আফগান পার্লামেন্টে তালেবান হানা
কাবুলে পার্লামেন্ট ভবনে গতকাল তালেবান হামলার সময় পার্লামেন্টের ভেতরে আতঙ্ক l ছবি: রয়টার্স |
আফগানিস্তানের
কাবুলের পার্লামেন্ট ভবনে গতকাল সোমবার হামলা চালিয়েছে তালেবান জঙ্গিরা।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদেক সিদ্দিকি বলেন, পুলিশের
পাল্টা গুলিতে ছয়জন বন্দুকধারীর সবাই নিহত হয়। খবর বিবিসি ও
গার্ডিয়ানের।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরের ফটকে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গিরা পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। এরপর মূল ভবনের পাশের একটি কক্ষে প্রবেশ করে। এ হামলার কয়েক মিনিটের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনটি এর দায়িত্ব স্বীকার করে।
সাদেক সিদ্দিকি বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ফটক ভেঙে ফেলার পর বন্দুকধারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিশের মুখপাত্র আব্দুরহমান রহিমী বলেন, পার্লামেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা নির্মাণাধীন একটি ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তারা পার্লামেন্ট ভবন লক্ষ্য করে গ্রেনেড এবং মেশিনগানের গুলি ছোড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি চলে। হামলা চলাকালে পুরো পার্লামেন্ট ভবন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। হামলার সময় এমপিরা দেশটির নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাসুম তানকেজির নিয়োগে ভোট দিচ্ছিলেন। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গার্ডিয়ানকে বলেন, তাঁরা এই ভোট দেওয়ার সময়কেই হামলার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। কেননা, এ সময় অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হামলায় ৩১ জন আহত হন। তবে কোনো এমপি আহত হননি।
এমপি মোহাম্মদ আরেফ রাহমানি বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। ভবনের ছাদের কিছু অংশ এ সময় ভেঙে পড়ে। তিনি বলেন, পুরো ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। আমরা পুলিশের হালকা অস্ত্রের বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।’
আরেক এমপি ফওজিয়া কুফি বলেন, ‘হামলার পরপরই আমরা ভবনের ভূগর্ভস্থ অংশে চলে যাই। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের কাউকে পাইনি।’ বেশ কয়েকজন এমপি ভবনের সামনে রক্ষিত সাঁজোয়া যানে করে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হন।
কুফি বলেন, ‘আফগানিস্তানের শত্রুরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। আমরা অস্ত্রধারী মানুষ না। আমরা শুধু কথা বলছিলাম।’ কাবুল হাসপাতালের মুখপাত্র কবির আমিরি বলেন, ৩১ জন আহত হয়েছে। তবে এ সংখ্যা নিশ্চিত নয়।
গত ১৪ মে কাবুলের একটি অতিথিশালায় হামলা চালিয়ে নয়জন বিদেশিসহ ১৪ জনকে হত্যা করে তালেবানরা। দুই সপ্তাহ পর ২৬ মে বিদেশিরা থাকে এমন আরেক অতিথিশালায় হামলা চালায় তালেবান। তবে ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মাধ্যমে তালেবানদের ভেতরে বিভাজন যে সৃষ্টি হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেননা, এর মধ্যে কাতারে বসবাসরত তালেবানদের একটি অংশ আফগানিস্তান সরকারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে নারী এমপিরাও উপস্থিত ছিলেন।
পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান বলেছে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুদ্ধরত আমাদের আফগান ভাইদের সঙ্গে আমরা আছি।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরের ফটকে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জঙ্গিরা পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে। এরপর মূল ভবনের পাশের একটি কক্ষে প্রবেশ করে। এ হামলার কয়েক মিনিটের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনটি এর দায়িত্ব স্বীকার করে।
সাদেক সিদ্দিকি বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ফটক ভেঙে ফেলার পর বন্দুকধারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিশের মুখপাত্র আব্দুরহমান রহিমী বলেন, পার্লামেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা নির্মাণাধীন একটি ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তারা পার্লামেন্ট ভবন লক্ষ্য করে গ্রেনেড এবং মেশিনগানের গুলি ছোড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি চলে। হামলা চলাকালে পুরো পার্লামেন্ট ভবন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। হামলার সময় এমপিরা দেশটির নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাসুম তানকেজির নিয়োগে ভোট দিচ্ছিলেন। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গার্ডিয়ানকে বলেন, তাঁরা এই ভোট দেওয়ার সময়কেই হামলার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। কেননা, এ সময় অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
হামলায় ৩১ জন আহত হন। তবে কোনো এমপি আহত হননি।
এমপি মোহাম্মদ আরেফ রাহমানি বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভবনের ভেতর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। ভবনের ছাদের কিছু অংশ এ সময় ভেঙে পড়ে। তিনি বলেন, পুরো ঘর ধোঁয়ায় ভরে যায়। আমরা পুলিশের হালকা অস্ত্রের বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম।’
আরেক এমপি ফওজিয়া কুফি বলেন, ‘হামলার পরপরই আমরা ভবনের ভূগর্ভস্থ অংশে চলে যাই। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের কাউকে পাইনি।’ বেশ কয়েকজন এমপি ভবনের সামনে রক্ষিত সাঁজোয়া যানে করে নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হন।
কুফি বলেন, ‘আফগানিস্তানের শত্রুরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চায়। আমরা অস্ত্রধারী মানুষ না। আমরা শুধু কথা বলছিলাম।’ কাবুল হাসপাতালের মুখপাত্র কবির আমিরি বলেন, ৩১ জন আহত হয়েছে। তবে এ সংখ্যা নিশ্চিত নয়।
গত ১৪ মে কাবুলের একটি অতিথিশালায় হামলা চালিয়ে নয়জন বিদেশিসহ ১৪ জনকে হত্যা করে তালেবানরা। দুই সপ্তাহ পর ২৬ মে বিদেশিরা থাকে এমন আরেক অতিথিশালায় হামলা চালায় তালেবান। তবে ওই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
সাম্প্রতিক হামলাগুলোর মাধ্যমে তালেবানদের ভেতরে বিভাজন যে সৃষ্টি হয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেননা, এর মধ্যে কাতারে বসবাসরত তালেবানদের একটি অংশ আফগানিস্তান সরকারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেখানে নারী এমপিরাও উপস্থিত ছিলেন।
পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান বলেছে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুদ্ধরত আমাদের আফগান ভাইদের সঙ্গে আমরা আছি।
No comments