বাংলাদেশ–ভারত শেষ ম্যাচ, মনের মধ্যে বাংলাওয়াশ by পবিত্র কুন্ডু
মুস্তাফিজ হাসছেন, রুবেলও। সারা বাংলাদেশ চায় মিরপুরে কাল অনুশীলনে দুই পেসারের এই হাসি আজ ছড়িয়ে পড়ুক ম্যাচ শেষেও l ছবি: শামসুল হক |
তিন
ম্যাচের সিরিজটির প্রথম দুটি জিতেই সম্মানের ধাতব ট্রফিটিকে হাতে তোলার
ব্যবস্থা আগেই করে ফেলেছে বাংলাদেশ। আজ শেষ ম্যাচটির গুরুত্ব আসলে কতটুকু?
জয়-পরাজয় যে পক্ষকেই আলিঙ্গন করুক, সেটির আর মূল্য কী, শুধু আনুষ্ঠানিকতার
আড়ম্বর ছাড়া?
রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে এ কথা বলতে যাবেন না যেন। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ দেখাতে পারা যায় না বটে, তবে যন্ত্রণার ভাষাটা মুখে তুলে আনা যায়। সেখানে শেষ ম্যাচটিতেও তাঁর কাছে অর্জনের উপলক্ষ থাকে—সেটি জয় এবং জয়। এবারের বাংলাদেশ সফরে ভারতের সেরা অফ স্পিনার, প্রকারান্তরে সেরা বোলার কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে ফুটিয়ে তুললেন শেষ ম্যাচ থেকে সামান্য সম্মানটুকু নিয়ে ফেরার আকুলতাই। ক্রিকেট পৃথিবীর অনেক বিস্ময়কর ঘটনার মতোই বাস্তবিক যে মহাভারত এখন বাংলাওয়াশ এড়ানোর জন্য মরিয়া! আর একদা ‘পুঁচকে’ ‘খুদে’ এবং বীরেন্দর শেবাগকৃত ‘ভেরি অর্ডিনারি’ দলের পরিচিতি পেতে পেতে, উপেক্ষা আর অপেক্ষার যন্ত্রণা সইতে সইতে পরিণত হয়ে ওঠার দিকে এগোনো বাংলাদেশ কিনা সেই বাংলাওয়াশ চাইছে। আরেকটি বাংলাওয়াশ হবে কি না, এই সম্ভাবনার কথা জানতে চাইলে নাসির হোসেন সরল মনে হয়তো বলে ফেললেন, ‘ইনশা আল্লাহ’, কিন্তু নিজেদের ড্রেসিং রুমের আবহের যে হদিস তিনি দিলেন, সেখানে জয়ের আকাঙ্ক্ষাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর প্রত্যাশায়, প্রার্থনায়, প্রতিজ্ঞায়, প্রচেষ্টায় এক হতে পারলে কে না জানে আকাঙ্ক্ষাই প্রাপ্তির ফুল হয়ে ফোটে। ‘আমরা ২-০ তে পিছিয়ে থেকে যে চাপ নিয়ে খেলতাম, সে রকমই খেলব। কোনো ছাড় নেই’—বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার যখন এ কথা বলেন, দলের মনোভাব বোঝাতে নতুন করে কিছু বলতে হয় না।
শুধু নাসিরই কেন, তাঁর সতীর্থরা—অধিনায়ক মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মুস্তাফিজ, সাব্বির, সৌম্য বা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কিংবা অন্য কোচিং স্টাফদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, একই উত্তর পাবেন। তাঁদের কাছে ৩-০ স্কোরলাইন বড় নয়, জয়টাই বড়। জয়ের অভ্যাসটাকে নৈমিত্তিক বানিয়ে ফেলাই আসল। জয় একটা অদ্ভুত সুস্বাদু নেশা। এই নেশাই একটি জয় থেকে আরেকটি জয়ের দিকে ছুটিয়ে নিয়ে যায়। আজকের জয় যেমন মাশরাফির দলকে দিতে পারে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের স্বাদ।
কাল মেঘমেদুর দুপুরের মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামও কিন্তু বাংলাওয়াশ, বাংলাওয়াশ বলে চিৎকার করেনি। রাস্তায়, বিপণিবিতানে মানুষের আনাগোনায় কিংবা স্টেডিয়ামে দুদলের অনুশীলন ঘিরে থাকা উৎসুক জনতার টুকরো ভিড়েও এই শব্দটির অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। তাহলে বাংলাওয়াশ শব্দটি পথ পাতল কোথায়? মানুষের মনে। সেই কত দিন ধরেই তো এটি বাংলাদেশের চেনা ছক। কোনো ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই জয়ের সুবাস ছড়িয়ে পড়বে জনতার অন্তরে। সেটিই মাঠ থেকে পরে কুড়িয়ে বাংলাওয়াশে রূপ দেবেন মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক-সাব্বিররা। এই সিরিজে অবশ্য চয়নকারীদের দলে যোগ হয়েছে নতুন একটি মুখ—মুস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসারের বিষমাখানো বলে প্রথম দুই ম্যাচে ধ্বস্ত হয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে শেষ করে দিয়েছিলেন মিলিতভাবে ৮৯৯ ম্যাচ খেলা ধোনি-রায়না-কোহলি-রোহিত-জাদেজাদের ভয়াল দর্শন ব্যাটিংকে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মুস্তাফিজের বোলিংকে কম্পিউটারে ঢুকিয়ে কাটাছেঁড়া করা হলো কিন্তু এ ম্যাচেও জবাব থাকল না ভারতের। সাতক্ষীরার ১৯ বছর বয়সী বিস্ময় আরও ভয়ংকর—৬ উইকেট তুলে আবারও নির্মম ঘাতক। তৃতীয় ম্যাচে তাই প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনাকে লুকিয়ে রেখে ভারত তাঁকে ভাসিয়ে দিচ্ছে প্রশংসায়। আজও নিশ্চিত ভারতীয়দের রণকৌশলের অনেকটা জুড়ে থাকবেন এই বালক-বীর। কীভাবে তাঁকে সামলাবেন, অপ্রিয় এই প্রশ্নে, ‘তাঁকে কি আমরা অপহরণ করব?’—এ কথা বলে অশ্বিন একটু হাসির খোরাক হয়তো জোগালেন, কিন্তু পুরোটা না বলেও বুঝিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ তাঁদের স্বপ্নে হানা দিয়েছেন দুঃস্বপ্নের মতো।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক চার পেসারকে থ্রো-ডাউন করাতে লাগলেন, গুড লেন্থ স্পটে স্টাম্প পুঁতে। প্রতি তিনটি বলের দুটিতেই লক্ষ্যভেদ করতে থাকলেন মুস্তাফিজ। একই সঙ্গে সংলগ্ন একাডেমি মাঠের নেটে ঘাম ঝরাতে থাকা ধোনি-কোহলি-রায়নারা কিন্তু তখনো ভারতীয় সাংবাদিক গোষ্ঠীর সবাইকে টানতে পারেননি। তাহলে আজও মাঠের নিপুণ জাদুকরের নাম মুস্তাফিজ? হতেই পারে। তবে এই চার পেসারের আগুনের সামনে আজ নাও পড়তে পারে ভারতীয় ব্যাটিং। অনুশীলনে চোট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। আলাদা করে ডাকা হয়েছে লেগস্পিনার জুবায়ের আহমেদকে। জয়ের সমন্বয়সূত্র এতে টুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয়তো থাকছে, তবে জুবায়েরকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং-বৈচিত্র্য কিন্তু থাকবেই। এই বৈচিত্র্যময় বোলিং শক্তিকেই তো ভারতের আসল ভয়!
রণকৌশল, দলীয় সমন্বয়, আত্মবিশ্বাস—তিনে মিলে তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। দল বদলে যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর সব চেষ্টাই করবে ভারত। তবে এটাও ঠিক, সঠিক সমন্বয় খুঁজে পেতে ঘর্মাক্ত, একটু বিশৃঙ্খল মহাপ্রতাপশালী প্রতিপক্ষকে শেষ ম্যাচেও ঘায়েল করার এর চেয়ে বড় সুযোগ আর কী হতে পারে! তাহলে আজ মাশরাফিদের আরেকটি বিজয়গাথার সাক্ষী হচ্ছে মিরপুর? হতেই পারে। না পারলেও বিশেষ ক্ষতি নেই। বৃষ্টির ঘেরাটোপ থেকে সিরিজ জিতিয়ে এনেই যে মাশরাফির দল এ দেশের জনতাকে ভাসিয়েছে আনন্দে। সেই আনন্দ ‘হিংস্র’ নয়, বরং চিন চিন করতে থাকা কোনো বঞ্চনাবোধে প্রলেপ বোলানো অনাবিল আনন্দ।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে এ কথা বলতে যাবেন না যেন। হৃদয়ের রক্তক্ষরণ দেখাতে পারা যায় না বটে, তবে যন্ত্রণার ভাষাটা মুখে তুলে আনা যায়। সেখানে শেষ ম্যাচটিতেও তাঁর কাছে অর্জনের উপলক্ষ থাকে—সেটি জয় এবং জয়। এবারের বাংলাদেশ সফরে ভারতের সেরা অফ স্পিনার, প্রকারান্তরে সেরা বোলার কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে ফুটিয়ে তুললেন শেষ ম্যাচ থেকে সামান্য সম্মানটুকু নিয়ে ফেরার আকুলতাই। ক্রিকেট পৃথিবীর অনেক বিস্ময়কর ঘটনার মতোই বাস্তবিক যে মহাভারত এখন বাংলাওয়াশ এড়ানোর জন্য মরিয়া! আর একদা ‘পুঁচকে’ ‘খুদে’ এবং বীরেন্দর শেবাগকৃত ‘ভেরি অর্ডিনারি’ দলের পরিচিতি পেতে পেতে, উপেক্ষা আর অপেক্ষার যন্ত্রণা সইতে সইতে পরিণত হয়ে ওঠার দিকে এগোনো বাংলাদেশ কিনা সেই বাংলাওয়াশ চাইছে। আরেকটি বাংলাওয়াশ হবে কি না, এই সম্ভাবনার কথা জানতে চাইলে নাসির হোসেন সরল মনে হয়তো বলে ফেললেন, ‘ইনশা আল্লাহ’, কিন্তু নিজেদের ড্রেসিং রুমের আবহের যে হদিস তিনি দিলেন, সেখানে জয়ের আকাঙ্ক্ষাই ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর প্রত্যাশায়, প্রার্থনায়, প্রতিজ্ঞায়, প্রচেষ্টায় এক হতে পারলে কে না জানে আকাঙ্ক্ষাই প্রাপ্তির ফুল হয়ে ফোটে। ‘আমরা ২-০ তে পিছিয়ে থেকে যে চাপ নিয়ে খেলতাম, সে রকমই খেলব। কোনো ছাড় নেই’—বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার যখন এ কথা বলেন, দলের মনোভাব বোঝাতে নতুন করে কিছু বলতে হয় না।
শুধু নাসিরই কেন, তাঁর সতীর্থরা—অধিনায়ক মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মুস্তাফিজ, সাব্বির, সৌম্য বা কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কিংবা অন্য কোচিং স্টাফদের জিজ্ঞেস করে দেখুন, একই উত্তর পাবেন। তাঁদের কাছে ৩-০ স্কোরলাইন বড় নয়, জয়টাই বড়। জয়ের অভ্যাসটাকে নৈমিত্তিক বানিয়ে ফেলাই আসল। জয় একটা অদ্ভুত সুস্বাদু নেশা। এই নেশাই একটি জয় থেকে আরেকটি জয়ের দিকে ছুটিয়ে নিয়ে যায়। আজকের জয় যেমন মাশরাফির দলকে দিতে পারে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের স্বাদ।
কাল মেঘমেদুর দুপুরের মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামও কিন্তু বাংলাওয়াশ, বাংলাওয়াশ বলে চিৎকার করেনি। রাস্তায়, বিপণিবিতানে মানুষের আনাগোনায় কিংবা স্টেডিয়ামে দুদলের অনুশীলন ঘিরে থাকা উৎসুক জনতার টুকরো ভিড়েও এই শব্দটির অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। তাহলে বাংলাওয়াশ শব্দটি পথ পাতল কোথায়? মানুষের মনে। সেই কত দিন ধরেই তো এটি বাংলাদেশের চেনা ছক। কোনো ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই জয়ের সুবাস ছড়িয়ে পড়বে জনতার অন্তরে। সেটিই মাঠ থেকে পরে কুড়িয়ে বাংলাওয়াশে রূপ দেবেন মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক-সাব্বিররা। এই সিরিজে অবশ্য চয়নকারীদের দলে যোগ হয়েছে নতুন একটি মুখ—মুস্তাফিজুর রহমান। এই বাঁহাতি পেসারের বিষমাখানো বলে প্রথম দুই ম্যাচে ধ্বস্ত হয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে শেষ করে দিয়েছিলেন মিলিতভাবে ৮৯৯ ম্যাচ খেলা ধোনি-রায়না-কোহলি-রোহিত-জাদেজাদের ভয়াল দর্শন ব্যাটিংকে। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মুস্তাফিজের বোলিংকে কম্পিউটারে ঢুকিয়ে কাটাছেঁড়া করা হলো কিন্তু এ ম্যাচেও জবাব থাকল না ভারতের। সাতক্ষীরার ১৯ বছর বয়সী বিস্ময় আরও ভয়ংকর—৬ উইকেট তুলে আবারও নির্মম ঘাতক। তৃতীয় ম্যাচে তাই প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনাকে লুকিয়ে রেখে ভারত তাঁকে ভাসিয়ে দিচ্ছে প্রশংসায়। আজও নিশ্চিত ভারতীয়দের রণকৌশলের অনেকটা জুড়ে থাকবেন এই বালক-বীর। কীভাবে তাঁকে সামলাবেন, অপ্রিয় এই প্রশ্নে, ‘তাঁকে কি আমরা অপহরণ করব?’—এ কথা বলে অশ্বিন একটু হাসির খোরাক হয়তো জোগালেন, কিন্তু পুরোটা না বলেও বুঝিয়ে দিলেন মুস্তাফিজ তাঁদের স্বপ্নে হানা দিয়েছেন দুঃস্বপ্নের মতো।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক চার পেসারকে থ্রো-ডাউন করাতে লাগলেন, গুড লেন্থ স্পটে স্টাম্প পুঁতে। প্রতি তিনটি বলের দুটিতেই লক্ষ্যভেদ করতে থাকলেন মুস্তাফিজ। একই সঙ্গে সংলগ্ন একাডেমি মাঠের নেটে ঘাম ঝরাতে থাকা ধোনি-কোহলি-রায়নারা কিন্তু তখনো ভারতীয় সাংবাদিক গোষ্ঠীর সবাইকে টানতে পারেননি। তাহলে আজও মাঠের নিপুণ জাদুকরের নাম মুস্তাফিজ? হতেই পারে। তবে এই চার পেসারের আগুনের সামনে আজ নাও পড়তে পারে ভারতীয় ব্যাটিং। অনুশীলনে চোট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। আলাদা করে ডাকা হয়েছে লেগস্পিনার জুবায়ের আহমেদকে। জয়ের সমন্বয়সূত্র এতে টুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয়তো থাকছে, তবে জুবায়েরকে নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং-বৈচিত্র্য কিন্তু থাকবেই। এই বৈচিত্র্যময় বোলিং শক্তিকেই তো ভারতের আসল ভয়!
রণকৌশল, দলীয় সমন্বয়, আত্মবিশ্বাস—তিনে মিলে তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। দল বদলে যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর সব চেষ্টাই করবে ভারত। তবে এটাও ঠিক, সঠিক সমন্বয় খুঁজে পেতে ঘর্মাক্ত, একটু বিশৃঙ্খল মহাপ্রতাপশালী প্রতিপক্ষকে শেষ ম্যাচেও ঘায়েল করার এর চেয়ে বড় সুযোগ আর কী হতে পারে! তাহলে আজ মাশরাফিদের আরেকটি বিজয়গাথার সাক্ষী হচ্ছে মিরপুর? হতেই পারে। না পারলেও বিশেষ ক্ষতি নেই। বৃষ্টির ঘেরাটোপ থেকে সিরিজ জিতিয়ে এনেই যে মাশরাফির দল এ দেশের জনতাকে ভাসিয়েছে আনন্দে। সেই আনন্দ ‘হিংস্র’ নয়, বরং চিন চিন করতে থাকা কোনো বঞ্চনাবোধে প্রলেপ বোলানো অনাবিল আনন্দ।
No comments