মুস্তাফিজের গ্রামে রাতভর আতশবাজি- ‘ব্যাট-বলই ছিল ওর ধ্যানজ্ঞান’ by কল্যাণ ব্যানার্জি
জাতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং–বিস্ময় মুস্তাফিজুর রহমানের সাতক্ষীরার গ্রামের বাড়িতে বাবা–মাসহ পরিবারের সদস্যরা |
সাতক্ষীরা
থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য গত শনিবার বাসের টিকিট কেটেছিলেন মুস্তাফিজের
পরিবারের পাঁচজন। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি। এরপরও
বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি। কারণটা অবশ্য অন্য। বাড়ি
থেকে ২০ কিলোমিটারের মতো যাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুস্তাফিজের
মেজো ভাই জাকির। অগত্যা তাঁকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমেই পড়তে হলো অন্যদের।
মেজো ভাইটা যে কী! অসুস্থ হওয়ার আর সময় পেল না। এ রকম আক্ষেপের শেষ নেই সেজো ভাই মোখলেছুর রহমানের। তবে মেজো ভাইয়ের ক্ষোভও নিজের ওপর কিছুটা কম নয়। দুই ভাইয়ের এ আক্ষেপ বা ক্ষোভ ছোট ভাই মুস্তাফিজুর রহমানের খেলা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বসে দেখতে না পেরে।
স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি খেলা দেখতে না পেরে গতকাল সোমবার প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে আক্ষেপ করছিলেন মোখলেছুর রহমান। তিনিই ক্রিকেটার হতে মুস্তাফিজকে প্রতিদিন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সাতক্ষীরা শহরে নিয়ে যেতেন অনুশীলন করাতে।
মোখলেছুর বলছিলেন, ছোট ভাইয়ের খেলা দেখার জন্য ঢাকা যেতে না পেরে সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়ি তেঁতুলিয়ার স্কুলমাঠেই প্যান্ডেল করে বড় পর্দায় দেখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হয় সে আয়োজনও। পরে ঘরে বসেই খেলা দেখেন পরিবারের সবাই মিলে।
সাতক্ষীরা থেকে দক্ষিণে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নে মুস্তাফিজদের গ্রাম তেঁতুলিয়া। চারদিকে গাছগাছালিতে ভরা। শান্ত-নিবিড় এ গ্রামের ছেলে মুস্তাফিজ এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময়। ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটির আগে তেমন কেউ চিনত না তাঁকে। এখন নিজের গ্রাম, দেশ ছাপিয়ে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর নাম। আর মুস্তাফিজের গ্রাম তেঁতুলিয়াসহ পুরো সাতক্ষীরাই এখন ভাসছে ঈদ আনন্দে।
এই গ্রামে পৌঁছানোর দেড় কিলোমিটার আগে পড়ে তারালি গ্রাম। গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যে এ গ্রামেই দেখা গেল, আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে তরুণেরা। মুস্তাফিজদের বাড়িতে যাবে। তাঁর গ্রামে হইচই করবে।
পরে তেঁতুলিয়া গ্রামে পৌঁছে সেখানকার ফুটবল মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে কথা হয় মিজানুর, শাহিনুল, নেওয়াজ, মনিরুজ্জামানের সঙ্গে। সবাই মুস্তাফিজের খেলার সাথি, ক্লাসের বন্ধু। জানালেন, এ মাঠেই মুস্তাফিজের হাতেখড়ি ক্রিকেটে। এক ম্যাচ হাতে রেখে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের পর গত রোববার রাতেই এ গ্রামে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। সারা রাত আতশবাজি ফুটেছে।
মুস্তাফিজদের একতলা বাড়ির বারান্দায় বসে কথা হয় মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। মুস্তাফিজের এত দূর আসার পেছনে বড় ভূমিকা রাখা এই ভাই জানান, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে মুস্তাফিজ সুযোগ পেলেও সেরা একাদশে জায়গা পাবে কি না, তা নিয়ে তাঁরা ছিলেন সংশয়ে। কিন্তু প্রথম ম্যাচ শুরুর আগে যখন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁর মাথায় অভিষেক ক্যাপ পরিয়ে দেন, তখন পরিবারের সবাই আনন্দে ভেসে ওঠেন। প্রথম ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই মুস্তাফিজের জন্য মুঠোফোনে পাচ্ছিলেন অভিনন্দন। আর রোববার ভারতকে দ্বিতীয় ম্যাচেও হারানোর পর মুঠোফোন ছাড়তেই পারছেন না। দূরদূরান্ত থেকে আসছে মুস্তাফিজের বন্ধু ও ভক্তরা।
বাবা আবুল কাসেম গাজী বলেন, ‘ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মুস্তাফিজকে নিয়ে একসময় উৎকণ্ঠায় ছিলাম। ইচ্ছা ছিল ছেলেটা লেখাপড়া শিখে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ওর লেখাপড়ায় মনই ছিল না। সারাক্ষণ ব্যাট আর বল। এটাই ছিল ওর ধ্যানজ্ঞান।’ বললেন, এরপর ধীরে ধীরে ক্রিকেটে মুস্তাফিজ ভালো করতে থাকে। এতে তিনিও একসময় তাঁর ভক্ত হয়ে পড়েন। রোববার সারাক্ষণ টেলিভিশনের সামনে বসে ছেলের খেলা দেখেছেন। দলের সাফল্যের পাশাপাশি ছেলের সাফল্য কামনা করেছেন।
মেজো ভাইটা যে কী! অসুস্থ হওয়ার আর সময় পেল না। এ রকম আক্ষেপের শেষ নেই সেজো ভাই মোখলেছুর রহমানের। তবে মেজো ভাইয়ের ক্ষোভও নিজের ওপর কিছুটা কম নয়। দুই ভাইয়ের এ আক্ষেপ বা ক্ষোভ ছোট ভাই মুস্তাফিজুর রহমানের খেলা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বসে দেখতে না পেরে।
স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি খেলা দেখতে না পেরে গতকাল সোমবার প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে আক্ষেপ করছিলেন মোখলেছুর রহমান। তিনিই ক্রিকেটার হতে মুস্তাফিজকে প্রতিদিন বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সাতক্ষীরা শহরে নিয়ে যেতেন অনুশীলন করাতে।
মোখলেছুর বলছিলেন, ছোট ভাইয়ের খেলা দেখার জন্য ঢাকা যেতে না পেরে সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়ি তেঁতুলিয়ার স্কুলমাঠেই প্যান্ডেল করে বড় পর্দায় দেখার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হয় সে আয়োজনও। পরে ঘরে বসেই খেলা দেখেন পরিবারের সবাই মিলে।
সাতক্ষীরা থেকে দক্ষিণে ৪৫ কিলোমিটার দূরে কালীগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নে মুস্তাফিজদের গ্রাম তেঁতুলিয়া। চারদিকে গাছগাছালিতে ভরা। শান্ত-নিবিড় এ গ্রামের ছেলে মুস্তাফিজ এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিস্ময়। ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটির আগে তেমন কেউ চিনত না তাঁকে। এখন নিজের গ্রাম, দেশ ছাপিয়ে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে তাঁর নাম। আর মুস্তাফিজের গ্রাম তেঁতুলিয়াসহ পুরো সাতক্ষীরাই এখন ভাসছে ঈদ আনন্দে।
এই গ্রামে পৌঁছানোর দেড় কিলোমিটার আগে পড়ে তারালি গ্রাম। গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যে এ গ্রামেই দেখা গেল, আনন্দ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে তরুণেরা। মুস্তাফিজদের বাড়িতে যাবে। তাঁর গ্রামে হইচই করবে।
পরে তেঁতুলিয়া গ্রামে পৌঁছে সেখানকার ফুটবল মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে কথা হয় মিজানুর, শাহিনুল, নেওয়াজ, মনিরুজ্জামানের সঙ্গে। সবাই মুস্তাফিজের খেলার সাথি, ক্লাসের বন্ধু। জানালেন, এ মাঠেই মুস্তাফিজের হাতেখড়ি ক্রিকেটে। এক ম্যাচ হাতে রেখে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের পর গত রোববার রাতেই এ গ্রামে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। সারা রাত আতশবাজি ফুটেছে।
মুস্তাফিজদের একতলা বাড়ির বারান্দায় বসে কথা হয় মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে। মুস্তাফিজের এত দূর আসার পেছনে বড় ভূমিকা রাখা এই ভাই জানান, ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলে মুস্তাফিজ সুযোগ পেলেও সেরা একাদশে জায়গা পাবে কি না, তা নিয়ে তাঁরা ছিলেন সংশয়ে। কিন্তু প্রথম ম্যাচ শুরুর আগে যখন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁর মাথায় অভিষেক ক্যাপ পরিয়ে দেন, তখন পরিবারের সবাই আনন্দে ভেসে ওঠেন। প্রথম ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই মুস্তাফিজের জন্য মুঠোফোনে পাচ্ছিলেন অভিনন্দন। আর রোববার ভারতকে দ্বিতীয় ম্যাচেও হারানোর পর মুঠোফোন ছাড়তেই পারছেন না। দূরদূরান্ত থেকে আসছে মুস্তাফিজের বন্ধু ও ভক্তরা।
বাবা আবুল কাসেম গাজী বলেন, ‘ছয় ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার ছোট মুস্তাফিজকে নিয়ে একসময় উৎকণ্ঠায় ছিলাম। ইচ্ছা ছিল ছেলেটা লেখাপড়া শিখে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু ওর লেখাপড়ায় মনই ছিল না। সারাক্ষণ ব্যাট আর বল। এটাই ছিল ওর ধ্যানজ্ঞান।’ বললেন, এরপর ধীরে ধীরে ক্রিকেটে মুস্তাফিজ ভালো করতে থাকে। এতে তিনিও একসময় তাঁর ভক্ত হয়ে পড়েন। রোববার সারাক্ষণ টেলিভিশনের সামনে বসে ছেলের খেলা দেখেছেন। দলের সাফল্যের পাশাপাশি ছেলের সাফল্য কামনা করেছেন।
No comments