comments