পতাকা বৈঠকে রাজি মিয়ানমার
অবশেষে
বিজিবির অপহৃত নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দিতে পতাকা বৈঠকে রাজি হয়েছে
মিয়ানমার। সাত দিনের টানা কূটনৈতিক তৎপরতা আর বাহিনী পর্যায়ে সিরিজ আলোচনায়
গতকাল বিকালে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব-সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় দেশটির
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। বাংলাদেশ তাৎক্ষণিক এতে সাড়া দিয়েছে। বিজিবির
একজন কমান্ডারের নেতৃত্বে ৪-৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নামও প্রস্তাব করা
হয়েছে বলে মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ
আহমদ। বৈঠকটির দিনক্ষণ ঠিক করতে মাঠপর্যায়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে মহাপরিচালক
আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগির তারা বৈঠকটি আয়োজন করতে পারবেন এবং বিজিপির
জিম্মায় থাকা বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে কোন রকম শর্ত ছাড়াই তার ব্যক্তিগত
অস্ত্র-গোলাবারুদসহ ফেরত নিয়ে আসতে পারবেন। এদিকে গতকাল বিকালে
সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, পতাকা
বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড
পুলিশ-বিজিপি। ঢাকাস্থ দেশটির রাষ্ট্রদূত মিও মিন্ট থান দুপুরেই পররাষ্ট্র
দপ্তরকে জানিয়েছেন। তিনি এ-ও বলেছেন, রাজ্জাককে কখন, কোথায় কিভাবে
হস্তান্তর করা হবে সে বিষয়ে বিজিপি একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এখন
বিজিবি-বিজিপি’র কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনায় বাকি আনুষ্ঠানিকতার দিনক্ষণ ঠিক
হবে। কূটনৈতিক সূত্র মতে আগামীকাল মংডুতে পাতাকা বৈঠকটি হতে পারে।
ফেরত হবে নিঃশর্তে: এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলার রিপোর্টে জানানো হয়, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে কোন রকমের শর্ত আরোপের কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এবং তথ্যমন্ত্রী ইয়ে টুট জানিয়েছেন, তাদের তরফ থেকে এরকম কোন শর্ত দেয়া হয়নি। খুব শিগগিই দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে পতাকা বৈঠক হবে এবং সেখানে বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাককে বাংলাদেশের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে বৈঠকের কোন দিন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি বলে জানায় বিবিসি বাংলা। বিজিবির একজন পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমার বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়ার খবর প্রকাশিত হয়। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী জানান, তাদের পক্ষ থেকে রাজ্জাকের মুক্তির ব্যাপারে কোন শর্ত নেই। সমপ্রতি নৌকায় করে অবৈধভাবে বিদেশে যাবার চেষ্টার সময় যাদেরকে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া এবং আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়া- এ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ওদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বিবিসিসহ দেশী বিদেশী গণমাধ্যমকে বলেন, আবদুর রাজ্জাককে কোন শর্ত ছাড়াই ফেরত দেবার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার। গত ১৭ই জুন টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদী থেকে বিজিবির ওই সদস্যকে বিজিপি ধরে নিয়ে যায়। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের তরফ থেকে বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। আটক সীমান্তরক্ষীর সঙ্গে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের আচরণে বাংলাদেশ জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, আবদুর রাজ্জাকের আটক অবস্থার বেশ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। যাতে তার মুখে ক্ষতচিহ্ন এবং রক্তের দাগ রয়েছে বলে দেখা যায়।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শর্ত প্রত্যাহার:
এদিকে টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, উপকূল থেকে উদ্ধার ৫৫৫ অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেয়ার শর্তে বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল মিয়ানমার। সোমবার এ শর্ত দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর তারা তাদের শর্ত প্রত্যাহার করে নেয়। নায়েক রাজ্জাককে বিনা শর্তে ফেরত দিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় মিয়ানমার। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই তাকে ফেরত দেয়া হবে বলেও জানায়। বিজিপি’র সঙ্গে আলোচনার সূত্রে গতকাল কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান মানবজমিনকে এ তথ্য জানান। অভিবাসী এবং নায়েক রাজ্জাককে ফেরতের বিষয় দুটি আলাদা, দুটি আলাদাভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাও বলে বিজিবি।
ফেরত হবে নিঃশর্তে: এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলার রিপোর্টে জানানো হয়, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে কোন রকমের শর্ত আরোপের কথা অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এবং তথ্যমন্ত্রী ইয়ে টুট জানিয়েছেন, তাদের তরফ থেকে এরকম কোন শর্ত দেয়া হয়নি। খুব শিগগিই দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে পতাকা বৈঠক হবে এবং সেখানে বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাককে বাংলাদেশের হাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে বৈঠকের কোন দিন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি বলে জানায় বিবিসি বাংলা। বিজিবির একজন পদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমার বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়ার খবর প্রকাশিত হয়। সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী জানান, তাদের পক্ষ থেকে রাজ্জাকের মুক্তির ব্যাপারে কোন শর্ত নেই। সমপ্রতি নৌকায় করে অবৈধভাবে বিদেশে যাবার চেষ্টার সময় যাদেরকে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া এবং আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়া- এ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ওদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও বিবিসিসহ দেশী বিদেশী গণমাধ্যমকে বলেন, আবদুর রাজ্জাককে কোন শর্ত ছাড়াই ফেরত দেবার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার। গত ১৭ই জুন টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদী থেকে বিজিবির ওই সদস্যকে বিজিপি ধরে নিয়ে যায়। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের তরফ থেকে বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। আটক সীমান্তরক্ষীর সঙ্গে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের আচরণে বাংলাদেশ জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, আবদুর রাজ্জাকের আটক অবস্থার বেশ কিছু ছবি প্রকাশিত হয়। যাতে তার মুখে ক্ষতচিহ্ন এবং রক্তের দাগ রয়েছে বলে দেখা যায়।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শর্ত প্রত্যাহার:
এদিকে টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, উপকূল থেকে উদ্ধার ৫৫৫ অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেয়ার শর্তে বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল মিয়ানমার। সোমবার এ শর্ত দেয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পর তারা তাদের শর্ত প্রত্যাহার করে নেয়। নায়েক রাজ্জাককে বিনা শর্তে ফেরত দিতে রাজি হওয়ার কথা জানায় মিয়ানমার। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমেই তাকে ফেরত দেয়া হবে বলেও জানায়। বিজিপি’র সঙ্গে আলোচনার সূত্রে গতকাল কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনিসুর রহমান মানবজমিনকে এ তথ্য জানান। অভিবাসী এবং নায়েক রাজ্জাককে ফেরতের বিষয় দুটি আলাদা, দুটি আলাদাভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথাও বলে বিজিবি।
No comments