‘মুস্তাফিজকে বলি কাটার মারবি না!’
অনুশীলনে মুস্তাফিজুর রহমান ছবি: এএফপি |
সিরিজের
প্রথম দুই ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন, মুস্তাফিজুর
রহমানের কাটারের কী বিষ! ভারতের ২০ উইকেটের ১১টিই এ তরুণ পেসারের দখলে।
ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশের
ব্যাটসম্যানদের ডেকে বলতে পারেন, ‘তোমাদের কী মজা, মুস্তাফিজকে খেলতে হয়
না!’
‘মুস্তাফিজকে খেলতে হয় না’-এই কথাটা বোধ হয় ঠিক নয়। তামিম-মুশফিক-সৌম্যরা নেটে আকছারই মোকাবিলা করছেন মুস্তাফিজকে। সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরাও নাকি বলাবলি শুরু করেছেন, ঘরোয়া লিগে এই মুস্তাফিজকে তারা কীভাবে সামলাবেন!
ব্যাপারটা প্রথম জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম নিজেই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের পর গাজী টিভির ক্যামেরার সামনে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন, ‘নেটে ওর বল খেলতে ভীষণ অসুবিধা হয় আমাদের। নেট অনুশীলনের সময় আমরা ওর বল হাতড়ে বেড়াই।’
মুস্তাফিজের সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র ‘কাটার’ নিয়ে একটা গল্প আছে। এই মুহূর্তে দলের বাইরে থাকা অন্যতম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল হকই নাকি প্রথম একদিন মুস্তাফিজকে বলেছিলেন কাটার মারতে। নিছক প্র্যাকটিসের লক্ষ্যে কাটার মারতে বলে এনামুল নিজেই বিপদে পড়ে যান। দেখেন, তাঁর নাকি খুব অসুবিধা হচ্ছে বলটি খেলতে। গল্পটি অবশ্য মুস্তাফিজ নিজেই বলেছেন।
গতকাল নাসির হোসেন মুস্তাফিজকে মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বেশ রসিয়ে, ‘নেটে ওর বল খেলতে আমাদের বেশ অসুবিধা হয়। সে ও বল করতে আসলেই আমরা ফাজলামি করে বলি, ‘অ্যাই, খবরদার আমাকে কাটার দিবিনা।’
মুস্তাফিজের খ্যাতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে জগৎজুড়ে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে ক্রিকেট লিখিয়ে অ্যাডাম বার্নেট সুখ্যাতি করেছেন এই তরুণ-তুর্কির। করবেন-নাই বা কেন, এই মুস্তাফিজই যে অনন্য নৈপুণ্যে জিতিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখাটি অবশ্য বার্নেট বলেছেন, এই ছেলে যে বিশেষ কিছু, সেটা জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতেই। ওই ম্যাচে মুস্তাফিজ ফিরিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের মতো দুই তারকা ব্যাটসম্যানকে।
মুস্তাফিজ আসলে কত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন, সেটা নাকি তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। রসিকতা করে কাল জানালেন নাসির, ‘গত দুটো ম্যাচই ঘুরিয়ে দিয়েছে মুস্তাফিজ। জয়ে ৮০ শতাংশ অবদান তার। এত কিছুর পরেও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন নেই। ভাবনাটা আগের মতোই আছে।’
দ্বিতীয় ম্যাচের পর ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলে এসেছিলেন, তৃতীয় ম্যাচে নাকি তাঁর লক্ষ্য আরও ভালো করা! প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ‘আরও ভালো করা’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন, সেটা নিয়ে নিশ্চয়ই গবেষণায় বসে গেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা!
‘মুস্তাফিজকে খেলতে হয় না’-এই কথাটা বোধ হয় ঠিক নয়। তামিম-মুশফিক-সৌম্যরা নেটে আকছারই মোকাবিলা করছেন মুস্তাফিজকে। সত্যি কথা বলতে কী, বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরাও নাকি বলাবলি শুরু করেছেন, ঘরোয়া লিগে এই মুস্তাফিজকে তারা কীভাবে সামলাবেন!
ব্যাপারটা প্রথম জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম নিজেই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের পর গাজী টিভির ক্যামেরার সামনে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ প্রসঙ্গেই জানিয়েছেন, ‘নেটে ওর বল খেলতে ভীষণ অসুবিধা হয় আমাদের। নেট অনুশীলনের সময় আমরা ওর বল হাতড়ে বেড়াই।’
মুস্তাফিজের সবচেয়ে ভয়ংকর অস্ত্র ‘কাটার’ নিয়ে একটা গল্প আছে। এই মুহূর্তে দলের বাইরে থাকা অন্যতম উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল হকই নাকি প্রথম একদিন মুস্তাফিজকে বলেছিলেন কাটার মারতে। নিছক প্র্যাকটিসের লক্ষ্যে কাটার মারতে বলে এনামুল নিজেই বিপদে পড়ে যান। দেখেন, তাঁর নাকি খুব অসুবিধা হচ্ছে বলটি খেলতে। গল্পটি অবশ্য মুস্তাফিজ নিজেই বলেছেন।
গতকাল নাসির হোসেন মুস্তাফিজকে মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বেশ রসিয়ে, ‘নেটে ওর বল খেলতে আমাদের বেশ অসুবিধা হয়। সে ও বল করতে আসলেই আমরা ফাজলামি করে বলি, ‘অ্যাই, খবরদার আমাকে কাটার দিবিনা।’
মুস্তাফিজের খ্যাতি এখন ছড়িয়ে পড়েছে জগৎজুড়ে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে ক্রিকেট লিখিয়ে অ্যাডাম বার্নেট সুখ্যাতি করেছেন এই তরুণ-তুর্কির। করবেন-নাই বা কেন, এই মুস্তাফিজই যে অনন্য নৈপুণ্যে জিতিয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখাটি অবশ্য বার্নেট বলেছেন, এই ছেলে যে বিশেষ কিছু, সেটা জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে তাঁর অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতেই। ওই ম্যাচে মুস্তাফিজ ফিরিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের মতো দুই তারকা ব্যাটসম্যানকে।
মুস্তাফিজ আসলে কত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন, সেটা নাকি তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। রসিকতা করে কাল জানালেন নাসির, ‘গত দুটো ম্যাচই ঘুরিয়ে দিয়েছে মুস্তাফিজ। জয়ে ৮০ শতাংশ অবদান তার। এত কিছুর পরেও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন নেই। ভাবনাটা আগের মতোই আছে।’
দ্বিতীয় ম্যাচের পর ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলে এসেছিলেন, তৃতীয় ম্যাচে নাকি তাঁর লক্ষ্য আরও ভালো করা! প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ‘আরও ভালো করা’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চাচ্ছেন, সেটা নিয়ে নিশ্চয়ই গবেষণায় বসে গেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা!
No comments